মধ্যযুগের ইউরোপের জীবন একটি অত্যন্ত বিশিষ্ট সময় ছিল যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং ধর্মীয় পরিবর্তন এবং বিকাশ ঘটেছিল। এ সময়ে ইউরোপের সমাজ মূলত দুই বড় শ্রেণির মধ্যে বিভক্ত ছিল - শাসক শ্রেণি এবং প্রচলিত জনগণ। শাসক শ্রেণি বার্বারিক রাজদের মধ্যে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত ছিল, যেমন ফ্রাঙ্ক, গথ, ভাইসিগোথ, ইত্যাদি। এদের মধ্যে প্রভূত রাজা বা সাম্রাজ্যের সংস্থাপক ছিলেন যারা রাজনৈতিক শক্তি এবং প্রতাপ প্রদর্শন করতেন। সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল রাজবংশ, মন্ত্রী, বিভিন্ন শ্রেণির সদস্য এবং মহৎ অধিকারীরা।
প্রচলিত জনগণ প্রায় সব ধর্ম এবং সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যেমন ক্রৈস্তধর্ম, ইসলাম, জুদাইজম, হিন্দুধর্ম এবং প্রাচীন বুদ্ধিস্ত ধর্মসমূহ। ধর্মীয় আধারে তারা বিভিন্ন আদর্শ এবং সম্প্রদায়গুলির অনুসরণ করতেন এবং এদের জীবনের প্রতিটি দিন ধর্মীয় উপাসনা এবং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ করে পরিবারগুলির মধ্যে গভীরভাবে প্রভাবিত ছিল।
সামাজিকভাবে, মহিলাদের অধিকার সীমিত ছিল এবং তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে অধিকারপ্রাপ্ত ছিলেন না। বিভিন্ন শ্রেণির লোকেরা তাদের কাজের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করতেন, যেমন খোদাই, খেতমালি, ব্রাহ্মণ, লেখক, কৃষক, শিল্পী ইত্যাদি। শিক্ষার মাধ্যমে এবং সাহিত্য, শিল্প, ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ঘটত।
-ধন্যবাদ