logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

মানবাধিকার কী?


মানবাধিকার 

মানবাধিকার হলো এমন মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা যা প্রতিটি মানুষকে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, জাতিগত উত্স, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মতামত, সামাজিক বা জাতীয় উত্স, সম্পত্তি, জন্ম, বা অন্য কোনো অবস্থার ভিত্তিতে ভেদাভেদ না করেই প্রাপ্য। মানবাধিকার হলো সর্বজনীন, অপ্রত্যাহারযোগ্য, এবং অবিচ্ছেদ্য।

 

মানবাধিকার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  1. মানবিক মর্যাদা ও সমতা: মানবাধিকার প্রতিটি ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয় এবং সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করে। এটি সমাজে ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তি স্থাপন করে।

  2. স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা: মানবাধিকার ব্যক্তি ও সমাজের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজকে নিপীড়ন, শোষণ, এবং নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করে।

  3. সামাজিক ন্যায়বিচার: মানবাধিকার সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এটি দারিদ্র্য, বৈষম্য, এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সমাজের সব স্তরের মানুষের উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করে।

  4. আইনের শাসন: মানবাধিকার আইনের শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং এটি নিশ্চিত করে যে প্রতিটি ব্যক্তি আইন অনুসারে সুরক্ষিত এবং তাদের অধিকার সংরক্ষিত।

 

মানবাধিকার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও চুক্তি

  1. সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (UDHR): ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ দ্বারা গৃহীত, এটি প্রথমবারের মতো সর্বজনীন মানবাধিকারগুলির একটি সাধারণ মানদণ্ড স্থাপন করে।

  2. আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ (ICCPR): এটি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, এবং ভোটাধিকার সুরক্ষিত করে।

  3. আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সনদ (ICESCR): এটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার যেমন কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, এবং স্বাস্থ্যসেবার অধিকার সুরক্ষিত করে।

 

মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচার

  1. জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল: জাতিসংঘের এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

  2. আন্তর্জাতিক এনজিও ও সংস্থাগুলি: যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ায় এবং প্রতিকার দাবি করে।

  3. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ: অনেক দেশ নিজ নিজ সংবিধান ও আইনগুলিতে মানবাধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে এবং এটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে।

 

মানবাধিকার সম্পর্কিত কিছু প্রধান অধিকার

  1. জীবনের অধিকার: প্রতিটি ব্যক্তির জীবনের অধিকার সুরক্ষিত এবং এটি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

  2. স্বাধীনতার অধিকার: ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি।

  3. সমতার অধিকার: সকল ব্যক্তির আইনের সামনে সমানতা এবং সমান সুরক্ষার অধিকার।

  4. কাজের অধিকার: নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশে কাজ করার অধিকার এবং ন্যায্য মজুরি পাওয়ার অধিকার।

  5. শিক্ষার অধিকার: সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার এবং শিক্ষার সমান সুযোগ।

মানবাধিকার সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার, এবং সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এটি প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা, মর্যাদা, এবং মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment