logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

ছন্দের মাধ্যমে কবিতার গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য কেমন হয়?


ছন্দের মাধ্যমে কবিতার গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য

ছন্দের মাধ্যমে কবিতার গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়। এটি কবিতার শ্রুতিমাধুর্য ও পাঠের সময় ছন্দোময়তার অনুভূতি তৈরি করে। ছন্দের বিভিন্ন উপাদান গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে। নিচে ছন্দের মাধ্যমে কবিতার গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য কেমন হয় তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

 

1. গতি:

  • মাত্রা: ছন্দের মাত্রা (মোরা বা সিলেবল) কবিতার গতি নির্ধারণ করে। মাত্রার বিন্যাস অনুযায়ী কবিতার ধীর বা দ্রুত গতি নির্ধারিত হয়।

    • উদাহরণ: "আলো" (দু-মাত্রা), "আলোকিত" (পাঁচ-মাত্রা)।
    • ধীর লয়ের কবিতা সাধারণত দীর্ঘমাত্রার শব্দ নিয়ে গঠিত, যেমন: "নিশীথিনী"।
    • দ্রুত লয়ের কবিতা সাধারণত ছোট মাত্রার শব্দ নিয়ে গঠিত, যেমন: "পাখি"।
  • তাল: কবিতার পঙক্তির ধ্বনিগত বিন্যাস বা পুনরাবৃত্তি, যেমন স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দ, কবিতার গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    • স্বরবৃত্ত ছন্দে: "বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি" (৪/৪ মাত্রা)।
    • মাত্রাবৃত্ত ছন্দে: "আকাশেতে ফুল ফুটেছে" (৮/৬ মাত্রা)।
    • অক্ষরবৃত্ত ছন্দে: "তুমি আছো তাই" (৬/৬ অক্ষর)।

 

2. ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য:

  • অন্ত্যমিল ও ধ্বনির পুনরাবৃত্তি: ছন্দে শব্দের অন্ত্যমিল এবং ধ্বনির পুনরাবৃত্তি ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যকে মাধুর্যপূর্ণ করে তোলে। এটি শ্রুতিমধুরতা ও ছন্দোময়তা সৃষ্টি করে।

    • উদাহরণ:
      • অন্ত্যমিল: "ফুলের বনে মধুর হাসি, গানের সুরে বসন্ত আসে।"
  • উচ্চারণ ও ধ্বনিসমূহ: ছন্দের মাধ্যমে শব্দের সঠিক উচ্চারণ ও ধ্বনিসমূহের সুষম বিন্যাস কবিতাকে শ্রুতিমধুর করে তোলে। সঠিক উচ্চারণ ধ্বনির মাধুর্য বৃদ্ধি করে।

    • উদাহরণ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার ধ্বনিগত মাধুর্য।
  • বিরতি ও যতি: কবিতার ছন্দে সঠিক স্থানে বিরতি ও যতিচিহ্ন ব্যবহার করলে ধ্বনির মাধুর্য এবং পাঠের সময় ছন্দোময়তা বজায় থাকে।

    • উদাহরণ:
      • "বাঁধ ভেঙেছে, স্রোত গেছে চলে; নিঃশব্দ রাতে শূন্যতার কল্লোল।"

 

সারসংক্ষেপ:

ছন্দের মাধ্যমে কবিতার গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য সুষম ও মাধুর্যপূর্ণ হয়। যথাযথ মাত্রা, তাল, অন্ত্যমিল, উচ্চারণ, এবং বিরতির ব্যবহারে কবিতার ছন্দকে শৈল্পিক ও শ্রুতিমধুর করা যায়। এই উপাদানগুলির সুষম বিন্যাসে কবিতার গতি ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য নিখুঁতভাবে প্রকাশিত হয়, যা পাঠকের মনে সুষমতা ও মাধুর্যের অনুভূতি সৃষ্টি করে।

 

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment