logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

জলবায়ু পরিবর্তন কী?


জলবায়ু পরিবর্তন

জলবায়ু পরিবর্তন বলতে দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর আবহাওয়ার প্যাটার্নে পরিবর্তন বোঝায়। এটি প্রাকৃতিক কারণ এবং মানুষের কার্যক্রমের কারণে হতে পারে। বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ হলো গ্রিনহাউস গ্যাসের (যেমন: কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন) বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত নির্গমন, যা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, বন নিধন, এবং কৃষি কার্যক্রমের ফলে ঘটে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণসমূহ:

  1. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার:

    • কয়লা, তেল, এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে।
  2. বন নিধন:

    • বনভূমি কেটে ফেলার ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের শোষণ ক্ষমতা কমে যায় এবং বাতাসে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  3. কৃষি এবং পশুপালন:

    • কৃষি কার্যক্রম এবং পশুপালন থেকে মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসের নির্গমন ঘটে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব বাড়ায়।
  4. শিল্প কার্যক্রম:

    • শিল্প কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটে, যা বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসমূহ:

  1. গ্লোবাল ওয়ার্মিং:

    • পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তাপপ্রবাহের ঘটনার সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
  2. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি:

    • গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  3. অস্বাভাবিক আবহাওয়া প্যাটার্ন:

    • বন্যা, খরা, ঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  4. প্রাণী ও উদ্ভিদের উপর প্রভাব:

    • অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজাতি তাদের আবাসস্থল হারাচ্ছে এবং বিলুপ্তির সম্মুখীন হচ্ছে।
  5. কৃষি উৎপাদন প্রভাবিত হচ্ছে:

    • তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন কৃষি উৎপাদনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।

সমাধানের উপায়:

  1. পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার:

    • সৌর, বায়ু, এবং জলবিদ্যুতের মতো পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
  2. বন সংরক্ষণ ও পুনঃবনায়ন:

    • বনভূমি সংরক্ষণ এবং নতুন বনায়নের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ক্ষমতা বাড়ানো।
  3. জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার:

    • জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার এবং শক্তি সঞ্চয় প্রযুক্তি উন্নয়ন।
  4. গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো:

    • শিল্প ও কৃষি কার্যক্রম থেকে নির্গমন কমানোর জন্য প্রযুক্তি উন্নয়ন।
  5. জনসচেতনতা বৃদ্ধি:

    • জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ বান্ধব আচরণ প্রমোট করা।

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় স্থানীয়, জাতীয়, এবং বৈশ্বিক স্তরে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা পরিবেশের সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হতে পারি।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment