ওয়েবসাইটের সমস্ত ডেটা কপি করাকে ব্যাকআপ বলে। এটি আপনার প্রধান ওয়েবসাইটের একটি অতিরিক্ত অনুলিপি সংস্করণের মত।ব্যাকআপ রাখা হয় মূলত ওয়েবসাইটের ডাটা সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং সাইটের ডাটা সুরক্ষিত রাখার জন্য, যাতে ভবিষ্যতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ব্যাকআপ পুনরুদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা যায়। এছাড়াও, আপনার ওয়েবসাইটকে একটি হোস্টিং কোম্পানি থেকে অন্যটিতে সরানোর জন্য আপনাকে একটি ব্যাকআপ নিতে হবে।
Backup Neighbour এর একাধিক সিস্টেম আছে, আপনি একটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার বা প্লাগইন এর মাধ্যমে ব্যাকআপ নিতে পারেন এবং আপনি আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির বিল্ট-ইন সফটওয়্যারের সাহায্যে ব্যাকআপ নিতে পারেন, এছাড়াও আপনি বিভিন্ন মার্চে ম্যানুয়াল ব্যাকআপ নিতে পারেন। আপনি যে মাসে ব্যাকআপ নেন না কেন, নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ক্লাউড ব্যাকআপ
ক্লাউড ব্যাকআপের বিষয় হল আপনাকে ব্যাকআপ ম্যানুয়ালি রাখতে হবে না, হোস্টিং কোম্পানি আপনার জন্য ব্যাকআপ রাখবে। ফলস্বরূপ, আপনার ওয়েবসাইটের ডেটা খুব সুরক্ষিত থাকবে। তবে এখানে একটি কথা বলা জরুরীঃ ক্লাউড ব্যাকআপ সার্ভিস নেওয়ার পরও আপনাকে অবশ্যই মাসে অন্তত 1-2 বার ব্যক্তিগত ব্যাকআপ রাখতে হবে, কারণ অপ্রত্যাশিত বিপর্যয় মূল ডেটার পাশাপাশি ব্যাকআপ ডেটার ক্ষতি করতে পারে, সেক্ষেত্রে সেফ সাইটে থাকার জন্য নিজে থেকে ব্যাকআপ রাখাই বেটার অপশন।
হোস্টিং কোম্পানীগুলোও কখনোই তাঁদের ব্যাকআপ এ গ্যারান্টি দিয়ে থাকেনা কারণ দূঘর্টনা ঘটতেই পারে, ব্যাকআপ করাপ্টেড হতেই পারে তাই এখানেই ১০০% গ্যারান্টি দেয়া মুশকিল। নিজে থেকে ব্যাকআপ রাখার পাশাপাশি ক্লাউড ব্যাকআপ সার্ভিস নেয়াটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নিজে থেকে লেটেস্ট ব্যাকআপ রেগুলার নেওয়া সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। আবার আপনি যে ব্যাকআপটি নিচ্ছেন সেটিও করাপ্টেড হতেই পারে, ব্যাকআপ ডাটা ভুলবশত আপনার কাছে থেকে রিমুভ হয়ে যেতেই পারে, তাই সিকিউর অপশন হচ্ছে ক্লাউড ব্যাকআপ রাখা। এতে করে কোন কারণে যদি ব্যাকআপ ডাটা আপনার কাছে থেকে করাপ্টেড বা রিমুভ হয়েও যায় ক্লাউড ব্যাকআপ থাকার কারণে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার ইজিলি আপনার ওয়েবসাইটের লেটেস্ট ব্যাকআপ রিস্টোর করে দিতে পারবে।