logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

ঐতিহাসিক ইতিহাসের অধ্যক্ষমতা কী?


ঐতিহাসিক ইতিহাসের অধ্যক্ষমতা 

ঐতিহাসিক ইতিহাসের অধ্যক্ষমতা (historiography) হলো ইতিহাস লেখার পদ্ধতি এবং বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসবিদরা কীভাবে ইতিহাস লিখেছেন এবং তা ব্যাখ্যা করেছেন তা নিয়ে গবেষণা। এটি শুধুমাত্র অতীতের ঘটনাগুলি কী ঘটেছিল তা নিয়ে নয়, বরং কীভাবে এবং কেন সেগুলি লেখা এবং বোঝা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে। ঐতিহাসিক ইতিহাসের অধ্যক্ষমতার কিছু মূল দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. ইতিহাস লেখার পদ্ধতি: কীভাবে বিভিন্ন সময়ে এবং স্থানে ইতিহাস লেখা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা। এখানে গবেষণা করা হয় যে, ইতিহাসবিদরা কী ধরণের প্রমাণ ব্যবহার করেছেন এবং তাদের পদ্ধতি কী ছিল।

  2. দর্শন ও মতবাদ: ইতিহাসের লেখায় বিভিন্ন দর্শন এবং মতবাদের প্রভাব কীভাবে পড়েছে তা বিশ্লেষণ করা। উদাহরণস্বরূপ, মার্ক্সবাদী, নারীবাদী, এবং পোস্টমডার্ন মতবাদ কীভাবে ইতিহাস লেখার ওপর প্রভাব ফেলেছে।

  3. সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ইতিহাস লেখার সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা। এটি বোঝার চেষ্টা করা হয় যে, ঐ সময়ের প্রভাব কীভাবে ইতিহাস লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।

  4. ইতিহাসবিদদের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের উদ্দেশ্য এবং তাদের লেখার প্রেরণা কী ছিল তা বিশ্লেষণ করা। এটি বোঝার চেষ্টা করা হয় যে, তারা কোন দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাস লিখেছেন।

  5. প্রমাণ ও উৎসের ব্যবহার: ইতিহাস লেখার সময় ব্যবহৃত প্রমাণ এবং উৎসের বিশ্লেষণ। এটি দেখা হয় যে, ইতিহাসবিদরা কোন ধরণের প্রমাণ ব্যবহার করেছেন এবং তা কীভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।

  6. ইতিহাসের পরিবর্তন: ইতিহাস লেখার ধারা এবং পদ্ধতির পরিবর্তন কীভাবে ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করা। এটি বোঝার চেষ্টা করা হয় যে, কিভাবে এবং কেন ইতিহাস লেখার ধারা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে।

  7. আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি: বিভিন্ন দেশের ইতিহাস লেখার ধারা এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করা। এটি বোঝার চেষ্টা করা হয় যে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং জাতিগত প্রেক্ষাপট কিভাবে ইতিহাস লেখায় প্রভাব ফেলেছে।

  8. নতুন তত্ত্ব ও পদ্ধতি: নতুন তত্ত্ব এবং পদ্ধতির উদ্ভব এবং তাদের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল ইতিহাস এবং মাইক্রোহিস্টোরির ব্যবহার।

ঐতিহাসিক ইতিহাসের অধ্যক্ষমতা আমাদের অতীতের ঘটনাগুলি বোঝার পাশাপাশি, কীভাবে এবং কেন সেগুলি ব্যাখ্যা এবং উপস্থাপন করা হয়েছে তা বোঝার সুযোগ দেয়। এটি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা যা আমাদের ইতিহাসের লেখার প্রক্রিয়া এবং তার পরিবর্তন সম্পর্কে গভীরতর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

 
Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment