ভারতীয় ক্রিকেট এর আন্তর্জাতিক প্লেয়ার Virat Kohli, যিনি এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন, বর্তমানে বিরাট কোহলি আমদের সবার কাছে King Of Cricket নামে পরিচিত। বিরাট কোহলি The king Of Cricket In The World যিনি বর্তমান যুগের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। অথা বিশ্বের সর্বাধিক আয় করা ক্রিকেটার।
ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী। বিরাট কোহলি এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বিরাট কোহলি ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বাবার নাম প্রেম কোহলি। বিরাট কোহলি মাঝারি সারির ডানহাতি ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত। তবে, মাঝে-মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবেও ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন বিরাট কোহলি। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি এবং এর কয়েকমাস পরে ১৯ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের হয়ে ওয়ান ডে তে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বিরাট কোহলি শীঘ্রই ওয়ানডে তে মিডল অর্ডারে নিয়মিত হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ভারততের জয়ই দলের সদস্য ছিলেন।
বিরাট কোহলি জন্মগ্রহণ করেন ভারতের দিল্লি শহরে,1988 সালের 5 ই নভেম্বর।
বিরাট কোহলি এর বাবা প্রেম কোহলি, তিনি পেশাই একজন আইনজীবী, এবং মা সরোজ কোহলি তিনি বাড়ির গৃহবধূ। এছাড়াও বিরাট রা দুই ভাই ও এক বোন, বড়ো ভাই বিকাশ কোহলি এবং বড়ো বোন ভাবনা কোহলি। দুইভাই বোন এর মধ্যে বিরাট কোহলি সবার থেকে ছোট।
বিরাট কোহলি খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও ভালো ছিলেন। বিশাল ভারতি পাবলিক স্কুল স্যাভিয়ের কনভেন্টে পড়াশুনো করেছিলেন। কিন্তু শিক্ষাগত জীবনে সঙ্গে বিরাট কোহলি এর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়তে থাকে। বিরাট কোহলি ওই স্কুলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাবার আগে নবম শ্রেণী অব্দি পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে খেলার অনুশীলন এর পাশাপাশি পড়াশুনা চালান।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে বিরাট কোহলি প্রথম টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন ২০০২ সালে অনূর্ধ্ব -১ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।২০০৩ সালে লি উমিগ্রার ট্রফি টুর্নামেন্টে শীর্ষস্থান দখল করেন এবং সেই সময় বিরাট কোহলি ওই দলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি খেলার জন্য দিল্লির অধীনে ১৭ টি দলের মধ্যে নির্বাচিত হয়। তাঁর মধ্যে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) নির্বাচন করা হয়। এই দুটি ম্যাচে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্স সবার নজর কেটেছিল বিরাট কোহলি এই দুটি ম্যাচ মোট রান করেন ৪৭০,পরের বছর তাঁর এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আবার ফিরে আসে ২০০৪ থেকে ২০০৫বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি জেতার জন্য দিল্লিকে সাহায্য করেছিলেন।টুর্নামেন্টে শীর্ষস্থান দখল করেন “ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ” সিরিজ লাভ করেন। আর সেই পুরস্কার তাকে ভারতীর টিমের সেরা বোলার আশিস নেহারা দিয়েছিলেন। এই বিরাট কোহলি এবং তাঁর এই সফলতায় তিনি ২০০৬সালে ভারত আন্ডার ১৯ এক্স টি এক্স স্কোয়াডে(cricket 19 ps4) খেলার একটি স্থান করে নেয়।
সেই দিনটি ছিল তাঁর জীবন এর গুরুত্ব পুণ্য দিন আর এই দিন থেকে তিনি বিরাট কোহলি থেকে কিং কোহলি হয়ে ওঠার শুরু। (King of cricket Virat Kohli) ওই দিন এ প্রথম ইন্ডিয়া জার্সি তে ইংল্যান্ড সফরে খেলতে শুরু করেন।
ঠিক সেই সময় এক দূর সংবাদ বিরাট কে সমস্যা ওহ মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে দেয়।সেই দিনটি ছিল ১৮ ই ডিসেম্বর ২০০৬ সাল। তার বাবা প্রেম কোহলি ব্রেন স্ট্রোকে অকাল মৃত্যু ঘটে। এবং বিরাট এই ঘটনা টা কোন মতে মনে থেকে মেনে নিতে পারছিল না। কারন তাঁর বাবা ছিল তাঁর জীবনে আদর্শ। কারন তার ক্রিকেট জীবনে সাফল্যের পিছনে একমাত্র অবদান ছিল সেই প্রিয় মানুষটি তাঁর “বাবা”।
তাই সেই সময়টি, বিরাট কোহলি মানসিক ভাবে অনেক ভেঙ্গে পরেন। কিন্তু সেই সময় তাঁর কাঁধে গুরুত্ব পুণ্য দায়িত্ব থাকাই। বিরাট কোহলি গুরুত্ব সহকারে খেলতে শুরু করেন। ২০০৮ সালে, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০৮ আইসিসি আন্ডার -১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনি ভারতীয় দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন।
এর পর বিরাট কোহলি ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ ফ্র্যাঞ্চাইজি, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের একটি যৌথ চুক্তিতে ৩০০০০ ডলারে কিনেছিলেন।
এর পর ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার সফরের জন্য ভারতীয় ওডিআই স্কোয়াডের জন্য বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) নির্বাচিত করা হয়। সেই সফরকালে ভারতের নিয়মিত ওপেনার শচীন তেন্ডুলকার ও সেহবাগ উভয়েই আহত হন, তাঁর পরেও ভারত প্রথম ওডিআই সিরিজ জয় করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে,এবং ৩-২ স্কোরে জয়লাভ করে।
২০১১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে তিনি তার শিরোনাম তৈরি করেছিলেন। ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরকালে কিন্তু ভারত এই টেস্ট সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়।King of cricket Virat Kohli নাম শিরোনাম এ উঠে আসে। বিরাট কোহলি ওই সিরিজটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান-রানার,তিনি তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যাডিলেডে চতুর্থ ও চূড়ান্ত ম্যাচে। এবং ওই ইনিংসে ১১৬ রান করেন তিনি।
২০১৪ সালে বিরাট কোহলি ভারতীয় টেস্ট দলে অধিনায়ক হন।ওই বছরই তার ওডিআই পারফরম্যান্স ভালো থাকাতে তার নাম আরো পরিচিত হয়(King Kohli’s name spread)। এবং তিনি একজন দক্ষ টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে নাম করেন।একই বছরে তিনি,অস্ট্রেলিয়ার সফরে চার টেস্টে মোট ৬২২ রান সংগ্রহ করেন- অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের কোনও ব্যাটসম্যানের দ্বারা তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
বিরাট কোহলি এর বর্তমান স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা সাথে 2013 সালে একটি শ্যাম্পুর ব্যান্ডের বিজ্ঞাপনের সুট পড়াই দেখা হয়েছিল। এবং তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন!
অনুষ্কা শর্মা সঙ্গে কিছুদিন প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল এবং কয়েকদিন পর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে পরে ২০১৭ সালে ১১ ডিসেম্বর তাদের দুইজন-এর বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিরাট কোহলি খেল ক্রিকেটের পাশাপাশি খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করেন এবং বিরাট কোহলি ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি টেনিস খেলতে ভালোবাসেন এবং অন্যান্য ফিল্ডের বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে।
বিরাট কোহলি একজন গাড়ি প্রেমিক, এবং তার কাছে বিভিন্নও রকম গাড়ি রয়েছে, যেমন অডি Q7,অডি S7, অডি R8 V10, অডি A8L সহ আরো অনেক অডিও মডেল এর সমগ্র রয়েছে।