মালভূমি "বিশ্বের ছাদ"
বিশ্বের ছাদ" হিমালয় মালভূমিকে বলা হয় কারণ এটি পৃথিবীর উঁচুতম পর্বতমালা এবং এটির সম্পূর্ণ সিস্টেম দুনিয়ার উচ্চ পর্বত শৃঙ্গের মধ্যে থাকে। এর জন্য এটি "বিশ্বের ছাদ" হিসেবে পরিচিত।
উচ্চতা এবং পরিসর: হিমালয় পৃথিবীর উঁচুতম পর্বতমালা এবং এর উচ্চতা অত্যন্ত বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ যা পৃথিবীর আকাশের দিকে উঠে থাকে। এর শৃঙ্গের উচ্চতা প্রায় ৮,৮৫০ মিটার (২৯,০০০ ফুট) হলেও এটি সংশোধন হতে পারে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: হিমালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত অদ্বিতীয় এবং এটি বিভিন্ন বিশেষ প্রাকৃতিক রমণীয় দৃশ্য প্রদর্শন করে। এখানে বরফের শিখর, হিমালয়ী বন, হাঁস, খাড়ি, জলাবদ্ধ ভূমি এবং বিভিন্ন জীববৈচিত্র্য অদম্য উপস্থিত।
গুরুত্ব ও ঐতিহ্য: হিমালয় মানব সভ্যতা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় এবং বৌদ্ধিক প্রভাবের কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হয়। এটি প্রাচীন ধার্মিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম মহাস্থান।
ভৌগোলিক গুরুত্ব: হিমালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল, যা বৃহত্তম নদীর উৎস হিসেবে গণ্য হয়। এখানে গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ইন্দুস ইত্যাদি নদীর উৎস অবস্থিত।
মানব অবস্থান: হিমালয় মানব বাসস্থান হিসেবে গণ্য হয়, এটি বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক রমণীয় স্থান।
এই কারণগুলির মধ্যে হিমালয়কে "বিশ্বের ছাদ" হিসেবে পরিচিত করা হয়। এটি পৃথিবীর একটি অদ্বিতীয় এবং স্বপ্নময় প্রাকৃতিক স্থান যেখানে নানান প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং ধর্মীয় সংস্কৃতির অনুভূতি করা যায়।
-ধন্যবাদ