ভারতে প্রথম বিদ্যালয়
ভারতে প্রথম বিদ্যালয় একটি গুরুকুল বা ব্রাহ্মণ বিদ্যালয় ছিল, যা হিন্দু ধর্মবিশেষে ব্রাহ্মণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্থাপন করা হত। এই গুরুকুল গণপরিবারের কৌলিক বিদ্যালয় হত, যেখানে ছাত্রদের আচার্য বা গুরুর নিকট গুরুমুখী শিক্ষা প্রদান করা হত। এই গুরুকুল ছাত্রদের ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাথে সংস্কৃত ভাষা, ভারতীয় সংস্কৃতি, ধর্মতত্ত্ব, জ্যোতিষ, গণিত, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াত।
প্রাচীন ভারতে গুরুকুল বিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি খুবই ব্যতিক্রমশীল ছিল। ছাত্রদের গুরুকে প্রতিদিন সেবা দেওয়া, উন্নত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান প্রদান করা হত এবং পাঠ্যপুস্তকের অভাবে প্রতিদিনের পাঠের মাধ্যমে প্রত্যাশিত শিক্ষা দেওয়া হত।
এই প্রাচীন গুরুকুল বিদ্যালয় পর্যালোচনা এবং ব্রাহ্মণ ধর্মের আদর্শের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হত। বিশেষভাবে, বেদ, উপনিষদ, স্মৃতি, পুরাণ ইত্যাদি ধারণক্রমের পঠন গুরুকুলের মৌলিক অংশ হত। গুরুকুলের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের আধ্যাত্মিক এবং ধার্মিক শিক্ষা দেওয়া, যা তাদের মর্মান্তিক ও নৈতিক বিকাশে সাহায্য করত।
গুরুকুল বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের শাসনামলে মদরাসা নামে একই ধরণের শিক্ষা প্রদান করা হত। মদরাসা প্রাচীন গুরুকুলের মতোই ধার্মিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করত, কিন্তু ইসলামী ধারণার উপর ভিত্তি করে।
সাধারণত, আধুনিক শিক্ষাপ্রণালীর আগমনে গুরুকুল এবং মদরাসা পদ্ধতি ধীরে ধীরে বিস্তৃতি পেয়েছে এবং আধুনিক বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। এখন ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুল প্রচলিত শিক্ষার প্রধান সাধনা হিসেবে গড়ে উঠেছে।
ধন্যবাদ....