মেসোপটামিয়ার সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভবনী
মেসোপটামিয়ার সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভবনী অনেকগুলো ছিল। তারা সমাজ, প্রশাসন, প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেকগুলো অগ্রগতি করেছিলেন।
![মেসোপটেমীয় সভ্যতা](https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcRlZz6TEpQ1ynPP_MH_Qx08bWmWlWyp62MbNA&usqp=CAU)
১. শহরগুলো:
- মেসোপটামিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভবনীর মধ্যে একটি হলো শহরের গঠন। এই সভ্যতার লোকরা সম্ভবত প্রথম পর্যায়েই শহর গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে শহরগুলো উন্নয়ন পেয়ে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে নোরা, বাবিলন, উরুক, লার্সা, কিশ, উর, আশুর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
২. কলাম লেখা:
- মেসোপটামিয়ান লোকরা প্রথম লেখনী তৈরি করেন যা বিখ্যাত হয়েছে কুনেইফরম ও কুনিফর্ম স্ক্রিপ্ট। এই লেখনীর উদ্ভবনী এবং প্রচলন মেসোপটামিয়ান সভ্যতার সাংস্কৃতিক এবং আর্থিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
৩. সৌদানি পরিকল্পনা:
- মেসোপটামিয়ার লোকরা প্রথম সৌদানি পরিকল্পনা ব্যবহার করেন যা বাড়তি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হত। এটি প্রবাহী নদীর পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হত এবং খরীফ ও রবি মৌসুমের জন্য অনুমান করা যেত। এটি জলাশয় নির্মাণে, অটোমেটিক জল পরিচালনায়, ও কৃষিতে ব্যবহার করা হত।
৪. কৃষি ও গার্ডেনিং:
- মেসোপটামিয়ান লোকরা কৃষিতে ধান, গম, বাজরা, মাটর, মুগ, মসুর, পটল, লাউ, মূলা, টমেটো, কুমড়া, পাট, মোচা, সরগম, সসপশি, অনুর ইত্যাদি ফসল চাষ করতেন। তারা পরিস্কার ও সুন্দর বাগানসহ গার্ডেনিং কাজেও দক্ষ ছিলেন।
মেসোপটামিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভবনী ও অন্যান্য উপাদান সমগ্রে একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ সভ্যতার প্রতীক হিসেবে মনে হয়। এগুলো তাদের সমাজ, অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রমাণ দিয়েছে।
ধন্যবাদ....