ভারতীয় বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভব একটি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের অংশ। ভারতের শিক্ষা পদ্ধতি এবং শিক্ষা সংস্কৃতি মিলিত প্রাচীন সময় থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা সিস্টেমের প্রধান মাধ্যম ছিল গুরুকুল ও আশ্রম পদ্ধতি।
গুরুকুল পদ্ধতিতে, ছাত্রদের একটি গুরুর আশ্রমে যাওয়া এবং প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত করা হত। আশ্রম পদ্ধতিতে, ছাত্রদের আশ্রমে যাওয়া হত এবং প্রধানত ধার্মিক এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রাপ্ত করা হত।
প্রাচীন কালে প্রাচীন ভারতীয় বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য স্থাপনা ছিল, যেমন নালান্দা বিশ্ববিদ্যালয়, তাক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়, ভালাভী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আলোচনা ও অধ্যয়নের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকত।
ব্রিটিশ শাসনের শুরুতে, ব্রিটিশ শিক্ষা পদ্ধতির প্রভাবের কারণে, ব্রিটিশ শিক্ষা পদ্ধতি এবং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ইংরেজি ভাষার প্রয়োগ এবং পশ্চিমী বিজ্ঞান ও তত্ত্বের প্রবর্তনে একটি সংগঠিত পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত হয়।
১৮১৭ সালে রাজা রামমোহন রায় দ্বারা প্রথম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে হরিশ চন্দ্র বিদ্যাসাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় ভিষ্ণুপুরে রামমোহন রায় বিশ্ববিদ্যালয়।
১৮২২ সালে ব্রহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা রাজার্ষি রাজচন্দ্র দ্বারা প্রথম ব্রহ্ম সমাজ বিশ্ববিদ্যালয় তাত্ত্বিক ও ধার্মিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে স্থাপিত হয়।
এছাড়াও, ব্রিটিশ শাসন সময়ে ভারতে বহুধা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা হয়েছিল, যেমন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
তবে, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর, ভারতীয় শিক্ষা সমাজে গভীর পরিবর্তন আনা হয়। এখানে মানবিক উন্নতি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৃতির অধ্যয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই অধ্যয়নের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনুষদ (ইংরেজি: Institute) প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা সংস্থান (IITs), ভারতীয় প্রাণী বিজ্ঞান এবং উন্নত শিক্ষা সংস্থান (IISc), ভারতীয় ইম্প্রুভমেন্ট ইনস্টিটিউট (IIMs) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ধন্যবাদ..