logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

How to make money through Facebook marketing (ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার পদ্ধতি)


ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার পদ্ধতি 

বিশ্বের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর সর্বোচ্চ উচ্চ স্তরে অবস্থান রয়েছে এই facebook-এর৷ মারাত্মক এর জনপ্রিয়তা৷ আমাদের মনে সর্বক্ষণ কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক করে যে কতদিন আর বেকার থাকব বা আর্থিক ইনকাম টা কিভাবে বাড়াবো এসব মাথায় চলাকালীন আমরা সব সময় ভাবি কাশ এমন কোন মাধ্যম থাকত যাতে অল্প সময়ে কিছু অর্থ লাভ করতে পারতাম বা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যেত এ ধরনের নানান প্রশ্ন হামেশাই উঁকি দেয় আমাদের মনে৷ সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা যায় তখন যখন ছাত্রজীবনে টিউশনির গণ্ডির বাইরে তাকালে৷ তাদের মধ্যে দেখা যায টাকা উপার্জনের হাহাকার৷ 
            এই সমস্ত কিছু প্রশ্নের সমাধান কিন্তু রয়েছে , আপনি শুধুমাত্র ফেসবুকের সাহায্যে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসেই৷ কেননা, এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তির উন্নয়ন যেভাবে বাড়ছে ওইভাবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ হয়ে উঠছে অনেক আধুনিক৷ আর এই আধুনিক দুনিয়ায় প্রায় প্রত্যেকটি ব্যক্তির কাছে রয়েছে মোবাইল৷ আর মোবাইলে অবশ্যই ফেসবুক ইনস্টল রয়েছে৷ একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে প্রায় ২.৩২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ Facebook ব্যবহার করেন৷

  আর বর্তমানে সফল মানুষের চোখের মনি হচ্ছে এই Facebook কারণ দিনের প্রায় অনেকটা সময় মানুষ ফেসবুকে কাটান৷ এই ফেসবুকের মাধ্যমে অন্যের ছবিতে লাইক কমেন্ট করে, নিজের টাইমলাইনে নানান রকমের পোস্ট শেয়ার, বন্ধুদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে আড্ডা ইত্যাদি কিছু Facebook এর মাধ্যমে করে থাকে৷
এই সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে ২.৩২ বিলিয়নের বেশি রেজিস্টার্ড ইউজার একটিভ থাকেন, দিনে দিনে এর সংখ্যা বাড়ছে বয়ে কমছে না৷ তাই Facebook এ account বানিয়ে দিনের পর দিন chatting করে অন্যদের ছবি, স্ট্যাটাস, ভিডিও ইত্যাদি না দেখে সময় নষ্ট না করে আপনি চাইলে কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটটিকে অর্থাৎ ফেসবুককে টাকা আয় করার মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগিয়ে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন৷ ফেসবুকে গড়ে তুলতে পারেন ছোটখাটো একটি অনলাইন স্টার্টআপ৷ যেমন-
নানান রকমের ফ্যান পেজ তৈরি, ভিডিও বানানো, ফেসবুক গেম ডেভেলপ করে, অনলাইন শপ এর মত হাজারো পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসবুক কিন্তু হয়ে উঠতে পারে আপনার টাকা ইনকামের একটি উৎস হিসেবে৷

ফেসবুক থেকে আয় করার মাধ্যম বা উপায় গুলি কি কি ?

প্রথমেই বলে রাখি, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুললেই যে আয় করা সম্ভব ব্যাপারটা তেমন নয়৷ Facebook থেকে আয় করা খুব সহজ কাজ নয় কিন্তু ইন্টারনেট দুনিয়ায় বেশকিছু উপায় রয়েছে যেগুলোর প্রয়োগ করে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেনসহজেই খুব সহজেই৷  চলুন আর অন্য কোন প্রসঙ্গে কথা না বলে ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেসব পদ্ধতি বা মাধ্যম গুলি সম্পর্কে  জেনে নিয়৷  

১) Facebook marketplace :-
বর্তমান business এর জন্য Facebook এর একটি নতুন সংযোজন হল marketplace I এটি একটি online shopping website এর মতন৷ Facebook marketplace সম্বন্ধে প্রায় কম-বেশি প্রত্যেকে হয়তো জানেন৷ এই Facebook marketplace এর সাহায্যে আপনি কোন product, service, অথবা offer অনলাইনে ডিসপ্লে করে কেনাকাটা করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন৷
          সহজ অর্থে, আপনি কোন কিছু সেল করতে বা কোন প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে চান তাহলে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর সাহায্যে ঘরে বসে হাজার হাজার মানুষকে সেই বিজ্ঞাপনটি দেখাতে পারেন৷ এবং ডিসপ্লে করা প্রোডাক্টটি যদি কারো ভালো লাগে তাহলে কাস্টমাররা সরাসরি ফেসবুকের সাহায্যে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন৷

চলুন এবার দেখি ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?

প্রথমেই বর্তমানে যে সমস্ত প্রোডাক্ট এর চাহিদা রয়েছে মার্কেটে সে সমস্ত জিনিস গুলি কোন wholesaler এর কাছ থেকে কিনে নেবেন৷ ঘেমন- স্টাইলিশ কানের দুল, শাড়ি, পুরুষদের  জামা-কাপড় ইত্যাদি৷
তারপর আপনার কেনা সে সমস্ত প্রোডাক্ট এর ছবি, ডিটেলস, প্রোডাক্টের মূল্য, এবং নিজস্ব ফোন নাম্বার সমস্ত কিছুই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে দিয়ে দিতে হবে৷
              আপনি কিন্তু ফ্রিতেই আপনার প্রোডাক্ট এর ডিসপ্লে করতে পারবেন৷ এখন আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপনটি নিজের Facebook group, নিজের Facebook profile , এবং promote ad option এর মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় অর্থাৎ শহর হোক বা গ্রাম দেশের যেকোনো জায়গায় দেখাতে পারবেন৷আপনার শেয়ার করা বিজ্ঞাপনটি যদি কোন ব্যক্তির পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে কাস্টমার নিজেই আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারে কল করে প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে কথা বলতে চাইবে৷
         ঘরে বসেই এখন অধিকাংশ লোকে ফেইবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে নিজস্ব অনলাইন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রচুর অর্থ রোজগার করছে৷ তাই আপনি এইভাবে যেকোনো প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে সেল করে ইনকাম করতে পারেন৷ তবে একটা কথা সর্বদা মনে রাখবেন, অনলাইন মার্কেটিং করার মূলমন্ত্র কিন্তু চাহিদা সংক্রান্ত দ্রব্য এবং স্বল্প মূল্য৷

               অর্থাৎ, কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী যে কোন প্রোডাক্ট যদি আপনি আপনার লোকাল মার্কেট এর থেকে কিছু কম দামে অনলাইনে সেল করেন তাহলে সে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি আপনার ফেসবুক থেকে কাস্টমার অনেক পেয়ে যাবেন৷ অন্যান্য জায়গা তুলনায় আপনার লোকাল এরিয়া থেকে ক্রেতা পাওয়া অনেক সোজা। কেননা, আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার চেনাজানা একই শহরের মানুষেরাই ফ্রেন্ড লিস্টে রয়েছে তাই আপনার ফ্রেন্ডের আপনি আপনার কাস্টমার বানিয়ে নিতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে প্রোডাক্টের ডেলিভারিও খুব সহজেই করে দিতেও পারবেন৷

২) ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয় :- 
আপনি যদি কোন বিজনেস করে আয় করার পাশাপাশি নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলতে পারেন৷ এটি নিজস্ব আইডেন্টিটি বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী একটি মাধ্যম৷
              প্রথমেই বলি, ফেসবুক আইডিতে  যদি আপনার ৫০০ এর বেশি ফ্রেন্ড বা বন্ধু থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই তৈরি করতে পারবেন একটি ফ্যানপেজ৷ ফ্যানপেজের মাধ্যমে আপনি আপনার বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট প্রমোট করে অথবা প্রোডাক্টগুলো সেল করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন৷ 
                                                  
কিন্তু প্রশ্ন হল ফ্যানপেজ তৈরি করব কিভাবে?
চলুন দেখে নেই একটি ফ্যান পেজ খুলতে কি কি প্রয়োজন পড়ে - 
১) Facebook account থাকতে হবে৷
২) এরপর আপনার Facebook account থেকে প্রথমে আপনার personal id থেকে login করে create অপশনে click করতে হবে৷
৩) create অপশন select করার পরে একটি page show করবে৷ সেখানে page অপশন নামে একটি অপশন সিলেক্ট করে নিতে হবে৷
৪) ফ্যান পেজের জন্য এরপর একটি name সিলেক্ট বসাতে হবে৷
৫) name সিলেক্ট করার পর একটি ফটো সিলেক্ট করে নিতে হবে আপনার profile এর জন্য৷
     এখানে মনে রাখবেন আপনি যে ধরনের বিজনেস করছেন সে সম্পর্কিত ছবি সিলেক্ট করবেন৷
৬) profile picture এরপরে page এজন্য cover ইমেজ সিলেক্ট করে নিতে হবে৷ যার সাহায্যে আপনার ফেসবুক পেজ তৈরি কাজ শেষ হবে৷

৩)Facebook instant article এর মাধ্যমে আয়:- 
Facebook instant article এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন তা বলার আগে এই instant article কি চলুন ছোট করে জেনে নেই৷ 
            মোবাইল ব্যবহারকারীরা দ্রুত news পড়ার সুবিধার্থে ফেসবুক এখন নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল৷ একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কিছু নিউজ বা শিরোনাম এর সাথে বজ্রের মতো একটি চিহ্ন দেখানো হয়৷ এবং সেই শিরোনামের লিংকে click করলে সরাসরি নিউজ ওপেন হয়ে যায় ফেসবুকেই কষ্ট করে এর জন্য অন্য কোন ব্রাউজার ওপেন করার প্রয়োজন পড়ে না৷
            ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে ক্লিক এর সাহায্যে কোন পোস্ট পড়তে গেলে লক্ষ্য করবেন সেখানে অনেক বিজ্ঞাপন দেখা যায়৷ এই বিজ্ঞাপন দেখানোর বিনিময়েই ফেসবুক টাকা দিয়ে থাকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্রকাশককে৷ বর্তমানে পৃথিবীর বড় বড় সংবাদ মাধ্যমগুলি কিন্তু ফেসবুকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর সাহায্যে নানা ধরনের খবরা খবর প্রকাশ করে থাকেন৷ 
 সহজে অর্থে, অল্প সময়ে সাইটে গিয়ে ফেসবুকেই পাঠকদের পড়ার সুবিধার্থে এবং ওয়েবসাইট এর মালিকদের সাথে রেভিনিউ শেয়ার করার উদ্দেশ্যে এই ফিচারটি ফেসবুক তৈরি করেছে৷ 
              অতএব আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে তাহলে এই ফিচারটি ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে প্রচুর অর্থ রোজগার করতে পারবেন৷

চলুন এবার জেনে নেই instant article এর মাধ্যমে ঠিক কিভাবে আয় করা যায়? 
১) Facebook এ পর্যাপ্ত পরিমাণ follower থাকা অত্যন্ত আবশ্যক৷
২) আপনার Facebook page টি কতটা জনপ্রিয় তার ওপরে নির্ভর করে আপনার আর্থিক আয়৷ তাই ফেসবুক পেজটির জনপ্রিয়তা খুবই প্রয়োজন৷
৩) ভাষা কি হবে সেটা ইম্পর্টেন্ট নয়, তবে ইউরোপীয় দেশ তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ থেকে যদি আপনার ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এ ক্লিক পড়ে তাহলে আপনার আর্থিক আরোও অনেক বেশি হবে৷
৪) আয় করা অর্থ ১০০ ডলার হলেই সঙ্গে সঙ্গে চলে আসবে তা আপনার ব্যাংক একাউন্টে সেজন্য আপনাকে কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে ব্যাংক একাউন্টে জয়েন করে নিতে হবে৷
          বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ফিচারটির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা মাসে ইনকাম করে থাকে৷ তাই আপনারা এই মাধ্যমটি কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন এটি অনেক কার্যকরী একটি উপায়।

৪) Facebook video থেকে আয় :-
YouTube এ ভিডিও পোস্ট করে টাকা ইনকাম করা যায় আমরা সবাই জানি৷ কিন্তু, আপনারা কি জানেন ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেও আয় করা সম্ভব৷ আপনারা ফেসবুক ভিডিও দেখা কালীন লক্ষ্য করবেন ভিডিও গুলিতে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় নানান বিষয়ে আর এই বিজ্ঞাপন দেখানোর প্রক্রিয়া গুলিকে বলা হয় In - stream Ad.
আপনার ফেসবুক পেজে যদি ফলোয়ার অনেক থাকে এবং আপনার পোস্টগুলোতে নিয়মিত যদি অনেক ভিউ আসে তাহলে আপনিও আপনার পেজ এ ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন৷
                    প্রশ্ন আসছে কিভাবে ?
আপনার পেজ ফেসবুক ইন-স্ট্রিম এডের জন্য মনিটাইজ করার পরবর্তীতে আপনার আপলোড করা ভিডিওতে ফেসবুক নানান বিজ্ঞাপন দেখাবে এই সমস্ত বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে টাকা দিবে ফেসবুক৷ তবে হ্যাঁ, ফেসবুক পেজে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে হলে আপনার পেজের কিছু যোগ্যতা থাকা অত্যন্ত আবশ্যক৷
এভাবেই আপনার বানানো ভিডিও মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন৷
                  এবার আপনাদের অবশ্যই মনে হচ্ছে ভিডিও মনিটাইজেশন করবো কিভাবে! তার জন্য কি করতে হবে?
             চিন্তার কোন কারণ নেই৷ চলুন জেনে নেই ফেসবুক মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কি কি করা প্রয়োজন ৷
১) একটি ফেসবুক পেজ থাকা অত্যন্ত জরুরী৷
২) ১০,০০০ লাইক ফেসবুক পেজে থাকতে হবে৷
৩) ৬০ দিনে ভিডিওতে মোটামুটি ৩০ হাজার থাকতে হবে৷
৪) প্রতিটি ভিউ মিনিমাম এক মিনিটের হতে হবে৷
৫) ভিডিওগুলি কম করে হলেও ৩ মিনিটের হতে হবে৷
৬) আপনার বয়স 18 হওয়া বাঞ্ছনীয়৷
৭) অত্যন্ত জরুরি একটি দিক হচ্ছে আপনাকে Facebook এর partner monetization policies মেনে ভিডিও বানাতে হবে৷

