বর্ণমালা আন্দোলন
বর্ণমালা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন, যা ১৯৬১ সালে দেখা গিয়েছিল। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষার সম্মান ও বাংলা ভাষায় শিক্ষা প্রদান করা।
![আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা | undefined](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/02/21/1952-language-movement.jpg?itok=EPd0a6ba×tamp=1676976397)
প্রস্তাবনা:
- বর্ণমালা আন্দোলনের মূল উৎস হলো ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, জবলপুরের একটি স্কুলে পাকিস্তানি সরকারের একটি নির্ণয়, যেখানে এক শিক্ষক পাকিস্তানি তাত্কালিন রাষ্ট্রভাষা উর্দুতে প্রদান করার দাবি করতে অসমর্থ হয়ে জীবনের উত্তরাধিকার হারিয়েছিলেন। এ সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর পাকিস্তানি সরকার হয়তো কোনো শেষাংশ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিল, তবে বাংলাদেশে এই ঘটনা বিশেষভাবে মনোনিবেশ উৎপন্ন করেছিল।
আন্দোলনের আদিম প্রচেষ্টা:
- পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু থাকলেও, বাংলাদেশে বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার দাবি একটি প্রধান আদান-প্রদানের বিষয় ছিল। বাংলাদেশের জনগণ এই সমস্যায় সমাধান পেতে বিশেষভাবে সচেতন হয়েছিল।
১৯৬১ সালের আন্দোলন:
- বর্ণমালা আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলার জোয়ার উপজেলার বরাক পৌরসভার একটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দ্বাদশ জুন ১৯৬১ সালে বাংলা ভাষায় শিক্ষা দানের দাবিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। এই অভিযানে বাংলা ভাষার সম্মান ও বাংলা ভাষায় শিক্ষার দাবিতে লোকজন একসাথে আসতে থাকলেও, স্থানীয় সরকার এই আক্রমণকে নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হতে পারেননি। এরপর শত্রু সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়।
প্রতিবাদ ও প্রতিহতি:
- বর্ণমালা আন্দোলনের জনদল অসংঘটিত হয়েও বৃদ্ধি প্রদান করে। জনগণের উদ্দীপনায় এই আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফলাফল:
- এই আন্দোলনের ফলে পাকিস্তানি সরকার কোনো মূলত পরিবর্তন না করেও, অতএব এই আন্দোলনকে একটি কর্মকর্তৃত্ব বা অত্যাধুনিক বাংলাদেশের স্থাপনের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সংক্ষেপে বর্ণমালা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির সম্মান প্রতিরক্ষার জন্য একটি সাহসী অভিযান হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল।
ধন্যবাদ....