logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

কম্পিউটার পোর্ট কী?


Computer Port

  • Computer Port হলো এক ধরনের পয়েন্ট বা সংযোগ মুখ। কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে কীবোর্ড, মাউস, স্পিকার, স্ক্যানার ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। এই সংযোগ পয়েন্ট Point-কে বলা হয় পোর্ট। পোর্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
  • Parallel Port(প্যারালাল পোর্ট)
  • Serial Port (সিরিয়াল পোর্ট)
  • USB Port(ইউএসবি পোর্ট)
  • VGA or Monitor Port(ভিজিএ বা মনিটর পোর্ট)
  • Keyboard Port(কীবোর্ড পোর্ট)
  • Mouse Port(মাউস পোর্ট)
  • Networking Port(নেটওয়ার্কিং পোর্ট)
  • Audio Port(অডিও পোর্ট)
  • Video Port(ভিডিও পোর্ট) 
  • Game Port(গেম পোর্ট)
  • MIDI পোর্ট
  • PS/2 পোর্ট

Parallel Port(প্যারালাল পোর্ট)

  • এই পোর্টে ডেটা সমান্তরালভাবে আদান প্রদান হয়। দ্রুতগতিতে তথ্য আদান প্রদানের জন্য এই ইন্টারফেসটি ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ১ বাইট বা ৮ বিট ডেটা পাশাপাশি ৮টি লাইনের মাধ্যমে আদান প্রদান হয় বলে এটিকে প্যারালাল পোর্ট বলে। এই পোর্টে প্রিন্টার, স্ক্যানার, সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ, জিপ ড্রাইভ, ইত্যাদি যন্ত্র যুক্ত করা হয়। এই জন্যে এই পোর্টেকে প্রিন্টার পোর্টও বলা হয়। এর লজিক্যাল নাম LPT (Line print terminal)। এমএস ডস (MS-DOS) এর ক্ষেত্রে তিন ধরনের LPT ব্যবহার করা হয়। যথাঃ
  • LPT
  • LPT2
  • LPT3
    এ ধরনের পোর্টে তিনটি পৃথক রেজিস্টার থাকে। যথাঃ
    ১. ডেটা রেজিস্টার (Data Register)
    ২. স্ট্যাটাস রেজিস্টার (Status Register)
    ৩. কন্ট্রোল রেজিস্টার (Control Register)

Serial Port (সিরিয়াল পোর্ট)

  • সিরিয়াল কমিউনিকেশন ডিভাইস সংযোগ দেওয়ার পোর্টকে সিরিয়াল পোর্ট বলা হয়। Electronics Industry Association (EIA) এ পোর্টের উন্নয়ন সাধন করে। সিরিয়াল পোর্টের মাধ্যমে সিরিয়াল ডিভাইসগুলো ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে। সিরিয়াল পোর্টগুলো সাধারণত কম বা বেশি RS-232 স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সমন্বয়কারী হার্ডওয়্যারগুলোকে সনাক্ত করে থাকে।  মনিটর, প্রিন্টার, মডেম প্রভৃতি আউটপুট পেরিফেরালসমূহ কম্পিউটারের ইনপুট/আউটপুট পোর্টের সাথে সিরিয়াল ইন্টারফেস ব্যবস্থায় যুক্ত থাকে। সিরিয়াল পোর্ট Male বা Female উভয় ধরনেরই হতে পারে। ভিজিএ পোর্টও একটি সিরিয়াল পোর্ট। বর্তমানে সিরিয়াল পোর্টগুলো অনেকাংশেই ইউএসবি এবং ফায়ারওয়্যার পোর্টের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এমএস ডস (MS-DOS) এর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হয়ে থাকে COM1 ও COM2 নামে। সিরিয়াল পোর্টে মোট ৯টি পিন থাকে। মডেম এবং মাউস সিরিয়াল কমিউনিকেশন ডিভাইস এর উদাহরণ।

 USB Port(ইউএসবি পোর্ট)

  • USB এর পূর্ণ অর্থ Universal Serial Bus। সিস্টেম ইউনিটের সাথে ইউএসবি বাস ও ইউএসবি সমর্থিত ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাদারবোর্ডের সাথে যে পোর্ট ব্যবহার করা হয় তাকে ইউএসবি পোর্ট বলা হয়।

Monitor Port(মনিটর পোর্ট)

  • মনিটরটিকে মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত করতে, মাদারবোর্ডে একটি সম্প্রসারণ কার্ড স্থাপন করা হয় এবং মনিটরটি স্লটে অবস্থিত অংশের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে ব্যবহৃত বেশিরভাগ মাদারবোর্ডের জন্য এক্সপেনশন কার্ডের প্রয়োজন হয় না। কারণ মনিটর সমন্বয় করতে ব্যবহৃত ডিসপ্লে কার্ডটি বেশিরভাগ মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইন থাকে। ফলস্বরূপ, মনিটর শুধুমাত্র মাদারবোর্ডের মনোনীত অংশগুলির মাধ্যমে সংযুক্ত করা যেতে পারে। একরঙা মনিটরের জন্য একটি 9-পিন অংশ ব্যবহার করা হয়। ভিজিএ (ভিডিও গ্রাফিক্স অ্যারে) মনিটরের সংযোগকারীটিতে 15 পিন রয়েছে।

Keyboard Port(কীবাের্ড পাের্ট)

  • কম্পিউটারের সাথে কীবাের্ডকে যুক্ত করার জন্য তিন ধরনের কানেক্টর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলাে হলােঃ
    ১. AT keyboard connector(এটি কীবাের্ড কানেক্টর) 
    ২. PS/2 keyboard connector(পিএস/২ কীবাের্ড কানেক্টর)
    ৩. USB connector(ইউএসবি কানেক্টর)

AT keyboard connector – DIN5(এটি কীবাের্ড কানেক্টর)

  • এই কানেক্টরগুলোকে DIN5 কানেক্টরও বলে। এটি ৫ পিন বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এই কানেক্টরগুলো এখন আর খুব বেশি ব্যবহৃত হয় না।

PS/2 keyboard connector(পিএস/২ কীবাের্ড কানেক্টর)

  • বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত কানেক্টরগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। একে MINI-DIN6 কানেক্টরও বলা হয়। এতে ৬টি পিন থাকে। ১৯৮৭ সালে আইবিএম কর্তৃক PS/2 ইন্টারফেস বিশিষ্ট কম্পিউটার বাজারে আসার পর থেকেই বিভিন্ন কীবোর্ড উৎপাদকগণ এই পোর্টের কীবোর্ড তৈরি করা শুরু করেন।

USB connector(ইউএসবি কানেক্টর)

  • বহুল ব্যবহৃত এবং নতুন একটি কানেক্টর হলো ইউএসবি কানেক্টর। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে প্লাগ-এন্ড-প্লে সুবিধা। কম্পিউটার কেসের সাথে যুক্ত যেকোনাে ইউএসবি পাের্টে লাগিয়ে দিলেই এই ধরনের কীবাের্ডের সাহায্যে কাজ করা যায়। ফলে একটি পাের্ট নষ্ট থাকলেও সমস্যা হয় না। কারণ বর্তমানে কম্পিউটার কেসগুলােতে অনেকগুলাে ইউএসবি পাের্ট থাকে।

Mouse Port(মাউস পাের্ট)

  • মাউস দিয়ে কাজ করতে হলে কম্পিউটারে এটি সংযুক্ত করে নিতে হয়। মাউস থেকে কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিট করতে তিন ধরনের ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়। এগুলাে হলােঃ
    ১. RS-232C serial Port(আরএস-২৩২সি সিরিয়াল পাের্ট)
    ২. PS/2 Port(পিএস/২ পাের্ট)
    ৩. USB Interface(ইউএসবি ইন্টারফেস)

RS-232C serial Port(আরএস-২৩২সি সিরিয়াল পাের্ট)

  • এই পাের্ট মাউসকে একটি পাতলা বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে। এই তারটি একটি ৯ পিন কানেক্টর ব্যবহার করে। সিরিয়াল পাের্ট মাউসকে COM1 বা COM2 অথবা যেকোনাে সিরিয়াল পাের্টের সাথে সংযােগ করা হয়। মাউসের সাথে সংযুক্ত ক্যাবল কানেক্টরটি 9 PIN FEMALE হয়ে থাকে। কম্পিউটারের পিছনের দিকে আর একটি 9 PIN MALE অবস্থান করে।

PS/2 Port(পিএস/২ পাের্ট)

  • এই পোর্ট মাউসকে একটি পাতলা বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে। তবে এই তারটি একটি ৬ পিন কানেক্টর ব্যবহার করে। এ পদ্ধতিতে কম্পিউটারের মাদারবাের্ডে মাউস কন্ট্রোল সার্কিট বিল্টইন অবস্থায় থাকে। আইবিএম-এর পিএস/২ (PS/2) রেঞ্জের কম্পিউটারে প্রথম দিকে ব্যবহৃত হত বলে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। সাধারণত কম্পিউটারের পিছনের দিকে মাউস পাের্টটি 6 PIN FEMALE থাকে। অপরদিকে মাউসের সাথে সংযুক্ত ক্যাবল কানেক্টরটি 6 PIN MALE হয়ে থাকে।

USB Interface(ইউএসবি ইন্টারফেস)

  • এই ইন্টারফেসটি বিভিন্ন ধরনের মাউসকে একটি ইউএসবি কানেক্টরের মাধ্যমে সংযুক্ত হবার সুযোগ দেয়। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্লাগ-এন্ড-প্লে সুবিধা। কম্পিউটার কেসের সাথে যুক্ত যেকোনো ইউএসবি পোর্টে লাগিয়ে দিলেই এই ধরনের মাউসের সাহায্যে কাজ করা যায়। ফলে একটি পোর্ট নষ্ট থাকলেও সমস্যা হয় না। কারণ বর্তমানে কম্পিউটার কেসগুলোতে অনেকগুলো ইউএসবি পোর্ট থাকে।

Networking Port(নেটওয়ার্কিং পোর্ট)

  • এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারকে যুক্ত করার জন্য নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে হলে এতে নেটওয়ার্কিং প্রয়োজন হয়। পিসিতে নেটওয়ার্কিং কার্ড ব্যবহার করা হয় যেমন LAN Card। ইথারনেট পোর্ট পিসির নেটওয়ার্কিং এর জন্য একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্যবস্থা। একে RJ-45 Port নামেও ডাকা হয়।

Audio Port(অডিও পাের্ট)

  • মাল্টিমিডিয়া পিসিতে ও মাইক্রোফোন উভয় ধরনের পোর্টই যুক্ত থাকে। অডিও ইন করার জন্য অডিও ইন বা মাইক্রোফোন পাের্ট এবং অডিও আউটের জন্য অডিও আউট বা স্পিকার পাের্ট থাকে। মাদারবাের্ডে সাউন্ডকার্ড বিল্টইন থাকলে স্বাভাবিকভাবেই অডিও পাের্ট পাওয়া যায়। আর সাউন্ডকার্ড বিল্টইন না থাকলে আলাদা করে সাউন্ডকার্ড ইন্সটল করে নিতে হয় যেখানে প্রয়ােজনীয় অডিও পাের্টগুলাে থাকে।

Video Port(ভিডিও পোর্ট)

  • ভিডিও ইন বা আউট করার জন্য কম্পিউটারে ভিডিও ইনপুট ও আউটপুটের পোর্ট থাকে। প্রায় সকল কম্পিউটারের জন্য আলাদা কার্ড ব্যবহার করা হয়।

 


Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment