সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নীতিসমূহ
'জাতিপুঞ্জের সনদের ২নং ধারায় কয়েকটি পুরুত্বপূর্ণ নীতির কথা উল্লেখ করা হয়। এই ধারায় বলা হয়, জাতিপুঞ্জ ও তার সদস্যরাষ্ট্রগুলি এসব নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। জাতিপুঞ্জের সনদে ঘোষিত এই নীতিগুলি হল-
![History, Objectives & Principles of the United Nations](https://blog.ipleaders.in/wp-content/uploads/2016/07/international-law-1.jpg)
1) সম সার্বভৌমত্বের নীতি:
- সনদের ২(১) নং ধারা অনুযায়ী জাতিপুঞ্জ সকল সদস্যরাষ্ট্রের সম-সার্বভৌমত্বের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
2) সনদ নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের নীতি:
- সনদের ২(২) নং ধারা অনুসারে প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র নিজেদের অধিকার ও সুযোগসুবিধা সুনিশ্চিত করার জন্য সনদ নির্ধারিত বাধ্যবাধকতা ও দায়দায়িত্ব পালন করবে।
3) আন্তর্জাতিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার নীতি:
- সনদের ২(৩) নং ধারা অনুযায়ী সমস্ত সদস্যরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে এমনভাবে তাদের আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসার চেষ্টা করবে যাতে আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার বিঘ্নিত না হয়। সনদের ২(৬) নং ধারায় বলা হয়েছে, যেসব রাষ্ট্র জাতিপুঞ্জের সদস্য নয় তারাও যাতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুসারে সনদের নীতিসমূহ অনুসরণ করে, সেজন্য জাতিপুঞ্জ চেষ্টা করবে।
4) বলপ্রয়োগ পরিহারের নীতি:
- সনদের ২(৪) নং ধারায় বলা হয়েছে, জাতিপুঞ্জের সমস্ত সদস্যরাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ড তার বিরুদ্ধে বা জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হয়ে অন্য কোনো পদ্ধতিতে বলপ্রয়োগ অথবা বলপ্রয়োগের ভীতিপ্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে।
5) সার্বিক সহযোগিতার নীতি:
- সনদের ২(৫) নং ধারা অনুসারে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দ্বারা গৃহীত যে-কোনো কার্যক্রমে প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে এবং যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিপুঞ্জ কোনো প্রতিরোধমূলক বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেই রাষ্ট্রকে সাহায্যদান থেকে সমস্ত সদস্যরাষ্ট্র বিরত থাকবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতার নীতি: সনদের ২(৭) নং ধারা অনুযায়ী জাতিপুঞ্জ কোনো সদস্যরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এলাকায় হস্তক্ষেপ করবে না। অবশ্য সনদের সপ্তম অধ্যায়ে উল্লিখিত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযুক্ত হবে না।
-ধন্যবাদ