গ্রাফিক ডিজাইন:
- গ্রাফিক ডিজাইন একটি শিল্প। এখানে একজন শিল্পী কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল আইডিয়া তৈরি করতে ধারনা, তথ্য এবং গ্রাহকের ধারনা যোগাযোগ করে। গ্রাফিক্স শব্দটি জার্মান শব্দ থেকে উদ্ভূত। এক কথায় ইমেজ দ্বারা ডিজাইন তৈরি করাকে গ্রাফিক ডিজাইন বলে। আপনি যদি আপনার নিজের ধারণা, কাজের দক্ষতা এবং কিছু অনন্য ডিজাইন, সহজ এবং গোপন টিপস জানেন তবে আপনি সামান্য প্রচেষ্টায় আপনার পেশার মূল্য দ্বিগুণ করতে পারেন। প্রতিটি কোম্পানিতে এখন ফটো এডিটিং, লোগো ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, ওয়েবসাইট ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন সহ অনেক গ্রাফিকাল কাজ রয়েছে, যা তাদের আরও প্রফেশনাল করে তুলছে।
- সহজ করে বললে, যেকোন বিজ্ঞাপন, ব্যানার, টি-শার্ট ডিজাইন, ফার্নিচার ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট ডিজাইন, এই কাজগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে সৃজনশীল আইডিয়া দিয়ে ডিজাইন করা হয়, যার নাম গ্রাফিক ডিজাইন।
প্রথমত, গ্রাফিক ডিজাইনকে 2 ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- Still Image Graphics
- Motion Graphics
Still Image গ্রাফিক্সকে আবার 4টি বিভাগে ভাগ করা যায়।
- Raster Image (পিক্সেল বেসিস)
- Vector Image (পিক্সেল স্বাধীন)
- Typography (2 ধরনের আছে)
Motion গ্রাফিক্স প্রধানত 2 ধরনের হয়।
- Animation Graphics.
- Video Graphics.
ডিজাইন করার জন্য 2 ধরনের জিনিসের প্রয়োজন হয়।
- Material (উপাদান)
- Equipment (সরঞ্জাম)
Elements of Design (ডিজাইনের উপাদান)
- Lines(রেখা)
- Shapes(আকৃতিবা গঠন)
- Colors(রং)
- Textures(গঠন বিন্যাস)
- Spaces (স্থান)
Line(রেখা):
- ডিজাইনের ক্ষেত্রে এর লাইন বা রেখাটি কেমন হবে সোজা না চিকন বা পুরু ও সরু তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রকার বা প্রকৃতি কেমন দাঁড়াবে তা অনেকটাই লাইনের উপর নির্ভর করে। একটি পুরু রেখা বালক বা কিশোরদের মনোভাব ফুটিয়ে তোলে আবার একটি সোজা বা চিকন লাইন অনেক বেশি পরিশুদ্ধ ও বোধশক্তি সম্পূর্ণ। দুটি লাইনের মধ্যে কিভাবে পরস্পর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হবে তাও গুরুত্বপূর্ণ।
Shapes(আকৃতি বা গঠন):
- কোন একটি ডিজাইনের গঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এর দ্বারা বোঝা যায় যে নকশাটির আলোচ্য বিষয় কি নিয়ে। কোনযুক্ত যেমন চারকোণা বা ত্রিভুজ আকৃতির ডিজাইন পুং জাতীয় বিষয়কে বোঝায়। আবার সমতল বা বক্র রেখাগুলো স্ত্রী জাতীয়। চারকোণা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি আকার ফলে এটা অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য ও স্থায়ী। আর গোলাকৃতির ডিজাইন আহলাদিত, শান্তিপ্রিয় ও ঐক্যতার রূপ তুলে ধরে।
Color( রং):
- একটি ডিজাইনের ক্ষেত্রে রংয়ের প্রভাব অনেক বেশি। এটি কেমন রূপ বা আকৃতি ধারণ করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে রংয়ের উপর। যেমন লাল রং খুব কঠিন ও কড়া একটি প্রভাব বিস্তার করে যা ভালোবাসা, রাগ এবং উত্তেজনাকে বোঝায়। নীল ও সাদা রংয়ের ডিজাইনটির মধ্যে এক ধরনের শান্ত, শান্তিপ্রিয়, সুশীল এবং শুভ্রতা প্রকাশ পায়।
Textures(গঠন বিন্যাস):
- টেক্সচার একটি ডিজাইনের বাস্তবতা তুলে ধরে। চাক্ষুষ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এটি খুবই কার্যকরী। এটি একটি ডিজাইনকে অনেক বেশি অ্যাক্সেসযোগ্য এবং অতুলনীয় করে তোলে।
Spaces(স্থান):
- গ্রাফিক্স স্পেস বলতে মূলত একটি সভ্য এবং সমৃদ্ধ বিষয় বোঝায়।ডিজাইনের যে অংশটি দেখলে চোখের শান্তি হবে যা দৃষ্টিসুলভ। যে নকশা যত হালকা তার ব্যাপ্তি তত বেশি। জায়গার অসৎ ব্যবহার একটি ডিজাইনকে কুৎসিত ও অসুভ করে তুলতে পারে। আবার ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি খালি জায়গা থাকলে তা অসম্পূর্ণ মনে হতে পারে। ফলে ভেবেচিন্তে জায়গার যথাযথ ব্যবহার করা উচিত।
Equipment of Design(ডিজাইনের সরঞ্জাম)
- Pencil(পেন্সিল)
- Eraser(রাবার)
- Ruler (রুলার)
Pencil(পেন্সিল):
- পেন্সিল মূলত ড্রইং করার কাজে ব্যবহার করা হয়। একজন ডিজাইনারকে ফাইনাল ডিজাইন করার পূর্বে স্ক্যাচ বা ড্রইং করে নিতে হয়। আর ড্রইং করার জন্য পেন্সিল প্রয়োজন।
Eraser(রাবার):
- এটি মূলত অঙ্কন বা স্কেচ করার সময় অঙ্কনের অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত অংশ মুছে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
Ruler(রুলার):
- রুলার দিয়ে বর্ডার বা লাইন টানার কাজ করা হয়।
আমরা কোন সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করব:
- Adobe Photoshop
- Adobe Lightroom
- Adobe illustrator
- Adobe InDesign
- Adobe Dimension
- Wilcox Embroidery Studio
- Quark Express
- CorelDraw
- Blender 3D
- AutoCAD
Adobe Photoshop (অ্যাডব ফটোশপ):
- পৃথিবীতে Graphic Software – এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারটি হচ্ছে Adobe Photoshop। এটা মূলত Photo Editing Software. কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এটি ডিজাইনের কাজে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
Adobe Lightroom (অ্যাডব লাইটরুম):
- এটি মূলত Adobe Photoshop এর একটি সাপোর্টিং সফটওয়্যার। এটি ফটো এডিটিং এবং বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল ইফেক্টে ব্যবহৃত হয়।
Adobe illustrator(অ্যাডব ইলাস্ট্রেটর):
- Drawing এবং Design এর কাজের জন্য বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হচ্ছে এটি। Print Design-এর কাজ খুব সহজেই করা যায় এটার সাহায্যে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ডিজাইনার তাদের ডিজাইনের কাজে Adobe illustrator ব্যবহার করে।
Adobe In Design (অ্যাডব ইন ডিজাইন):
- এই সফটওয়্যারটি মূলত Publishing Software. এটি বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনার কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি বর্তমানে আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
Adobe Dimension(অ্যাডব ডাইমেনশন):
- এই Software – টি একেবারেই Adobe – এর নতুন সংযোজন। এটা অনেকটা Blender 3D Software এর আদলেই তৈরি। এটির সাহায্যে খুব সহজেই 3D Mockup তৈরি করা যায়।
Willock Embroidery Studio:
- এই Software – টা মূলত Embroidery Design Software. এটি আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় না।
Quark Express:
- এই Software টি অনেক বছর ধরে Publishing – এর কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই Software – টা অনেক জনপ্রিয় আমাদের দেশে।
CorelDraw:
- এটি মূলত Vector Based Graphic Software. Adobe Illustrator – এর বিকল্প হিসেবে মূলত এই Software ব্যাবহার করা হয়।
Blender 3D:
- 3D Model তৈরি করার কাজে বেশ জনপ্রিয় একটি ফ্রি Software। ধীরে ধীরে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। Product এর মডেল তৈরি এবং Mockup Presentation তৈরি করতে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।
AutoCAD:
- AutoCAD – এই Software টি ও অনেক জনপ্রিয় একটি Software. এটি সাধারনত Engineering সেক্টরে বেশি ব্যবহার করা হয়। এটার সাহায্যে 2D এবং 3D দুই ধরেনের কাজ করা যায়।