logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

EIA কেন প্রয়োজন?


EIA কেন প্রয়োজন:

 

EIA (Environmental Impact Assessment) বা পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন বিভিন্ন কারণে প্রয়োজনীয়। এটি পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়নের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়ক। নিচে EIA-এর প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব আলোচনা করা হলো:

 

১. পরিবেশ সুরক্ষা (Environmental Protection)

EIA প্রকল্পের সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করে এবং পরিবেশগত ক্ষতি কমাতে সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ, বন্যপ্রাণী এবং বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

 

২. টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development)

EIA টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে, যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করে। এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে পরিবেশগত দায়িত্ববোধের সমন্বয় ঘটায়।

 

৩. আইনি বাধ্যবাধকতা (Legal Compliance)

বেশিরভাগ দেশে EIA আইনি বাধ্যবাধকতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি প্রকল্প পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রাসঙ্গিক পরিবেশগত আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে বাধ্য করে, যা আইনি জটিলতা ও জরিমানা এড়াতে সহায়ক।

 

৪. ঝুঁকি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা (Risk Identification and Management)

EIA প্রকল্পের সম্ভাব্য পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি নির্ধারণ করে। এটি ঝুঁকির পূর্বাভাস প্রদান এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক, যা প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী সফলতা নিশ্চিত করে।

 

৫. জনগণের অংশগ্রহণ (Public Participation)

EIA প্রক্রিয়ায় সাধারণ জনগণ, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও অংশগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় এবং সমাজের চাহিদা ও উদ্বেগগুলি সমাধান করতে সহায়ক।

 

৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহায়তা (Informed Decision Making)

EIA প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বিকল্প উপায়গুলি বিশ্লেষণ করে একটি সুসংগত এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। এটি নীতিনির্ধারকদের প্রকল্পের সম্ভাব্য সুবিধা ও ক্ষতির পর্যালোচনা করতে সহায়ক।

 

৭. অর্থনৈতিক সাশ্রয় (Economic Savings)

EIA-এর মাধ্যমে আগাম পরিবেশগত ঝুঁকি নির্ধারণ এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে অপচয় ও পরিবেশগত ক্ষতির সম্ভাবনা কমানো যায়। এটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সাশ্রয় নিশ্চিত করে।

 

৮. সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা (Reputation and Credibility)

EIA পরিচালনা এবং পরিবেশগত দায়িত্ববোধ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। এটি গ্রাহক, বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করে।

 

সারসংক্ষেপ

EIA পরিবেশ সুরক্ষা, টেকসই উন্নয়ন, আইনি বাধ্যবাধকতা, ঝুঁকি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা, জনগণের অংশগ্রহণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহায়তা, অর্থনৈতিক সাশ্রয় এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকল্প পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিবেশগত দায়িত্বশীলতা এবং টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করতে সহায়ক।

 

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment