ভারতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সরকারের ভূমিকা
ভারতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ভূমিকা বিভিন্ন কার্যক্রম, নীতি এবং প্রণোদনা মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। নিচে এর প্রধান কিছু দিক উল্লেখ করা হলো:
1. নীতি ও পরিকল্পনা:
- কৃষি নীতি: সরকার বিভিন্ন কৃষি নীতি প্রণয়ন করে, যা খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। উদাহরণস্বরূপ, ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি মিশন (NFSM) এবং ন্যাশনাল মিশন অন সাসটেইনেবল অ্যাগ্রিকালচার (NMSA)।
- পাঁচবছর মেয়াদী পরিকল্পনা: পরিকল্পনা কমিশন বিভিন্ন পাঁচবছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, যা কৃষির উন্নয়নে সহায়ক হয়।
2. প্রণোদনা ও ভর্তুকি:
- সার ও বীজে ভর্তুকি: সরকার সারের ও উন্নতমানের বীজে ভর্তুকি প্রদান করে, যা কৃষকদের খরচ কমাতে সহায়ক।
- সেচ সুবিধা: সেচের জন্য ভর্তুকি এবং সুবিধা প্রদান করা হয়, যেমন প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা (PMKSY)।
3. প্রযুক্তি ও গবেষণা:
- কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (ICAR) এবং বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন: কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং আধুনিক সেচ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
4. মজুদ ও বাজার ব্যবস্থাপনা:
- ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP): সরকার বিভিন্ন খাদ্যশস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করে, যা কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে।
- খাদ্য নিগম (FCI): FCI খাদ্যশস্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
5. প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম:
- কৃষক প্রশিক্ষণ: কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালিত হয়, যা উন্নত কৃষি পদ্ধতি ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানায়।
- কৃষি সম্প্রসারণ কেন্দ্র (KVK): কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি কৃষকদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করে।
6. আর্থিক সহায়তা:
- কৃষি ঋণ: সরকার কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান করে, যেমন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) এবং কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (KCC)।
7. প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা:
- বীমা স্কিম: প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (PMFBY) প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের ক্ষতি কমাতে সহায়ক।
-ধন্যবাদ