উনিশ শতকে চার্লস ব্যাবেজ তার ডিফারেন্স ইঞ্জিনের (Difference Engine) জন্য নকশাকৃত প্রথম কম্পিউটার প্রিন্টার যান্ত্রিকভাবে চালিত ডিভাইস; যাইহোক, তার যান্ত্রিক প্রিন্টারটি ২০০০ অবধি ডিজাইন করা হয়নি।
প্রথম বৈদ্যুতিন প্রিন্টারটি ছিল EP-101, জাপানী সংস্থা Epson আবিষ্কার করেছিলেন এবং ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রথম বাণিজ্যিক মুদ্রকগুলি সাধারণত বৈদ্যুতিন টাইপরাইটার এবং টেলি টাইপ মেশিনগুলি থেকে প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। উচ্চ গতির চাহিদা বিশেষত কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য নতুন সিস্টেমের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে।
১৯৮০-এর দশকে টাইপ রাইটারের মতো ডেইজি হুইল সিস্টেম ছিল, লাইন প্রিন্টারের মতোই আউটপুট ছিল তবে অনেক বেশি গতিতে এবং ডট ম্যাট্রিক্স সিস্টেম যা পাঠ্য এবং গ্রাফিকগুলিকে মিশ্রিত করতে পারে তবে তুলনামূলকভাবে নিম্ন মানের আউটপুট তৈরি করতে পারে।
প্লট্টরটি ব্লুপ্রিন্টের মতো উচ্চমানের লাইন আর্টের প্রয়োজনীয় লোকদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
HP LaserJet ১৯৮৪ সালে প্রথম স্বল্পমূল্যের প্রিন্টার চালু হয়েছিল।
১৯৯০ এর মধ্যে, ফ্লায়ার এবং ব্রোশিয়ারের মতো সহজ মুদ্রণ কাজগুলি এখন ব্যক্তিগত কম্পিউটারে তৈরি করা হয়েছিল এবং তারপরে লেজার প্রিন্টারে মুদ্রিত হয়েছিল।
১৯৯০ দশক এবং ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে ইন্টারনেট ইমেলের দ্রুত বৃদ্ধি দস্তাবেজ স্থানান্তর করার মাধ্যম হিসাবে মুদ্রণের প্রয়োজনীয়তাকে বহুলাংশে স্থানচ্যুত করে।
২০১০ সালের দিকে, 3D প্রিন্টিং আরও বেশি আগ্রহের একটি অঞ্চল হয়ে উঠেছে, 3D অবজেক্টগুলি মুদ্রণ করা সহজ করে তোলে।
Printer হলো একটি Electronic Device যার মূল কাজ হলো একটি কম্পিউটারের থেকে Text এবং Graphics এর আউটপুট (Output) প্রাপ্ত করা এবং প্রাপ্ত করা তথ্য (Information) গুলোকে একটি Blank Paper এর মধ্যে ছাপা বা প্রিন্ট করা।
প্রিন্টার এর মাধ্যমে উৎপন্ন হওয়া Printed Output Copy টিকে Hard Copy বলে বলা হয় যেটা মূলত যেকোনো Electronic Document এর একটি Physical Form.
যদি একটি কম্পিউটার এর সাথে সম্পর্কিত করে দেখা হয়, তাহলে প্রিন্টার হলো একটি হার্ডওয়্যার আউটপুট ডিভাইস (Hardware Output Device) যার কাজ হলো কম্পিউটার থেকে গ্রহণ করা আউটপুট বা ডাটা (Data) এবং তথ্য (Information) গুলোকে কাগজের মধ্যে ছাপা (Print).
