logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

প্রাচীন কালের পূর্ব ঐতিহ্যবাহী ধর্ম পরিচালনার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ছিল?


প্রাচীন কালের পূর্ব ঐতিহ্যবাহী ধর্ম পরিচালনার প্রধান বৈশিষ্ট্য

প্রাচীন কালের পূর্ব ঐতিহ্যবাহী ধর্ম পরিচালনার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল অত্যন্ত গভীর এবং জটিল। এ ধর্মগুলো প্রাকৃতিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত ছিল। প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:

  1. প্রকৃতি পূজা: প্রাচীন ধর্মগুলোতে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমন সূর্য, চাঁদ, জল, বায়ু, অগ্নি, এবং পৃথিবী পূজিত হতো। এদেরকে দেবতা বা দেবীর প্রতীক হিসেবে মানা হতো এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পূজা নিবেদন করা হতো।

  2. আত্মা ও পূর্বপুরুষ পূজা: প্রাচীন মানুষেরা বিশ্বাস করত যে, মৃত্যুর পরে আত্মারা জীবিতদের উপর প্রভাব ফেলে। এজন্য তারা পূর্বপুরুষদের পূজা করত এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করত।

  3. টোটেমিজম এবং অ্যানিমিজম: অনেক প্রাচীন সমাজে প্রাণী, উদ্ভিদ, পাথর, নদী ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে আত্মা বা জীবনীশক্তির উপস্থিতি বিশ্বাস করা হতো। টোটেমিজম হল নির্দিষ্ট প্রাণী বা প্রাকৃতিক উপাদানের প্রতি গোষ্ঠীভিত্তিক শ্রদ্ধা ও পূজা।

  4. বহুদেবতাবাদ: প্রাচীন ধর্মগুলোতে বহু দেব-দেবীর পূজা করা হতো, যেখানে প্রতিটি দেবতার একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা বা ক্ষমতা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ফসলের দেবতা, যুদ্ধের দেবতা, প্রেমের দেবী ইত্যাদি।

  5. ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান: প্রাচীন ধর্মগুলোর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব। এ ধরনের আচার-অনুষ্ঠানগুলো প্রায়ই প্রাকৃতিক ঘটনা, ঋতুচক্র, জন্ম, মৃত্যু, এবং ফসল কাটার সময় পালন করা হতো।

  6. যাজকতন্ত্র এবং ধর্মগুরু: প্রাচীন সমাজে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিশেষায়িত যাজক বা ধর্মগুরু থাকত। এরা সমাজের মধ্যে বিশেষ মর্যাদা পেত এবং ধর্মীয় কাজ পরিচালনা করত।

  7. পবিত্র স্থান এবং মন্দির: প্রাচীন ধর্মগুলোতে পবিত্র স্থান এবং মন্দির ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এখানে দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হতো এবং নিয়মিত পূজা-অর্চনা করা হতো।

  8. যজ্ঞ এবং বলিদান: প্রাচীন ধর্মীয় প্রথাগুলোর মধ্যে যজ্ঞ এবং বলিদান ছিল একটি সাধারণ অনুশীলন। দেবতাদের খুশি করার জন্য পশু বলি, খাদ্য, ফুল ইত্যাদি নিবেদন করা হতো।

  9. মন্ত্র এবং জপ: প্রাচীন ধর্মে বিভিন্ন মন্ত্র এবং জপ করা হতো, যা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মন্ত্রগুলো ছিল সাধারণত দেবতাদের স্তব এবং প্রার্থনার জন্য ব্যবহৃত।

  10. মৃত্যু এবং পরজন্ম বিশ্বাস: প্রাচীন ধর্মগুলোতে মৃত্যু এবং পরজন্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা ছিল। অনেক ধর্ম বিশ্বাস করত যে মৃত্যু শুধুমাত্র এক জীবন থেকে আরেক জীবনে পরিবর্তনের একটি ধাপ।

এই বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাচীন কালের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং বিশ্বাস ব্যবস্থার মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত ছিল এবং সমাজের বিভিন্ন দিক পরিচালনা করত।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment