logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

মুঘল সাম্রাজ্যের বানিজ্য ব্যবস্থা


ভারতীয় উপমহাদেশে 16 শতকের প্রথম থেকে 19 শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিদ্যমান মুঘল সাম্রাজ্যের একটি উন্নত এবং ব্যাপক বাণিজ্য ব্যবস্থা ছিল। মুঘলরা তাদের সময়ের বিশ্ব বাণিজ্য নেটওয়ার্কে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিল। এখানে মুঘল সাম্রাজ্যের বাণিজ্য ব্যবস্থার কিছু মূল দিক রয়েছে:

1. স্থল ও সমুদ্র বাণিজ্য:

মুঘল সাম্রাজ্য কৌশলগতভাবে প্রধান স্থল ও সমুদ্র বাণিজ্য পথের সংযোগস্থলে অবস্থিত ছিল। এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সহজতর করেছে।

2. কৃষি রপ্তানি:
মুঘল সাম্রাজ্য তার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জন্য পরিচিত ছিল এবং কৃষি পণ্য ছিল উল্লেখযোগ্য রপ্তানি। ভারত ছিল মশলা, বস্ত্র, নীল এবং আফিমের প্রধান উৎপাদক, যেগুলির আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ চাহিদা ছিল।

3. টেক্সটাইল ট্রেড:
ভারতীয় টেক্সটাইল, বিশেষ করে সুতি এবং সিল্ক কাপড়, বিশ্ববাজারে অত্যন্ত চাহিদা ছিল। মুঘলরা তাদের সূক্ষ্ম বস্ত্রের জন্য বিখ্যাত ছিল এবং বস্ত্রের ব্যবসা সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

4. শিল্প ও বিলাস দ্রব্য:
মুঘল সাম্রাজ্য কার্পেট, গয়না এবং শৈল্পিক সৃষ্টির মতো সূক্ষ্ম পণ্য উত্পাদন করেছিল। এই বিলাসবহুল আইটেমগুলি কেবল সাম্রাজ্যের মধ্যেই মূল্যবান ছিল না বরং অন্যান্য অঞ্চলের সাথেও ব্যবসা করা হত, যা সাম্রাজ্যের সম্পদে অবদান রাখে।

5. বন্দর শহর:

মুঘলরা সুরাট এবং কালিকট সহ উপকূল বরাবর গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহরগুলির বিকাশ ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছিল। এই বন্দরগুলি সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছিল এবং ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়ীদের সাথে সংযোগের সুবিধা প্রদান করেছিল।

6. ইউরোপীয় বাণিজ্য:
ইউরোপীয় শক্তি, বিশেষ করে পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি এবং পরে ইংরেজরা, মুঘল সাম্রাজ্যের উপকূল বরাবর বাণিজ্য পোস্ট এবং দুর্গ স্থাপন করেছিল। মুঘলরা এই ইউরোপীয় শক্তির সাথে বাণিজ্যে লিপ্ত ছিল, পণ্য ও পণ্য বিনিময় করত।

7. দেশীয় বাণিজ্য:
মুঘল সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থা ছিল। শহরগুলিতে বাজার এবং বাজারগুলি প্রচলিত ছিল, যেখানে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হত। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড, একটি প্রধান বাণিজ্য পথ, সাম্রাজ্যের মধ্যে ওভারল্যান্ড বাণিজ্যকে সহজতর করেছিল।

8. রূপা এবং মুদ্রা:
মূল্যবান ধাতু, বিশেষ করে রূপা, মুঘল বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। রূপা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হত এবং মুঘল মুদ্রা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বীকৃত ও গৃহীত হয়।

9. বণিকদের ভূমিকা:
 মুঘল বাণিজ্য ব্যবস্থায় স্থানীয় ও বিদেশী ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তারা পণ্য পরিবহন ও বিনিময়ের সাথে জড়িত ছিল এবং কেউ কেউ মুঘল সমাজে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিল।

10. বাণিজ্য প্রবিধান:
মুঘল সম্রাটরা বাণিজ্য পরিচালনার জন্য প্রবিধান ও নীতি প্রয়োগ করেছিলেন। তারা পণ্যের উপর কর আরোপ করত এবং বাণিজ্য কার্যক্রমের সুষ্ঠু কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি ব্যবস্থা বজায় রাখত।

মুঘল বাণিজ্য ব্যবস্থা ছিল একটি গতিশীল এবং আন্তঃসংযুক্ত নেটওয়ার্ক যা সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল। যাইহোক, 18 শতকে সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে বাণিজ্য গতিশীলতাও পরিবর্তিত হয় এবং ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি এই অঞ্চলে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে শুরু করে।

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment