logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

এপিজে আব্দুল কালাম-এর জীবনী:


Dr. APJ Abdul Kalam-এর জীবনীঃ

Dr. APJ Abdul Kalam ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী (Indian Space Scientist) যিনি 2002 থেকে 2007 সাল পর্যন্ত ভারতের 11 তম President হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি 15 October, 1931 সালে Tamil Nadu-র Rameswaram-এ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জয়নুলাবদিন মারাকায়ার ও মায়ের নাম আশিয়াম্মা। তিনি পদার্থবিদ্যা (Physics) এবং মহাকাশ প্রকৌশল অধ্যয়ন করেন।Dr. APJ Abdul Kalam 2002 সালে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তৎকালীন বিরোধী ভারতীয় জাতীয় Congress Party উভয়ের সমর্থনে ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি (President) নির্বাচিত হন। ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়, APJ Abdul Kalam শুধুমাত্র একটি মেয়াদে কাজ করার পর শিক্ষা, লেখালেখি এবং জনসেবার বেসামরিক জীবনে ফিরে আসেন।

A.P.J. Abdul Kalam-এর প্রাথমিক জীবন

  • Dr. APJ Abdul Kalam 15 October, 1981 সালে পামবান দ্বীপের রামেশ্বরমের তীর্থস্থানে একটি তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এটি তখন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে মাদ্রাজ President-তে ছিল এবং এখন তামিলনাড়ু রাজ্যে রয়েছে।
  • APJ Abdul Kalam-এর বাবা জয়নুলাবদিন মারাকায়ার একজন নৌকার মালিক এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন এবং তার মা আশিয়াম্মা ছিলেন একজন গৃহিণী। তার বাবারও একটি ফেরি ছিল যা হিন্দু তীর্থযাত্রীদেরকে রামেশ্বরম এবং এখন জনবসতিহীন Dhanushkodi-র মধ্যে নিয়ে যেতেন।
  • APJ Abdul Kalam তার পরিবারে চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তার পরিবার ছিল ধনী মারাকায়ার ব্যবসায়ী এবং জমির মালিক, প্রচুর সম্পত্তি এবং প্রচুর জমি ছিল। 1914 সালে মূল ভূখণ্ডে পামবান সেতু খোলার সাথে সাথে, ব্যবসাগুলি ব্যর্থ হয় এবং পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও সময়ের সাথে সাথে পারিবারিক ভাগ্য এবং সম্পত্তি হারিয়ে যায়।
  • ছোটবেলায় Kalam-কে তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সংবাদপত্র বিক্রি করতে হয়েছিল, যা ছিল দারিদ্র্যপীড়িত এবং অল্প আয়ে বেঁচে থাকা।

A.P.J. Abdul Kalam-এর শিক্ষাজীবন –

  •  দিন কাটতে থাকে এবার কালামকে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে । পিতা ছিলেন বিদ্যানুরাগী , সংস্কৃত সাহিত্যের গল্পকথা Abdul-কে শোনাতেন । মা ঠাকুরমার মুখ থেকে Abdul রামায়ণ এবং মহাভারতের অনেক কাহিনীও শুনেছিলেন । এই ভাবে তাঁর হৃদয়ে সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবাহিত হয়েছিল । তিনি ভর্তি হলেন রামেশ্বরম Elementary School-এ । পাশাপাশি বেঞ্চে বসে Class করেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পু   ত্রের সঙ্গে । টিফিনে একই খাবার ভাগ করে খান । এখানে কোথায় যেন একটা অঘটন ঘটে গেল । Kalam তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । মাথায় টুপি পরতেন । এই টুপি দেখে বোঝা যেত A.P.J. Abdul Kalam মুসলমান পরিবারের সন্তান । ক্লাসে সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসতেন । একদিন কঠিন কঠোর নীতিবাগীশ শিক্ষকমশাই Abdul-কে প্রথম বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিলেন । Abdul এই অপমান অনেক দিন মেনে নিতে পারেননি । অবশ্য পরবর্তীকালে ওই মাস্টারমশাই তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন । তিনি Abdul-কে আবার প্রথম বেঞ্চে ডেকে নেন ।
  •  রামেশ্বরমে তখন ছোটো ছোটো সামাজিক গোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছিল । এক গোষ্ঠীর সদস্যের সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যের ক্ষমতার লড়াই চলত । এই ভেদনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের Flag তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক Shiva Subrahmanyam Iyer. আয়ার ছিলেন আবদুলের অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক ।
  •  Kalam বড়ো হলেন । গ্রামের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠলেন । খেতে ভালোবাসতেন মাদ্রাজি খাবার , কলা , ভাত আর সম্বর । লঙ্কার সঙ্গে চাটনি । Abdul-এর বাড়ি থেকে রামেশ্বরমের বিখ্যাত শিবমন্দিরটির দূরত্ব খুবই কম । সেই মন্দিরে মাঝে মাঝে যেতেন A.P.J. Abdul Kalam.
  •  চোখ বন্ধ করলে ছোটোবেলার খন্ড খন্ড ছবি ভেসে ওঠে । রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষিলছমন শাস্ত্রীর সঙ্গে পিতার আধ্যাত্মিক আলোচনা বুঝি এখনো শুনতে পান A.P.J. Abdul Kalam । মুসলমান পিতা এবং হিন্দু পুরোহিত দুধরনের পোশাক পরে একই বিষয় নিয়ে ভাববিনিময় করছেন । 
  • Salomon Reverend Kalam-কে বলেছিলেন , কোনো কাজ সার্থকভাবে পূর্ণ করার আগে তোমাকে সেই কাজটির জন্য বাসনা তৈরী করতে হবে । মনে মনে বারবার বলতে হবে , এই কাজটি আমার দ্বারাই হবে । এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আমি এই পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছি ।
  •  শিক্ষকের আর একটি কথা কালামকে উদ্দীপ্ত করত । পড়াতে পড়াতে তিনি প্রায়শই বলতেন , বিশ্বাসের জোরে তুমি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে । 
  • পরবর্তীকালে Kalam এই ব্যাপারটি নিজের জীবনে সত্যি বলে প্রমাণ করেছিলেন । সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি জগৎ সভায় ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

A.P.J. Abdul Kalam-এর কলেজ জীবন –

A.P.J. Abdul Kalam ছোটোবেলা থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানের এক অসাধারণ প্রভাবশালী ছাত্র । স্কুলের পরীক্ষাতে বরাবর কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন । তার কর্মজীবনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ 1950 সালে Saint Joseph's College-এ ভর্তি হলেন Kalam, Intermediate Course-এ । Saint Joseph's College থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে Graduate হওয়ার পর Madras Institute of Technology-তে ভর্তি হন Aerospace Engineering পড়ার জন্য।

A.P.J. Abdul Kalam-এর কর্মজীবন –

 1960– এ বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন ভারতের Defense Research and Development Organization (DRDO)। কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোট মাপের একটি Helicopter-এর Design করার মধ্য দিয়ে । কিন্তু দ্রুতই উত্থান ঘটে তার । ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা ISRO– র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি । দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত সামরিক Missile তৈরির প্রকল্পে জড়িত ছিলেন । মহাকাশযান ও Satellite বহনকারী PSLV এবং SLV Three Rockets তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ Missile Man ‘ বলা হয় তাঁকে । পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । 1998 সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ Pokhran – 2 ’ Project-এর, Chief Project Coordinator ছিলেন তিনি । 

 দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করা । রাষ্ট্রপতির পদে দাঁড়ানো এবং সেই পদে নির্বাচিত হওয়া । রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজে জড়িয়ে পড়া । নিজেকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্দ্ধে রাখা , এমন অনেক আদর্শ স্থানীয় কাজ করে আজ কালাম আমাদের কাছে এক মহান মানুষে পরিণত হয়েছেন । আজও মাঝে মাঝে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে ভাষণ দিতে যান । যেখানেই যান , সেখানেই তাঁর শিক্ষকসুলভ দার্শনিকতা প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে ।

 সব অর্থে Kalam-কে আমরা এক ভারতীয় ঋষির সঙ্গে তুলনা করতে পারি । জীবনে তিনি দ্বার পরিগ্রহ করেননি । আজীবন ব্রহ্মচারী তাপসের মতো জীবন কাটিয়েছেন । তাই তাঁর প্রতি আমরা আমাদের অন্তরের সশ্রদ্ধ প্রণিপাত নিবেদন করি । ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে A.P.J. Abdul Kalam-কে  এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসাবে আমরা অবশ্যই চিহ্নিত করব।

  A.P.J. Abdul Kalam-এর উল্লেখযোগ্য অবদান :

  •  Flight and Satellite বহনকারী PSV এবং SLV Three Rockets তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ Missile Man ‘ বলা হয় । পরমানু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য A.P.J. Abdul Kalam-এর অবদান অনস্বীকার্য । 1998 সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ Pokhran – 2 ’ Project-এর, Chief Project Coordinator ছিলেন তিনি  

A.P.J. Abdul Kalam -এর সন্মান গুলি –

  • এক নজরে সম্মান : পদ্মভূষণ (1981 ) পদ্মবিভূষণ (1990 ) Institute of Directors (India)-র  Distinguished Fellow (1994) ভারতরত্ন (1997) ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার (1997) বীর সাভারকর পুরস্কার ( 1998) রামানুজন পুরস্কার (2000) England-এর Wolverhampton বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক Doctorate (2007) KING CHARLES TO MEDAL (2007) আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (2008) সিঙ্গাপুরের Nanyang Technology বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক Doctorate (2008) California Institute of Technology's International Von Karmann Wings Award (2009) Hoover Medal (2009) Oakland, America বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক Doctorate (2009) Canada's Waterloo বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক Doctorate (2010) Institute of Electrical and Electronics Engineers সাম্মানিক সদস্যপদ (2011) Canada's Simon Fraser বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক Doctorate (2012) England Edinburgh বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক Doctorate (2014) । 

A.P.J. Abdul Kalam-এর মৃত্যু –

  • 27-শে July 2015 ভারতের পরমানু গবেষনার পথিকৃৎ তথা দেশের ‘ Missile Man ‘ , ভারতের একাদশতম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি A.P.J. ( Abul Pakir Zainul Abdin ) A.P.J. Abdul Kalam-এর (84 ) জীবনাবসান হয় ।
  •  27-শে July 2015 সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের IIM-এর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান । A.P.J. Abdul Kalam স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল । 
  • অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে "A.P.J. Abdul Kalam-এর জীবনী" পােস্টটি পড়ার জন্য। A.P.J. Abdul Kalam-এর জীবনী পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই A.P.J. Abdul Kalam-এর জীবনী পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। 

-ধন্যবাদ


Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment