প্রাচীন সমাজে বর্ণ ব্যবস্থা
প্রাচীন সময়ে বর্ণ ব্যবস্থা একটি সামাজিক ব্যবস্থা ছিল যা মূলত ভারতের বৃহত্তর অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থার ভিত্তি ছিল যে মানুষের সমাজের ভূমিকা তার জন্মগত গুণাবলী অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। বর্ণ ব্যবস্থা চার মৌলিক বর্ণে বিভক্ত হত।
ব্রাহ্মণ (বিদ্যাবান): ব্রাহ্মণ বর্ণটি সর্বোচ্চ বর্ণ হতো এবং তাদের দায়িত্ব ছিল ধর্মশাস্ত্র, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা-পাঠ ইত্যাদি কার্যক্রমে।
ক্ষত্রিয় (রাজা, যোদ্ধা): ক্ষত্রিয় বর্ণের মানুষগুলির দায়িত্ব ছিল সর্বাধিক শক্তি এবং প্রাধান্যের কাজ করা। তাদের কর্মক্ষেত্র ছিল যুদ্ধ, শাসন, রাজনীতি ইত্যাদি।
বৈশ্য (বাণিজ্যিক): বৈশ্য বর্ণের লোকগণ বাণিজ্য, ব্যবসা, কৃষি ইত্যাদি করত। তাদের দায়িত্ব ছিল অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াগুলি।
শূদ্র (কাজের মানুষ): শূদ্র বর্ণের লোকগণ প্রধানত শ্রমিক হতো, যাদের দায়িত্ব ছিল প্রধানত শ্রম ও অন্যান্য পরিশ্রমগুলি।
বর্ণ ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ব্রাহ্মণগণ সর্বোচ্চ স্থানে ছিলেন এবং তাদেরই মধ্যে সকল কাজের শ্রেষ্ঠত্ব বিবেচিত হতো। এই ব্যবস্থা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীগুলির মধ্যে একত্রে অধিকার এবং দায়িত্ব বিতরণ করে।
যদিও এই বর্ণ ব্যবস্থার বিপর্যয়ে জাতি ও জাতিগত বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু এটি প্রাচীন ভারতের সামাজিক ব্যবস্থার একটি প্রধান উপাদান ছিল। এই বর্ণ ব্যবস্থার মধ্যে পরিস্থিতি এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তন ঘটে এবং আধুনিক সময়ে এই ব্যবস্থার প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে।
ধন্যবাদ....