logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

কীভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন করা হয়?


কীভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন 

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই অর্থায়ন বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম পরিচালনা এবং দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। নিচে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়নের কয়েকটি প্রধান উৎস ও পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:

১. সরকারি অর্থায়ন:

  • জাতীয় বাজেট: অনেক দেশ তাদের জাতীয় বাজেটে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে।
  • বিশেষ তহবিল: কিছু সরকার বিশেষ তহবিল গঠন করে, যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়।

২. আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা:

  • বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সংস্থা: বিশ্বব্যাংক, UNDP, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে অর্থায়ন করে।
  • বৈদেশিক সহায়তা: বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যায়, যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়।

৩. এনজিও এবং দাতব্য সংস্থা:

  • বেসরকারি সংস্থা: WWF, IUCN, Conservation International, এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে অর্থায়ন করে।
  • দাতব্য প্রতিষ্ঠান: বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশন যেমন The Nature Conservancy এবং Bill & Melinda Gates Foundation বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে তহবিল প্রদান করে।

৪. কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR):

  • কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান: বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের CSR কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে অর্থায়ন করে।
  • সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ: কিছু প্রতিষ্ঠান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প বা উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং তার মাধ্যমে অর্থায়ন করে।

৫. পর্যটন আয়:

  • প্রকৃতি পর্যটন: সংরক্ষিত এলাকা এবং জাতীয় উদ্যানগুলোতে পর্যটনের মাধ্যমে আয় করা অর্থ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়।
  • প্রবেশ ফি এবং পার্ক ফি: পর্যটকদের কাছ থেকে প্রবেশ ফি, পার্ক ফি সংগ্রহ করা হয়, যা সরাসরি সংরক্ষণ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

৬. জনগণের অংশগ্রহণ:

  • দাতব্য অনুদান: সাধারণ জনগণ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে অর্থ দান করতে পারে।
  • ক্রাউডফান্ডিং: বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোগ গ্রহণ করে অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে।

৭. বিশেষ প্রকল্প এবং অনুদান:

  • গবেষণা অনুদান: বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা গবেষণার জন্য অনুদান প্রদান করে, যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশেষ পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করে অর্থায়ন করা হয়।

৮. আইনগত ও নীতিগত সহায়তা:

  • প্রকল্প ভিত্তিক সহায়তা: বিভিন্ন আইন ও নীতিমালার আওতায় বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
  • সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব: সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পে তহবিল সংগ্রহ করা হয়।

সারসংক্ষেপ:

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, এবং সাধারণ জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা হয়। এই অর্থায়ন বন্যপ্রাণীর বাসস্থান সুরক্ষা, প্রজনন কার্যক্রম, এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment