ছন্দের প্রকারভেদ
![](https://i.ytimg.com/vi/t-ABSZEpayY/sddefault.jpg)
ছন্দের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যা মূলত কবিতার গঠন, শব্দের বিন্যাস ও ধ্বনির পুনরাবৃত্তির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বাংলা কবিতায় ছন্দের প্রধান প্রকারভেদগুলো হলো:
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
- এ ছন্দে প্রতিটি পঙ্ক্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক অক্ষর থাকে।
- উদাহরণ: পঙ্ক্তিতে ৮ বা ১২টি অক্ষর থাকতে পারে।
-
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ:
- এখানে প্রতিটি পঙ্ক্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক মাত্রা থাকে।
- একটি মাত্রা হলো একটি স্বরবর্ণ বা স্বরবর্ণযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ।
- উদাহরণ: পঙ্ক্তিতে ৮, ১০ বা ১৪ মাত্রা থাকতে পারে।
-
স্বরবৃত্ত ছন্দ:
- এ ছন্দে স্বর বা সুরের পুনরাবৃত্তি থাকে।
- সাধারণত পঙ্ক্তির প্রথম এবং শেষ অংশে একই স্বরবৃত্তের পুনরাবৃত্তি হয়।
-
মিশ্র ছন্দ:
- এতে অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত এবং স্বরবৃত্ত ছন্দের মিশ্রণ থাকে।
- উদাহরণ: কোনো কবিতার একটি অংশে অক্ষরবৃত্ত এবং অন্য অংশে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ থাকতে পারে।
-
অন্ত্যমিল ছন্দ:
- এখানে পঙ্ক্তির শেষ শব্দগুলির মধ্যে মিল থাকে।
- উদাহরণ: 'আমার' এবং 'তোমার' শব্দগুলির অন্ত্যমিল রয়েছে।
-
অমিল ছন্দ:
- এতে পঙ্ক্তির শেষে কোনো মিল থাকে না।
- এটি মুক্ত ছন্দ হিসাবেও পরিচিত।
ছন্দের এই প্রকারভেদগুলি কবিতার সুর, তাল ও লয়ের ভিন্নতা এনে দেয় এবং কবিতাকে বিভিন্ন ধরণের আবেগ ও সৌন্দর্য প্রকাশে সহায়তা করে।
-ধন্যবাদ