logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

আউটপুট ইউনিট / ডিভাইস (Output unit / Device)


যে যন্ত্র বা ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের সমস্ত রকম কাজের ফলাফল দেখতে পাই তাদের আউটপুট ডিভাইস বলে । আউটপুট ইউনিট না থাকলে কম্পিউটারের কাজ অর্থহীন হয়ে যায় তাই আউটপুট ইউনিটের গুরুত্ব অপরিসীম । মনিটরের পর্দায় যে ছবি বা ফলাফল ইত্যাদি দেখতে     পাওয়া যায় সেগুলিকে সফ্‌ট কপি (Soft copy) বলা হয় । সি.পি.ইউ -এর কন্ট্রোল ইউনিট থেকে প্রাপ্ত নির্দেশকেই আউটপুট ইউনিট পালন করে । কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য আউটপুট ইউনিট বা ডিভাইসগুলি হল - (i) মনিটর, (ii) প্রিন্টার, (iii) প্লটার, (iv) সাউন্ড বক্স ও (v) Projector প্রভৃতি ।

 (i) মনিটর (Monitor) :

কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস বা যন্ত্র হল মনিটর । একে ভিস্যুয়াল ডিসপ্লে ইউনিটও (VDU) বলা হয় । এটি দেখতে অনেকটা      টিভির মতো । ছবি , তথ্য অথবা যে কোনো ধরনের আউটপুট আলোকবিন্দু বা পিক্সেল-এর সাইনকে খুব সুন্দর ভাবে মনিটর তার পর্দায়        ফুটিয়ে তুলতে পারে । মনিটর স্ক্রীনের আকার  14 ইঞ্চি, 15 ইঞ্চি, 17 ইঞ্চি বর্তমানে 21 ইঞ্চি বা তার বেশি আকৃতির মনিটর পাওয়া যায় ।         উপাদানের উপর নিটরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা - CRT মনিটর ও LCD মনিটর ।

(A) CRT মনিটর(CRT Monitor) :

এই  ধরনের মনিটর আকার ও আকৃতিতে অনেকটা টেলিভিশন বা টিভির মতো । টিভির প্রধান অংশ পিকচার টিউবের মতোই এই ধরনের মনিটরের প্রধান উপাদান হল ক্যাথোড রে টিউব বা CRT ।এই ধরনের মনিটরে প্রধান বর্ণ বা রঙ লাল, সবুজ ও নীল । এই রঙগুলি নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন অনুপাতে মিশে অসংখ্য রঙের সৃষ্টি করে । তাই এই মনিটরকে রঙিন মনিটর বলা হয় ।

(B) LCD মনিটর(LCD Monitor) :

LCD মনিটরগুলিতে কোনো ক্যাথোড রে টিউব না থাকায় এই মনিটরগুলি পাতলা ও হাল্কা হয় এবং জায়গাও কম লাগে । এছারা এই মনিটরগুলিতে বিদ্যুং খরচ তুলনামূলকভাবে CRT মনিটরের থেকে অনেক কম হয় । LCD মনিটরের প্রধান উপাদান হিসাবে লিক্যুই ক্রিস্টাল নামে এক বিশেষ ধরনের মলিকিউল (Molecule) ব্যবহৃত হয় । তাই এই ধরনের মনিটরকে LCD  মনিটর বলে । এই ধরনের মনিটরক-এ Thin flim transistor প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় । পার্সোনাল কম্পিউটার , ল্যাপটপ , পামটপ ইত্যাদি কম্পিউটারে এই মনিটরের ব্যবহার বেশি দেখা যায় ।

(ii) প্রিন্টার(Printer) :

কম্পিউটারের প্রধান ও উল্লেখযোগ্য একটি আউটপুট ডিভাইস হল প্রিন্টার । মনিটরে আমরা যে ছবি দেখতে পাই প্রিন্টারের মাধ্যমে সাদা কাগজে তা প্রিন্ট করতে পারি । প্রিন্টারের সাহায্যে সাদা কাগজে প্রিন্টকে হার্ড কপি (Hard Copy) বলে ভিন্ন ভিন্ন প্রিন্টারের সাহায্যে আমরা আমাদের প্রয়োজনমতো সাদা কালো এবং রঙিন দুই ধরনের প্রিন্টই করতে পারি । প্রিন্টার সাধারনত দুই প্রকার । ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার ও নন ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার ।

(A) ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার (Impact printer) :

এই ধরনের প্রিন্টারে প্রিন্ট করার সময় প্রিন্টার হেড কাগজকে স্পর্শ করে প্রিন্ট করে । তাই ঘর্ষনের ফলে শব্দের সৃষ্টি হয় । ইমপ্যাক্ট প্রিন্ট্রারে লেখা এবং ছবির প্রিন্ট খুব পরিস্কার আসে না । ডট ম্যাট্রিক্স , লাইন প্রিন্টার , ডেইজি হুইল প্রিন্টার ইত্যাদির এই প্রিন্টারের উদাহরন ।

ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারঃ

এই ধরনের প্রিন্টারের প্রিন্ট হেডে একগুচ্ছ পিন থাকে, অনেকটা টাইপ রাইটারের মতো । প্রিন্ট করার সময় ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের হেড কালিযুক্ত রিবনের ওপর আঘাত করে কাগজের ওপর প্রয়োজনীয় অক্ষর ফুটিয়ে তোলে । এই প্রিন্টারের প্রিন্ট হেডটি, পিন এর সাহায্যে কাগজের ওপর ছোট ছোট ডট বা ফুটকি দ্বারা বিভিন্ন হরফ বা গ্রাফিক্স ছাপায় । ফলে যে অক্ষরগুলি তৈরি হয় তার প্রিন্ট কোয়ালিটি খুব পরিস্কার নয় । এই প্রিন্টারে প্রিন্ট করার সময় কাগজের ওপর ঘর্ষণের ফলে শব্দের সৃষ্টি হয় ।

(B) নন ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার (Impact Printer) :

এই ধরনের প্রিন্টারগুলি কাগজকে স্পর্শ না করে তাই এই ধরনের প্রিন্টারে প্রিন্ট করার সময় কোনোরূপ শব্দের সৃষ্টি হয় না । এই ধরনের প্রিন্টারে লেখা ও ছবি খুব পরিস্কার প্রিন্ট হয় । ইঙ্কজেট / ডেস্কজেট , লেজার , থার্মাল প্রিন্টার ইত্যাদি এই প্রিন্টারের উদাহরন ।


ইঙ্কজেট প্রিন্টারঃ

এই প্রিন্টারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল প্রিন্টারগুলিতে তরল কালি ব্যবহার করা হয় । এই প্রিন্টারে দুই প্রকার কার্টিজ ব্যবহৃত হয় । একটি কার্টিজে নীল (Cyan) , ম্যাজেন্টা (Magenta) এবং হলুদ (Yellow) রঙের কালি থাকে ,অপরটিতে শুধুমাত্র কালো (Black) কালি থাকে । কার্টিজগুলির নীচে সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত নজেল বা নল থাকে । সেই ছিদ্র দিয়ে কালি স্প্রে-র মাধ্যমে বিভিন্ন অক্ষর বা ছবি প্রিন্ট হয় । এই প্রিন্টারের সাহায্যে প্রিন্ট করার সময় কাগজের ওপর কোনোরূপ ঘর্ষণ না হওয়ার ফলে প্রিন্টের সময় কোনো শব্দ সৃষ্টি হয়  না । ইঙ্কজেট প্রিন্টারে ছাপার মান খুবই ভাল এবং প্রিন্টারগুলির দামে সস্তা হওয়ায় স্কুল - কলেজ , বাড়ীতে ও বিভিন্ন সংস্থায় এই প্রিন্টার ব্যবহার করা  হচ্ছে ।

লেজার প্রিন্টারঃ

লেজার প্রিন্টারের কার্যপ্রণালী অনেকটা জেরক্স মেশিনের মতো । এই মেশিনের কালি কার্বন গুঁড়োর মতো এবং কালি টোনারের ভেতরে থাকে । প্রিন্টারের ড্রামের ভেতর দিয়ে যখন কাগজটি প্রেরিত হয় তখন টোনারের কালির সাহায্যে কাগজে ছবি বা লেখা প্রিন্ট হয় । এই ধরনের প্রিন্টারে খুব দ্রুত প্রিন্ট করা যায় । এই প্রিন্টারে ছাপার মান খুবই উন্নত এবং ছাপার স্থায়িত্ব অনেক বেশি। তাই এই প্রিন্টারই সবথেকে দামী ।

(iii) প্লটার (Plotter) :

প্লটার হল প্রিন্টার এর মতোই আর একটি আউটপুটব ডিভাইস, যেটি প্রিন্ট করতে পারে । প্লটারে একটি কালিপূর্ণ কলম থাকে , যার দ্বারা কাগজ বা অন্য কোনও জিনিসের ওপর প্রিন্ট করা যায় । এই প্রিন্ট সাদা - কালো বা রঙিন উভয়ই হতে পারে । সেক্ষেত্রে অনেকগুলি কালিপূর্ণ কলম যুক্ত থাকে । প্লটার বিভিন্ন ভৌগোলিক মানচিত্র , আবহাওয়া সংক্রান্ত মানচিত্র , বিভিন্ন ধরনের বড় বড় সাইন বোর্ড, ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং , বিঞ্জাপনের পোস্টার, হোর্ডিং প্রিন্ট-এর কাজে ব্যবহার করা হয় । 

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment