logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

Linux-এর পরিচিতি!


Linux:

 আপনি শুনেছেন হয়তো, Linux একটা Operating System.  কথাটা যে পুরোপুরি ভুল, তা নয়। আবার একদম ঠিকও নয়। এমনিতে Linux একটা Kernel. তো এই Kernel আবার কী? এটা একটি Operating System-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। Kernel-এর কাজ হলো, Hardware ও software-এর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করা।

Windows-এর একটা Kernel আছে, যার নাম NT, Mac ও Esser Kernel হলো XNU. তবে এই Kernel হলো Closed Source. Linux Kernelটি Open Source. Open Source-এর সুবিধা কি? ব্যাখ্যায় এখন না যাই, সহজ একটি উত্তর হলো, XNU আর NT অথবা Mac OS বা Windows এর উপর ভিত্তি করে কেউ নিজের একটা OS তৈরি করতে পারবে না। Apple আর Windows এগুলো নিজেদের আওতায় রেখে দিয়েছে। আর Linux? সবার জন্য উম্মুক্ত!

একটা Kernel তৈরি কিন্তু খুব সোজা বিষয় নয়! আর সেটাকে Open Source করে দেওয়া আশ্চর্যজনক ব্যাপার। তাই Linux  Kernel -এর ওপর ভিত্তি করে অনেক Operating System গড়ে উঠেছে, যেমন, Ubuntu, Fedora, Linux Mint, Manjaro প্রভৃতি। মজার একটা ব্যাপার হলো Microsoft নিজেও Linux Kernel ব্যবহার করে তাদের Azure Project-এ, কারণ সেখানে NT Kernel উপযুক্ত নয়। Googleও তাদের Chrome OS, Android Linux-এর ভিত্তি করে তৈরি করেছে।

একটু আগে বলেছি, Linuxকে Operating System বলাটা পুরোপুরি ভুল নয়। আসলে কথাটা হওয়া উচিত GNU/Linux. GNU হলো মুক্ত Software-এর একটি সংগঠন, যার সাথে Linux গড়ে উঠেছে। GNU-র মাধ্যমেই মূলত Open Source License জনপ্রিয় হয়েছে আর GNU/Linuxকে বলা যায় GNU-র Operating System.

তো, শুধু Linux বললে Linux Kernel বোঝানো হয়, আর GNU/Linux বললে Operating System. তবে এত কঠিন শব্দ তো কেউ বলতে  চায় না, তাই Operating Systemকেও অনেক সময় শুধু Linux বলা হয়, আর এটা সাধারণ মানুষের জন্য বেশি বোধগম্য হয়। এই লেখাতেও আমরা Linux Operating System বোঝাতে অনেক সময়ই শুধু Linux ব্যবহার করব।

তবে Linux ভিত্তিক সব Distro GNU/Linux-এর অন্তর্গত না। যেমন, আমরা যে Android ফোনগুলো ব্যবহার করি, তারও মূলে রয়েছে Linux Kernel, তবে Android ঠিক বিশুদ্ধ Linux না। তারা Linux Kernel-এর একটি Modified Version ব্যবহার করে এবং GNU-র Component গুলো ব্যবহার করে না। তাই Androidকে Linux বলা যায়, কিন্তু GNU/Linux বলা হয় না।

Linux Distros and Distro Families:

GNU/Linux Operating System কথাটি শুধু একটি Operating System-কে নির্দেশ করে না, Linux Kernel ভিত্তিক অনেক Operating System আছে। তার কয়েকটির নাম আপনি শুনে থাকবেন। যেমন, Debian, Ubuntu, Linux Mint, Redhat, Fedora, Arch, Manjaro, Solas প্রভৃতি। এই Operating Systemগুলোর প্রতিটিকে বলা হয় Linux Distribution, সংক্ষেপে বলা হয় Linux Distro.

মজার একটা বিষয় হলো Linux-এর distroগুলো সাধারণত Open Source হয়ে থাকে। তাই দেখা যায় একটি Distro-র ওপর ভিত্তি করে আরো Distro গড়ে ওঠে। যেমন ধরা যাক, Debian একটি স্বাধীনভাবে গড়ে ওঠা Linux Distro, আবার Debian-কে আরো সহজ এবং আরো Functionallyটি যুক্ত করে গড়ে উঠেছে Ubuntu. এরকম আরো কিছু Debian ভিত্তিক Distro আছে, যেমন Deepin, MX Linux, Ubuntu সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় Distro.

এদের মধ্যে Desktop জগতে Ubuntu বিশেষভাবে জনপ্রিয়। Ubuntuকে Debian থেকে আরো সহজ, User-Friendly ও Functional করা হয়েছে। Ubuntu ভিত্তিক Distroর তালিকাটাও অনেক বড়। এর মধ্যে Linux Mint, Pop OS, Zorin OS, Elementary OS প্রভৃতি পরিচিত নামগুলো পরিচিত। Linux Mint-এর আবার একটি বিশেষ সংস্করণ আছে যেটি সরাসরি Debian ভিত্তিক, Linux Mint Debian Edition.

তো একটি Distro, তার উপর ভিত্তি করে তৈরি Distro, আবার সেগুলোর উপর ভিত্তি করে তৈরি Distro সবগুলো একত্রে Distro Family বা পরিবার। অর্থাৎ, Ubuntu, Mint, Pop, Zorin, Elementary সবাই Ubuntu পরিবারের সদস্য এবং এগুলোসহ Deepin, MX Linux, Linux Mint Debian Edition প্রভৃতি নিয়ে Debian পরিবার। একইভাবে Arch Family-তে আছে Arch, Manjaro, Magpie, Entargos প্রভৃতি। RedHat Family-তে CentOS, Fedora প্রভৃতি।

Redhat ও Debian-এর  File Formats .rpm ও .deb বলে প্রায়সই এদের Family-এর Distroগুলোকে RPM-ভিত্তিক বা Deb-ভিত্তিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। Arch-এর Package Manager, Pacman বলে Arch Family-কে কখনো কখনো Pacman-ভিত্তিক হিসেবে বলা হয়। Debian, Redhat ও Arch পরিবারের বাইরেও অনেক Linux Distro আছে, যেমন, Solus, Slackware, Gentoo প্রভৃতি।

Release Schedule

সাধারণত দেখা যায় Distroগুলো একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে Release করা হয়। কিছু Distro খুবই Strictly এই নিয়ম মেনে চলে। যেমন Ubuntu প্রতি 6 month অন্তর একটি করে নতুন Release আনে আর প্রতি 2year অন্তর একটি করে LTS Release। আবার Arch দেখা যায় ক্রমাগত Upgrade করতেই থাকে।

  1.  আমরা দুই ভাগে Release Scheduleকে ভাগ করতে পারি। (i) Point Release (ii) Rolling Release.
  1. Fixed Release/Point Release: একটা সময় পরপর নতুন মেজর Release হয়, যাতে বেশ বড় ধরণের পরিবর্তন আসে। আর নিয়মিত ছোটখাট OS Update, Software Update, Bug Fix, Security Patch এসব আসে। উবুন্টু একটি Point Release Distro.
  2. Rolling Release: নিয়মিত Update আসতে থাকে। এখানে নতুন Version-এ Upgrade করার বিষয় নেই। Frequently updated হওয়াতে যদি ভালো Internet Connection না থাকে, তখন Regular Update রাখাটা সময়সাপেক্ষ। Arch একটি Rolling Release Distro.

(Long-Term Support)LTS: Point Release-এর একটি বিশেষ ধরণ রয়েছে, যাকে বলা হয় LTS বা Long Term Support. এই Version গুলোতে সাধারণ Release-এর চেয়ে বেশিদিন Support ও Update দেওয়া হয়। যেমন, Ubuntu সাধারণ  Releaseগুলোতে 9 Month করে Bug Fix, Update ও Support দেয়, তবে LTS Version গুলোতে 5 Year Support দেওয়া হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে Extended Maintenance (Paid for Enterprise Use/Free for Personal Use) Offer করা হয়।

অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে Productive কাজ বা Official কাজে কিছুদিন পরপর OS Upgrade করা অনেক ব্যাপার। এখনো দেখা যায় কিছু অফিসে XP বা 7 ব্যবহার হচ্ছে। এরকম ক্ষেত্রে LTS Versionগুলো কাজে আসে।

Introduction To The Distro

Distro তো অনেক আছে, আমরা অল্প কয়েকটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি- যেগুলো Home User-দের জন্য উপযুক্ত। এই তালিকায় Debian-Family Distros বেশি রয়েছে এদের অভিজ্ঞতা, বিশ্বস্ততা ও বিস্তৃত Userbase-এর জন্য।

Ubuntu 

2004 সালে Ubuntu যাত্রা যখন শুরু হয়, তখনো Desktop-এর জগতে Linux প্রায় অচেনা। Server বা Super Computer-এর মত অতি Professional জগতেই Linux-এর ঘোরাফেরা। সেখান থেকে Desktop-এ Linux-কে সহজলভ্য করার জন্য Ubuntu অবদান অনেক বেশি। প্রাচীন আফ্রিকান শব্দ Ubuntu-র অর্থটা বেশ চমৎকার, ‘Humanity Towards Others’, অন্যদের প্রতি মানবতা। এর আরেকটা অর্থ আছে, সকলের জন্যই আমি আমার মত।

Ubuntu Debian পরিবারের সদস্য। Debian নিজে অবশ্য একটু কাঠখোট্টা ধরণের। তবে Ubuntu খুবই সহজে ব্যবহারযোগ্য ও সুন্দর একটি Distro. এটি একটি Point Release Distros. বছরে (April and December) দুটি করে নতুন Release আনে Ubuntu, যেগুলোতে 9 Month করে Support প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, 2 Year পরপর LTS Edition আনে তারা, যেখানে Support দেওয়া হয় অন্তত 5 Year.

Ubuntu বলতে সাধারণত এর Gnome Edition-কে বোঝানো হয়। অবশ্য Ubuntu-র Gnome বেশ Customized, যেখানে নতুন ব্যবহারকারীরা সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। এখানে Dark Modও রয়েছে। Orange এবং Purple একটা ভাব রয়েছে পুরো UIতে, যেটা বেশ ব্যতিক্রমধর্মী।

তবে এর আরো কিছু Flever আছে। যেমন, Kubuntu,Lubuntu,Xubuntu,Ubuntu Mate,Ubuntu Budgie যারা যথাক্রমে KDE,LXQt, XFCE, Mate ও Budgie.

Deepin

একটা Operating System কতটা সুন্দর হতে পারে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো Deepin. সুন্দরতম Operating System-এর তালিকায় শীর্ষস্থানটি সহজেই অর্জন করতে পারে এই Chinese Linux Distribution টি। এটি অবশ্য Ubuntu ভিত্তিক নয়, Debianভিত্তিক। এটিও একটি Point Release Distro, তবে Ubuntu মত Strict কোন Schedule নিয়ন্ত্রণ করে না।

Arch Linux

Arch অবশ্য নতুনদের জন্য একদমই নয়, আসলে এটা Install করতেও বেশ দক্ষতা প্রয়োজন। এই Distroটি একটু অন্যরকম। এখানে শুরুতে শুধু Command লাইন ধরিয়ে দেওয়া হয়, আর কিছু না। Installation Command লাইনেই করতে হয়। এরপর পছন্দমত Desktop Interface বা Window Manager ও প্রয়োজনীয় Softwareগুলো Install করে নিতে হয়।

যারা সবকিছু নিজের মত গুছিয়ে নিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য Arch বিশেষভাবে উপযুক্ত। অবশ্যই এটা চালাতে হলে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। Arch Wiki Arch চালানোর জন্য চমৎকার একটি Guideline. তাদের Forum ও রয়েছে। Arch Linux একটি Rolling Release Distros, অর্থাৎ ক্রমাগত আপডেট হতে থাকে এবং Up to date software পাওয়া যায়। এটি Linux Kernel ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে Develop করা হয়েছে, অন্য কোন Distro ভিত্তি করে নয়।

Fedora

Red Hat Enterprise Linux-এর Community Edition হলো Fedora. Redhat Commercial, তবে Fedora বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এটি RPM-ভিত্তিক। Fedora Release পদ্ধতি মূলত Point Release, বছরে দুটো Version Release হয়। তবে কিছুটা Rolling প্রভাবও এখানে আছে, যেমন বিভিন্ন Regularly up to date in Software Stable Version রাখা। এভাবে Stability ও up-to-date থাকার মধ্যে তারা একটি ব্যালেন্স রক্ষা করে।

Fedora বেলায় মূল Edition GNOME এবং আরো কিছু Spins আছে, যেমন, কেডিই, XFCE, মাতে Compiz, Cinnamon, LXDE, LXQT, SOAS প্রভৃতি আছে। অন্য Distro গুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত Desktop Environmentগুলো নিজেদের মত কমবেশি Customization থাকে। Fedora এখানে তাদের Branding সহ Out of the Box Desktop Environment গুলোর অনেকটা বিশুদ্ধ রূপ প্রদান করে থাকে।

Linux Distro ব্যবহারের সুবিধা:

  1.  Free ও Open Source, এটি যেকোনো Device-এ ব্যবহার করতে, কাউকে মূল্য পরিশোধ করতে হয়না।
  2. একটি Operating System ব্যবহার করতে যে ধরনের Software থাকা প্রয়োজন তার সবটাই Linux Distro-তে দেওয়া থাকে। যেমন: Web Browser, Media Player, File Manager সহ অন্যান্য।
  3. Linux-এ রয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী Malware থেকে সংরক্ষণ ব্যবস্থা, যার কারণে কোনো Antivirus Software ব্যবহার করতে হয়না।
  4. Developer-রা আমাদের থেকে বেশী নিজেদের Privacy নিয়ে সচেতন তাই তারা এটি এমন ভাবে তৈরী করেছে যাতে আমাদের কোনো হ্যাকারের কবলে পড়তে না হয়।
  5. Linux-এর যেকোনো Distro Hardware-এর Resource অনেক কম পরিমাণে ব্যবহার করে থাকে, যার ফলে অনেক পুরাতন বা নূন্যতম Configuration PC-তেও এটি দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন রকম Lightweight(হালকা) Distro তো আছেই।
  6. Linux ভিত্তিক প্রতিটি Distro-র জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা Community যেখানে সবরকম সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যেই রয়েছে। community সাপোর্টের জন্য অধিকাংশ ডিস্ট্রোই অনেক কম সময়ে মানুষের ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে।
  7. বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের Developer-দের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে Linux ও Open Source Software গুলো তৈরী হচ্ছে। তার মানে Linux আমাদের জন্য এবং আমাদের দ্বারাই তৈরী হচ্ছে, এর থেকে বড় সুবিধা আর কি হতে পারে!

কিছু ভুল ধারণা:

অনেকেই মনে করে যে, Linux ব্যবহার করতে হলে কম্পিউটারে অনেক বেশী দক্ষতার প্রয়োজন হয় বা Programming জানতে হয় অথবা এটি অনেক জটিল কিছু ইত্যাদি। এটি সম্পূর্ণ নিজের তৈরীকৃত ভ্রান্ত ধারণা। যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষই Linux ব্যবহার করতে পারে এর জন্য উচ্চমানের প্রযুক্তি দক্ষতার প্রয়োজন হয়না।

Linux-এর পরিচিতি নিয়ে শেষ কথা:

  • আজকে  Linux-এর পরিচিতি নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল। 
  • আশা করছি এই আর্টিকেলে দেওয়া Linux-এর Basic আপনাদের পছন্দ হয়েছে । 
  • যদি এই আর্টিকেল আপনাদের সত্যি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি  Share করতে ভুলবেন না।

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment