logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

বলবনের রাজতান্ত্রিক মতাদর্শ


বলবনের রাজতান্ত্রিক মতাদর্শ 

গিয়াস উদ্দীন বলবন, যিনি 13শ শতাব্দীতে দিল্লির সুলতান হিসেবে শাসন করেছিলেন (রাজত্ব করেছিলেন 1266-1287), তার শক্তিশালী এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের জন্য পরিচিত। তার রাজতান্ত্রিক মতাদর্শ শাসকের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বে বিশ্বাস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। বলবনের রাজত্ব প্রায়শই রাজকীয় কর্তৃত্বের দাবি এবং একটি কেন্দ্রীভূত ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত।

বলবনের রাজতান্ত্রিক মতাদর্শের মূল দিকগুলির মধ্যে রয়েছে:

রাজত্বের ধারণা: বলবন রাজাদের ঐশ্বরিক অধিকারে বিশ্বাস করতেন, শাসককে পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতেন। তিনি রাজার অবস্থানের পবিত্র এবং উন্নত প্রকৃতির উপর জোর দিয়েছিলেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে সুলতানের সাথে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে আচরণ করা উচিত।

কেন্দ্রীভূত কর্তৃপক্ষ: বলবনের লক্ষ্য ছিল শাসকের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা। তিনি রাজদরবারে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে আভিজাত্য এবং আঞ্চলিক গভর্নরদের প্রভাব হ্রাস করতে চেয়েছিলেন। এই কেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্য ছিল রাজতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় শাসকদের স্বায়ত্তশাসন হ্রাস করা।

বিচারের কঠোর প্রশাসন: বলবন একটি শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ আইনি ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার গুরুত্বে বিশ্বাস করতেন এবং অপরাধ ও বিদ্রোহ প্রতিরোধে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করতেন। এই পন্থাটি ছিল নিয়ন্ত্রণকে একীভূত ও বজায় রাখার জন্য তার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।

ভয় এবং নজরদারির নীতি:  বলবন তার প্রজা এবং সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ভয় জাগিয়ে লোহার মুষ্টি দিয়ে শাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আভিজাত্যের ওপর নজর রাখতে এবং ভিন্নমত বা বিদ্রোহের কোনো লক্ষণ সনাক্ত করার জন্য গুপ্তচর ও তথ্যদাতাদের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন।

শ্রেণীবিন্যাস এবং প্রটোকল: বলবান রাজদরবারে একটি কঠোর প্রটোকল প্রবর্তন করেছিলেন, সুলতানের উপস্থিতির সাথে যুক্ত বিস্তৃত আচার-অনুষ্ঠানের উপর জোর দিয়েছিলেন। এটি কেবল রাজতন্ত্রের মহিমা প্রদর্শনের জন্য নয় বরং শাসকের উচ্চ মর্যাদার ধারণাকে শক্তিশালী করার জন্যও ছিল।

বলবনের রাজতান্ত্রিক মতাদর্শের মূল ছিল শাসনের একটি বাস্তববাদী পদ্ধতির মধ্যে, যা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের মুখে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি শক্তিশালী, কেন্দ্রীভূত কর্তৃত্বের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। যদিও তার পদ্ধতিগুলি কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর ছিল, তারা শাসক অভিজাতদের মধ্যে কিছুটা ভয় এবং অবিশ্বাসের জন্যও অবদান রেখেছিল। বলবনের নীতিগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে মধ্যযুগীয় ইসলামি শাসনের প্রকৃতির উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল।

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment