logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

পরিবেশগত নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার ধাপগুলি কী কী?


পরিবেশগত নিরীক্ষা (Environmental Audit) প্রক্রিয়ার ধাপগুলি সাধারণত কয়েকটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি ধাপ সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম ও লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হয়। নিম্নে এই ধাপগুলি বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:

 

1. পরিকল্পনা (Planning)

  • উদ্দেশ্য নির্ধারণ: নিরীক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্থির করা। নিরীক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে পরিবেশগত সম্মতি যাচাই, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা মূল্যায়ন, বা পরিবেশগত পারফরম্যান্স উন্নয়ন।
  • স্কোপিং: নিরীক্ষার স্কোপ বা ক্ষেত্র নির্ধারণ। এর মধ্যে নিরীক্ষার সীমানা এবং ফোকাস এলাকাগুলি নির্ধারণ করা হয়।
  • সময়সূচি ও দল গঠন: নিরীক্ষার সময়সূচি তৈরি এবং নিরীক্ষা দল গঠন। নিরীক্ষা দলের সদস্যদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা।

 

2. ডেটা সংগ্রহ (Data Collection)

  • ডকুমেন্ট পর্যালোচনা: প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত নীতিমালা, রিপোর্ট, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করা।
  • সাইট পরিদর্শন: প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প সাইট পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করা।
  • সাক্ষাৎকার: সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে সাক্ষাৎকার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।
  • পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ: পরিবেশগত পরামিতি, যেমন পানি, বায়ু, মাটি, এবং শব্দের মাত্রা পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ করা।

 

3. ডেটা বিশ্লেষণ (Data Analysis)

  • ডেটা বিশ্লেষণ: সংগ্রহিত তথ্য ও ডেটা বিশ্লেষণ করে পরিবেশগত প্রভাব ও কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা।
  • সম্মতি পরীক্ষা: পরিবেশগত আইন ও বিধিমালা মেনে চলছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
  • ঝুঁকি মূল্যায়ন: পরিবেশগত ঝুঁকি এবং সমস্যাগুলি চিহ্নিত এবং বিশ্লেষণ করা।

 

4. মূল্যায়ন (Evaluation)

  • কার্যকারিতা মূল্যায়ন: প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা।
  • পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া মূল্যায়ন: প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়াগুলির মূল্যায়ন করা।
  • সুপারিশ প্রদান: পরিবেশগত কার্যক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সুপারিশ প্রদান করা।

 

5. রিপোর্টিং (Reporting)

  • রিপোর্ট প্রস্তুতি: নিরীক্ষার ফলাফল, বিশ্লেষণ, এবং সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা।
  • স্টেকহোল্ডার পরামর্শ: রিপোর্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে শেয়ার এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা।
  • রিপোর্ট চূড়ান্তকরণ: স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে রিপোর্ট চূড়ান্তকরণ এবং প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করা।

 

6. ফলো-আপ (Follow-up)

  • কার্যক্রম গ্রহণ: রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
  • মনিটরিং ও পর্যালোচনা: প্রস্তাবিত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করা।
  • ফলো-আপ নিরীক্ষা: কার্যক্রম গ্রহণের পর একটি ফলো-আপ নিরীক্ষা পরিচালনা করে কার্যক্রমের কার্যকারিতা যাচাই করা।

 

7. ফিডব্যাক ও উন্নয়ন (Feedback and Improvement)

  • ফিডব্যাক সংগ্রহ: কর্মচারী এবং স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করা।
  • প্রক্রিয়া উন্নয়ন: ফিডব্যাকের ভিত্তিতে নিরীক্ষা প্রক্রিয়া এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নয়ন।

সারসংক্ষেপ:

পরিবেশগত নিরীক্ষা প্রক্রিয়া একটি ধারাবাহিক এবং পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া যা পরিকল্পনা, ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, রিপোর্টিং, ফলো-আপ, এবং ফিডব্যাক ও উন্নয়ন এই সাতটি প্রধান ধাপ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি ধাপের লক্ষ্য হলো প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন ও উন্নয়ন করা, যা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে।

 

-ধন্যবাদ

 

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment