মালভূমি গঠন
টেকটনিক প্লেটের গতিবিধির ফলে মাটির স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং এর ফলে মালভূমি গঠিত হয়। যখন দুটি টেকটনিক প্লেট একে অপরের সাথে সংঘর্ষ করে, তখন ভূমির একটি অংশ উপরে উঠে যায় এবং মালভূমি তৈরি হয়।
আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ফলেও মালভূমি গঠিত হতে পারে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভা নির্গত হয়ে জমে যায় এবং এই জমা লাভা মালভূমির আকার ধারণ করে।
ভূমিকম্পের ফলে বা টেকটনিক প্লেটের গতিবিধির কারণে ভূমির কিছু অংশ উঁচুতে উঠে যায়। এই প্রক্রিয়াটি গাঠনিক উত্তোলন নামে পরিচিত। গাঠনিক উত্তোলনের মাধ্যমে বড় আকারের মালভূমি গঠিত হতে পারে।
প্রাকৃতিক ক্ষয় এবং সঞ্চয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে মালভূমি গঠিত হয়। পানি, বায়ু এবং বরফের ক্ষয় প্রক্রিয়া ভূমির উপরের স্তরকে পরিস্কার করে দেয় এবং এর ফলে উঁচুতে অবস্থিত মালভূমির আকার তৈরি হয়।
মালভূমি গঠনের প্রতিটি প্রক্রিয়া ভূতাত্ত্বিক সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় এবং একাধিক প্রক্রিয়া একসাথে কাজ করে মালভূমি তৈরি করতে পারে।