একটি সংগ্রহশালার গুরুপ্ত লেখা কোনও ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য প্রমাণপত্র বলা হয়, যা প্রাচীন কালের ঘটনার বা তথ্যের সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সংগ্রহশালা বা লাইব্রেরির গুরুপ্ত তথ্যের মধ্যে ইতিহাস, সাহিত্য, শিক্ষা, দর্শন, ভূগোল, বিজ্ঞান, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে বিবিধ লেখা ও বই থাকতো।
বিশেষভাবে ভারতীয় সংগ্রহশালাগুলি প্রাচীন ভারতে বহুল থাকতো, এবং তাদের গুরুপ্ত সামগ্রী বহুল জ্ঞানের শত্রুপক্ষ হিসেবে গুনছিল। এই গুরুপ্ত লেখা এবং কাগজপত্রের মাধ্যমে অনেকগুলি ঐতিহাসিক তথ্য ও পুরাতাত্ত্বিক বিষয়ে আমাদের জ্ঞান হয়েছে।
কিছু উল্লেখযোগ্য সংগ্রহশালা এবং তাদের গুরুপ্ত লেখা:
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়: নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচীন ভারতীয় সংগ্রহশালার একটি উদাহরণ। এখানে বুদ্ধবাণী এবং জ্যোতিষ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুপ্ত লেখা অনেক চর্চাযোগ্য ছিল। এটি একটি প্রাচীন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এবং এটির গুরুগুলি বৌদ্ধ বিদ্যায়িকা, দার্শনিক, রাজনীতিক চিন্হাঙ্ক ছিলেন।
ভারতীয় রাষ্ট্রপতি পুস্তকাগার: ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্কাইভস ভারতের গুরুপ্ত লেখা সংরক্ষণ করে থাকে এবং এটি ইতিহাস রচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।
তাক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়: এটি অন্য একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এবং এটির ছাত্রবৃন্দ বিভিন্ন ধর্ম, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ও শিল্প তত্ত্বে শিক্ষা পেয়েছিলেন।
অর্থশাস্ত্র সূত্র: এটি চাণক্য বা কৌটিল্য নামক একজন বৌদ্ধিক এবং রাজনীতিক চিন্হাঙ্ক দ্বারা লেখিত একটি প্রাচীন ভারতীয় গুরুপ্ত গ্রন্থ, যা রাজনীতি, বাণিজ্য, ও রাজকীয় প্রশাসনের বিষয়ে আলোচনা করে।
এই অধ্যায়গুলি সমৃদ্ধি, যা প্রাচীন কালের সংগ্রহশালাগুলিতে থাকা গুরুপ্ত তথ্যের মূল্য ও গুরুত্ব উজ্জ্বল করতে সাহায্য করতে পারে।