ভারতের সংবিধানের ধারা ১৫ বৈষম্য বিরোধী বিধান নিয়ে আলোচনা করে। এই ধারাটি নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্র কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ, বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য করবে না।
ধারা ১৫ (১): "রাষ্ট্র শুধুমাত্র ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা জন্মস্থান বা এদের যে কোনো একটির ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে বৈষম্য করবে না।"
ধারা ১৫ (২): "কোনো নাগরিককে শুধুমাত্র ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ, জন্মস্থান বা এদের যে কোনো একটির ভিত্তিতে:
ধারা ১৫ (৩): "এই ধারার কোনো কিছুই নারীদের এবং শিশুদের জন্য বিশেষ বিধানের প্রণয়ন থেকে রাষ্ট্রকে বিরত রাখবে না।"
ধারা ১৫ (৪): "এই ধারার কোনো কিছুই, সমাজের অগ্রসর শৃঙ্খলার অন্তর্ভুক্ত নয় এমন কোন সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির বা তফসিলী জাতি এবং তফসিলী উপজাতির উন্নতি প্রণয়নমূলক বিধানের প্রণয়ন থেকে রাষ্ট্রকে বিরত রাখবে না।"
ধারা ১৫ (৫): "এই ধারার বা অনুচ্ছেদ (২) এর উপবিধান (ক) বা অনুচ্ছেদ ১৯-এর কোন কিছুই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে, রাষ্ট্র কর্তৃক এবং রাষ্ট্রের অর্থ সাহায্যে প্রাথমিকভাবে অথবা সংশ্লিষ্ট আইন দ্বারা স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে, অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে, কোন বিশেষ বিধান তৈরির অধিকার রাষ্ট্রকে বিরত রাখবে না।"
ধারা ১৫ বৈষম্য নিষিদ্ধ করার এবং সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার এবং সুযোগ নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই ধারা বিশেষভাবে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করে এবং নারীদের, শিশুদের, অনগ্রসর শ্রেণির এবং তফসিলী জাতি ও উপজাতির উন্নতির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দেয়।
-ধন্যবাদ