মানে, Hard Copy তৈরি করা বা যেকোনো ডকুমেন্ট (Document) গুলোকে প্রিন্ট করা।
একটি ডকুমেন্ট বলতে সেটা একটি Text file, Image file বা দুটোই একসাথে একটি ফাইলে হতে পারে।
যেকোনো প্রিন্টার এর মান বা কোয়ালিটি “Dot Per Inch (DPI)” এর ওপরে মাপা হয়।
কিছু কিছু প্রিন্টার ব্যবহার করা হয় যেগুলো কেবল Black & White Print করতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আধুনিক Printer গুলোকে ব্যবহার করা হয় যেগুলোর মাধ্যমে Color Print করা সম্ভব।
Printing Technology ওপরে ধ্যান দিয়ে প্রিন্টার গুলোকে দুটো ভাগে বিভাজিত করা হয়েছে।
এবং প্রত্যেকটি ভাগের প্রিন্টার গুলো আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে থাকে।
প্রিন্টার এর প্রথম ভাগ হলো, “Impact printer“, এবং দ্বিতীয় ভাগ হলো, “Non-impact printer“.
ভালো করে দেখলে Impact printer গুলো কিন্তু একটি Typewriter এর মতোই কাজ করে থাকে।
প্রত্যেক অক্ষর, চিহ্ন বা চরিত্র গুলোকে পেপার এর মধ্যে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে Hammer দিয়ে এর Ink Ribbon এর মধ্যে Strike করা হয় এবং Ink Ribbon টিকে চাপ দিয়ে Paper এর মধ্যে দাবানো হয়।
আর এভাবেই উপযুক্ত চরিত্র গুলো একটি পেপার বা কাগজের মধ্যে প্রিন্ট হয়ে যায়।
Dot Matrix Printer এই Impact printers গুলোর একটি উদাহরণ।
Non-impact printer এর কথা যখন বলা হয় তখন মুখ্য রূপে Inkjet printer এবং Laser printer এর আলাদা আলাদা দুটো প্রকার।
Inkjet printer এর মধ্যে Nozzles এর সাহায্যে ink এর কিছু ছোট ছোট ফোঁটা (Droplets) গুলোকে স্প্রে (Spray) করে Characters এবং images গুলোকে তৈরি করা হয়।
তবে, Laser printer একটি আলাদা তবে অধিক উন্নত প্রযুক্তির (Technology) ব্যবহার করে প্রিন্ট করে থাকে।
এই ধরণের প্রিন্টার, প্রিন্ট গুলোকে একটি Mirror এর মাধ্যমে Laser Beams এর দ্বারা Drum নামের একটি Metal Cylinder এর মধ্যে প্রেরণ করে থাকে।
এবার Static Electricity মাধ্যমে, Cartridge থেকে Drum এর মধ্যে Powdered Toner গুলোকে প্রেরণ করা হয়।
Drum এর কাজ হলো toner টিকে Paper এর ওপরে প্রিন্ট হিসেবে Roll করা।
চলুন এখন আমরা Printer এর কিছু Specifications গুলোর বিষয়ে জেনেনেই যেগুলোর মাধ্যমে আলাদা আলাদা প্রিন্টিং এর প্রকারের মধ্যে পার্থক্য করা যেতে পারে।
Color: একটি প্রিন্টার এর মধ্যে সব থেকে আগেই দেখতে হয় তার কালার (color) করার ক্ষমতা। Presentations, Maps, Image ইত্যাদি এই ধরণের Documents গুলো Print করার ক্ষেত্রে Color অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি আপনার Color print এর প্রয়োজন নেই তাহলে আপনি একটি Monochrome printer নিতে পারেন যার মাধ্যমে কেবল Black & White প্রিন্ট করা সম্ভব
Speed: যদি আপনার প্রচুর documents গুলোকে প্রিন্ট করতে হয়, তাহলে printing speed অবশই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমনিতে সস্তা এবং বাজেট প্রিন্টার গুলো 3 to 6 sheets প্রত্যেক minute এর মধ্যে প্রিন্ট করতে পারে। কালার প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে আরো অধিক সময় লাগবে। তাই, যত ভালো এবং দামি printer কিনবেন ততটাই ভালো printing speed আপনি পাবেন।
Memory: বেশিরভাগ প্রিন্টার গুলোতেই কিন্তু সাধারণ বা সামান্য পরিমানের কিছুটা মেমরি (memory) দেওয়া থাকে যেগুলোকে ইউসার (user) দ্বারা বাড়ানো সম্ভব। মিনিমাম মেমরির থেকে অধিক মেমরি থাকলে সুবিধাজনক ভাবে এবং দ্রুত গতিতে বড় বড় images এবং files গুলোকে প্রিন্ট করতে পারবেন।
Resolution: প্রিন্টার এর resolution এর ওপরেই একটি page এর মধ্যে print করা image বা text এর sharpness এর কোয়ালিটি নির্ভর করে থাকে। Printer এর resolution মাপার জন্য dots per inch (dpi) এর ওপরে নজর দিতে হয়।
এমনিতে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রকারের প্রিন্টার গুলো রয়েছে যেগুলো লোকেরা ব্যবহার করতে পারেন।
তবে মূলত inkjet এবং laser printers এই দুই প্রকারের প্রিন্টার গুলো অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া, computer printers গুলোকে মুখ্য রূপে দুটি আলাদা আলাদা ভাগে বিভাজিত করা যেতে পারে।
এমনিতে, Impact printers এবং Non impact printers এর বিষয়ে ওপরে আমি আপনাদের আগেই বলেছি, এবং এই প্রিন্টারের প্রকার গুলোর ভেতরেও আলাদা আলাদা প্রকারের কিছু অন্যান্য প্রিন্টার গুলোকে রাখা হয়েছে।
এই ধরণের প্রিন্টার গুলো নিজের কাজ টাইপরাইটার (typewriter) এর মতোই করে থাকে।
এই ধরণের প্রিন্টার গুলো অক্ষর গুলোকে কাগজে ছাপার জন্য কালি পূর্ণ রিবন এর ওপরে জোরে জোরে চাপ দিয়ে থাকে যার ফলে অক্ষর গুলো কাগজের মধ্যে ছেপে (print) যায়।
তাই, এই ধরণের প্রিন্টার এর ক্ষেত্রে ink ribbon এবং paper এর মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হয়ে থাকে।
এই ধরণের প্রিন্টার গুলোর থেকে অধিক শব্দ বের হয়ে থাকে যদিও এগুলো অনেক জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন ব্যবসার ক্ষেত্রে এদের ব্যবহার হয়ে চলেছে।
ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার গুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য গুলো হলো,
Dot matrix printer গুলোকে pin printer বলেও বলা হয় যেটাকে 1957 সালে IBM দ্বারা release করা হয়।
এখনের সময়ে যদি Laser এবং Inkjet Printers এর সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে এর ব্যবহার প্রচুর কমে এসেছে।
এর মূল কারণ হলো, Dot Matrix Printer গুলোর Printing Speed তুলনামূলক ভাবে অনেক স্লো এবং এর দ্বারা Lower Quality Images উৎপন্ন হওয়া দেখা যায়।
তবে এর ব্যবহার এখনের সময়েও অনেক Businesses এবং Company গুলো করে থাকে।
যেমন, Package Delivery Companies এবং Auto Part Stores ইত্যাদি।
Character Printer হলো সেই ধরণের প্রিন্টার যেগুলো একবারে কেবল একটি অক্ষর ছাপতে পারে।
প্রিন্টিং স্পিড স্লো হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে এই ধরণের প্রিন্টার গুলো অনেক কম পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া, এই প্রিন্টার গুলো কেবল text প্রিন্ট করতে পারে যার জন্য অনেকেই এর ব্যবহার করতে চাননা।
মানে, এর দ্বারা graphics printing সম্ভব না।
ক্যারেক্টার প্রিন্টার এর আবার দুটো আলাদা আলাদা প্রকার রয়েছে,
এই ধরণের প্রিন্টার গুলো একেবারে সম্পূর্ণ অক্ষরের লাইন (line of text) প্রিন্ট করে নিতে পারে অন্য লাইনে যাওয়ার আগে।
এই কারণেই এই ধরণের প্রিন্টার গুলোকে লাইন প্রিন্টার বলে বলা হয়।
এদের প্রিন্টিং এর খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম, যার জন্য এখনের সময়েও এই প্রিন্টার গুলো অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়।
Impact printer গুলোর মধ্যে line printer, প্রচুর Pigh Speed Printer হিসেবে বলা যেতে পারে।
নাম শুনেই আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে এই ধরণের প্রিন্টার এর মধ্যে ড্রাম (drum) এর আকারের একটি বস্তু থাকে যেটা দ্রুত গতিতে ঘুরে।
এখানে, কাগজ সেই ড্রামের উপর লাগানো থাকবে।
একবার ঘূর্ণন সম্পন্ন করার বিপরীতে এই প্রিন্টার এক বার লাইন প্রিন্ট করে থাকে।
এই প্রিন্টার এর দ্রুততা প্রায়, ৩০০ থেকে ২০০০ ক্যারেক্টার প্রতি মিনিট হতে থাকে।
এই ধরণের প্রিন্টার এর ক্ষেত্রে print head এর সাথে কোনো সম্পর্ক থেকে থাকেনা।
এখানে প্রিন্টিং গুলো মূলত leaser technique এর দ্বারা করা হয়।
এদের প্রিন্টিং এর কোয়ালিটি অনেক দারুন এবং ভালো হয়ে থাকে এবং প্রিন্ট করার সময় শব্দ হয়না।
তবে, যদি ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এর সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে non impact printer এর খরচ (costing) বেশি হওয়া দেখা যায়।
এই ধরণের প্রিন্টার গুলোর সাহায্যে গ্রাফিক্স প্রিন্টিং অনেক সহজেই করা সম্ভব।
Non impact printer এর মুখ্য প্রকার গুলো হলো –
এছাড়াও এর অন্যান্য কিছু প্রকার গুলো হলো –
চলুন, non impact printer এর মূল প্রকার গুলোর বিষয়ে কিছুটা জেনেনেই।
Laser printer হলো একটি non impact printer যেটার ব্যবহার প্রায় ১৯৭০ সাল থেকেই হয়ে চলেছে।
বর্তমান সময়ে এই প্রিন্টার প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং অনেকেই লেসার প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকেন।
লেসার প্রিন্টার অন্যের দ্রুত গতিতে কাজ করে থাকে এবং এর প্রিন্ট কোয়ালিটি অবশই অনেক ভালো।
এই প্রিন্টারের ক্ষেত্রেও কিছু dots এর মাধ্যমেই paper এর ওপরে print করা হয়।
তবে, dots গুলো এতটাই ক্ষুদ্র হয়ে থাকে যে সেগুলোকে প্রিন্টিং কাগজের মধ্যে বোঝা যায়না।
Laser printer গুলোতে cartridge এর ব্যবহার করা হয় এবং এর ভেতরে ইংক পাউডার (ink powder) ঢালা হয়।
লেসার প্রিন্টার এর resolution প্রায় 300 থেকে 1200 DPI পর্যন্ত থাকতে পারে।
লেসার প্রিন্টার এর কিছু সুবিধা ও লাভ –
Inkjet printer গুলোকে ঘরে ঘরে এবং বেশিরভাগ দপ্তরে (offices) ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অধিক জনপ্রিয়।
এই ধরণের প্রিন্টার এর মধ্যে nozzle থেকে paper এর মধ্যে ink এর drops এর মাধ্যমে characters এবং graphics প্রিন্ট করা হয়।
সোজা ভাবে বললে, ink এর ব্যবহার করে text, graphics এবং images গুলোকে বিভিন্ন ধরণের কাগজের (paper) মধ্যে প্রিন্ট করা সম্ভব।
Inkjet printers গুলোকে CMYK Printer বলেও বলা হয়।
কারণ এখানে Cyan, Magenta, Yellow এবং Key (black) রং গুলোকে প্রিন্টিং এর প্রক্রিয়াতে ব্যবহার করা হয়।
এবং, এই রং গুলোর মিশ্রণ ঘটিয়ে যেকোনো রং এর প্রিন্ট পেপার এর মধ্যে নেওয়া যেতে পারে।
এই printer গুলোর ব্যবহার colored printer এর জন্য করা হয়।