RAM
- এটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। RAM-এর পূর্নরূপ Random Access Memory. এটি প্রধানত CPU ইন্টারনাল মেমরি হিসেবে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমরি। কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে যেমন ডেটা সংরক্ষণ করা হয়, তেমনি র্যাম এবং ডেটাও কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়। এটি CPU এর ইন্টারনাল মেমরি হিসেবে কাজ করে। একটি কম্পিউটারের প্রসেসর একটি চৌম্বকীয় ডিস্ক বা একটি অপটিক্যাল ডিস্কে সঞ্চিত ডেটার সাথে সরাসরি কাজ করতে পারে না। তাই প্রথমে তথ্য আসে সেকেন্ডারি মেমরি থেকে কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমরিতে (RAM)। এই ডেটার যেকোনো অংশ এলোমেলোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর তাই এটি সেকেন্ডারি মেমরির চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করে।
- এটি অন্যান্য কম্পিউটার স্টোরেজ ডিভাইস যেমন- ROM, DVD এবং Hard Disk-এর মতো ডেটা সংরক্ষণ করে না। বিদ্যুৎ চলে গেলে অথবা কম্পিউটার অফ করলে RAM এর তথ্য হারিয়ে যায়। তাই তো কম্পিউটার হুট করে বন্ধ হলে আবার নতুন করে সবকিছু কিছু খুলতে হয়। এটাকে বলে ভোলাটাইল মেমরী বা অস্থায়ী মেমোরি।
কীভাবে RAM কাজ করে:
- একটি RAM মেমরি সেল সাধারণত অনেক ট্রানজিস্টর এবং ক্যাপাসিটর দিয়ে গঠিত হয়। র্যাম ক্যাপাসিটরগুলি ফুটো হওয়া বালতির মতো। ফলস্বরূপ, ডেটা অবিলম্বে খালি হয়ে যেতে পারে। মেমরি সেল দুটি বাইনারি সংখ্যা হিসাবে ডেটা সঞ্চয় করে, 0 এবং 1। 1 যখন ডেটা রিচার্জ করা হয় এবং 0 যখন ডেটা ডিসচার্জ করা হয় এই কাজটি মেমরি কন্ট্রোলারের মাধ্যমে করা হয়। RAM এর কাজ হল আপনি যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে চান তা হার্ডডিস্ক থেকে নিয়ে আসা এবং নির্দেশনা অনুযায়ী চালানো।
- তবে RAM-কে সরাসরি নিদের্শ প্রদান করতে পারি না, CPU RAM-কে নিদের্শ প্রদান করে। আপনি একটি সফটওয়্যার ওপেন করার জন্য আপনি নির্দেশ প্রদান করলেন। এখন প্রসেসর RAM-কে নিদের্শ দিবে এটি ওপেন করার জন্য, RAM হার্ডডিস্ক থেকে উক্ত সফটওয়্যারের ডাটা তার নিজের মধ্যে লোড করে সফটওয়্যারটি ওপেন করবে। তাই কম্পিউটারের কাজকে গতিশীল করতে র্যামের বিকল্প নেই। প্রয়োজনের তুলনায় র্যাম যদি কম হয় তাহলে পিসি Slow হবে। তবে র্যাম সব কিছুর সমন্বয়ে কম্পিউটারের পারপরমেন্স বৃদ্ধি করে। মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, প্রসেসর ইত্যাদির ক্ষমতা অনুযায়ী র্যাম যুক্ত করলে ভালো স্পিড আশা করা যায়।এছাড়া হার্ডডিস্ক এর পরিবর্তে SSD ব্যবহার করলে গতি বৃদ্ধি পায়। ফাস্টার CPU এবং গ্রাফিক্স কার্ড থাকলে RAM আপগ্রেড করা উচিত।
RAM এর প্রকারভেদ:
RAM কে সাধারণত 2 ভাগে ভাগ করা যায়:
SRAM:
- SRAM মানে Static Random Access Memory. Static RAM-এ যতক্ষণ পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা হয় ততক্ষণ ডেটা ধরে রাখে এবং রিফ্রেশ করার প্রয়োজন হয় না। SRAM চিপগুলিতে মোট 6-ট্রানজিস্টর ইনস্টল করা আছে এবং কোনও ক্যাপাসিটার ব্যবহার করা হয় না। কম মেমরির ক্ষমতার কারণে, SRAM কে ক্যাশে মেমরি হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
নিম্নলিখিত SRAM এর বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে:
- এটির Durability খুব ভালো।
- এটি সাধারনত হাই স্পিডে চলে।
- এটিকে কোন Refresh করার প্রয়োজন হয় না।
- এটাকে Cache মেমোরি এর মত ব্যবহার করা হয়।
- এটা কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
DRAM:
- DRAM এর অর্থ হল Dynamic Random Access Memory. এটি একটি ভোলাটাইল মেমোরি, কিন্তু ডাটা বজায় রাখার জন্য DRAM কে প্রতিনিয়ত Refresh করার প্রয়োজন পড়ে। এটি ক্যাপাসিটর এবং ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। ক্যাপাসিটরের মধ্যে ডেটা সংরক্ষণ করা হয়। DDR3, DDR4 DRAM-এর ভালো উদাহরণ আজকের কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদিতে DRAM ব্যবহৃত হয়।
নিম্নলিখিত DRAM এর বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে:
- এটির Durability সাধারনত কম।
- এটার স্পিড কম হয়।
- এটিকে বার বার Refresh করার প্রয়োজন হয়।
- বিদ্যুৎ খরচ বেশি।
- SRAM এর তুলনায় মূল্য কম।
- গতি (MHz)
নীচে একটি চার্টের মাধ্যমে দেখানো হল RAM-এ সাধারনত কোন ধরনের গতি পাওয়া যায়:
DDR3 স্ট্যান্ডার্ড গতি-
- 1066 MHz
- 1300 MHz
- 1600 MHz
- 1866 MHz
DDR4 স্বাভাবিক গতি-
- 2133 MHz
- 2400 MHz
- 2666 MHz
- 3200 MHz