৫) Facebook group থেকে আয় :- 
যদি থাকে একটি ফেসবুক গ্রুপ সাথে থাকে যদি সেখানে প্রচুর মেম্বার তাহলে সত্যিই ভালো  অংকের টাকা এখান থেকে কমানো সম্ভব৷ কিন্তু কিভাবে চলুন দেখে নেই -
১) প্রথমে Facebook account থেকে একটি group বানাতে হবে৷
২) group এ 10,000 active member থাকতে হবে৷
৩) নিয়মিত মজার কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে সেই গ্রুপে৷
৪) নিজস্ব group এ members দের সর্বদা active রাখার চেষ্টা করতে হবে যেকোন উপায়ে। যেমন- questions, blog post, images, videos বা Polls ইত্যাদির মাধ্যমে৷
                একবার যদি গ্রুপটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেয় সেখানে যদি কম করেও ১০ হাজার followers হয় তাহলে আপনি কয়েকটি উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন৷ যেমন-
i) paid surveys 
ii) sponsored content to publish
iii) নিজেস্ব product, book, service ইত্যাদি সেল করে৷
iv) affiliate marketing
v) নিজেস্ব Group বিক্রি করে
vi) Group থেকে বিভিন্ন blogs বা YouTube Channel গুলোতে traffic বিক্রির মাধ্যমে ইত্যাদি৷

৬) Facebook appএর মাধ্যমে আয় :- 
প্রোগ্রামার বা গেম ডেভেলপারদের জন্য ফেসবুকে টাকা ইনকাম করার অনেক সুবিধা রয়েছে৷ আপনি যদি হয়ে থাকেন একজন গেম ডেভলপার তাহলে আপনি নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম৷
আপনার ফেসবুকের জন্য তৈরি করা অ্যাপ পাবলিশ করার পর ফেসবুকে আপনার অ্যাপ ইউজার এর ওপর কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ যত বেশি অ্যাপ এর ইউজার তত বেশি টাকা৷
ফেসবুক এর শুরুতে ফার্মভিল নামক একটি গেম প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল৷ আর বর্তমানে ফেসবুকে লুডু থেকে শুরু করে বিভিন্ন নানান ধরনেরগেমস রয়েছে৷ Zynga নামে একটি কোম্পানি ফার্মভিল গেমটির ডেভলপার ছিল৷
জিংগা, রোমিও পপক্যাপ ইত্যাদি এই ধরনের গেমিং কোম্পানি সাহায্যে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে আপনার তৈরি করা গেম গুলো আপলোড করতে পারেন৷ আর আপনি এইভাবেই ফেসবুক গেমগুলি পাবলিশ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন৷

৭) ফ্রিল্যান্সিং : - 
ঘরে বসে অনলাইনে টাকা রোজগার এর পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা যারা খোঁজ-খবর করে থাকে তাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত একটা নাম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং৷ এখন ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব৷ 
ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হল -নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অপর কারো কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন৷
আপনারা কি জানেন ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক অপশন রয়েছে৷ যেমন -
 i) ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করা৷
ii) ফেসবুক পেজ প্রমোট করা ৷
iii) এড ক্যাম্পেইন করা৷
iv) প্রোফেশনাল ফেসবুক পেজ তৈরি করে দেওয়া৷
ধরুন, এগুলির মধ্যে আপনার যেকোনো একটি কাজ করার দক্ষতা রয়েছে তাহলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের জয়েন হয়ে আপনি এই সমস্ত সার্ভিসগুলো ফেসবুকেই দিতে পারবেন৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া যেহেতু ফেসবুক তাই এখানে ফ্রিল্যান্সিং করাটা সত্যিই অনেক বেশি সহজ ও লাভজনক৷ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আলাদা অনেক মার্কেটপ্লেস আছে৷ যেমন-
i) fiverr.com
ii) upwork.com
iii) Freelancer.com ইত্যাদি৷
তবে, ফ্রিল্যান্সিং করতে এ সমস্ত বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে৷ যেমন -
ধরুন, আপনি যদি ফটো ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোব, টি-শার্ট ডিজাইন প্রভৃতি কাজ করে ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কিত যত গ্রুপ রয়েছে সেগুলি তে জয়েন হয়ে সেখানে আপনার স্কিল শেয়ার করতে পারেন৷
আপনার কাজ মানুষের ভালো লাগলে তারা অবশ্যই আপনাকে কাজের অফার দিবে৷
           ঠিক এই ভাবেই ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব৷

৮) ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয় :- 
ইনফ্লোয়েন্সের আমরা তাদেরকে বলে থাকি যাদের অনেক অনেক মানুষ ফলো করে এবং সেও তাদের ভালো কিছু না কিছু শেখাতে চেষ্টা করে অথবা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে থাকে৷
ইনফ্লোয়েন্সার পাঁচ ধরনের৷ যথা-
i) mega- influencers  অর্থাৎ যার ১০ লাখের বেশি follower রযেছে অর্থাৎ সেলিব্রিটি 
ii) macro- influencers অর্থাৎ ঘার ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ follower রয়েছে৷
iii) midtier- ingluencers অর্থাৎ ৫০ হাজার-১০ লাখ follower
iv) micro- influencers অর্থাৎ ৫হাজার থেকে ৫০ হাজার follower রযেছে৷
v) Nano-influencers অর্থ্যৎ ১ হাজার থেকে ১০ হাজার follomer আছে৷
যার যত বেশি ইনফ্লুয়েন্সার তারা ততো বেশি দাম মার্কেটে৷
উদাহরণ হিসেবে - বাংলাদেশের পেক্ষাপটে মেগা ইনফ্লুয়েন্সার যে কোন প্রোডাক্ট প্রমোট করার জন্য এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পেয়ে থাকে কেবলমাত্র লাইভে এসে এক মিনিট বা তারও কম সময় শুধু এই প্রোডাক্টটি বিষয়ে দু-একটা কথা বলে দেওয়ার জন্য৷
তাহলে আপনার যদি থাকে সামান্য ফলোয়ার তাহলে এই মাধ্যম কে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজেই ৷

৯) কোর্স বিক্রি করে ফেসবুকে আয় :-
আপনার যদি থাকে কোন বিষয়ে দক্ষতা তাহলে সেই দক্ষতাকে ব্যবহার করে সেই বিষয় সম্পর্কিত কোর্স তৈরি করে সেটি ফেসবুকে ফ্রি প্রোমোট করতে পারবেন৷ এবং সেই সমস্ত কোর্সগুলিকে বিক্রি করে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন৷
উদাহরণস্বরূপ - ধরুন, আপনি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন৷সে বিষয়ে কোর্স বানিয়ে ফেলতে পারেন৷

১০) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয় :- 
অন্যের প্রোডাক্ট সেল করার বিনিময় সে আপনাকে যে কমিশন দিবে অর্থাৎ কমিশন ভিত্তিক আয়কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়৷
           ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে সকল ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে সেই সমস্ত ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলতে হবে প্রথমে তারপরে আপনাকে ইচ্ছাস্বাধীন যেকোনো একটি প্রোডাক্ট বেছে নিতে হবে সঙ্গে সঙ্গে আপনার জন্য অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরী হয়ে যাবে আপনি মূলত ওই লিংক টিকেই প্রমোট করবেন৷
আপনার প্রমোট করার লিংক এ কেউ ক্লিক করে প্রোডাক্ট কিনলে তাহলে সেখান থেকে আপনি অল্প সংখ্যা কমিশন পেয়ে যাবেন৷
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য - প্রথমে একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে৷ তারপর অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রোডাক্টের ছবির সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংক এর ইনফরমেশন আপনার ওয়েবসাইটে সুন্দরভাবে পর্যালোচনা করবেন তারপর সেটি ফেসবুকে শেয়ার করে দিবেন৷ কিন্তু আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে যদি আপনি একটি লেন্ডিং পেজ বানিয়ে নেন৷
লিন্ডিং পেজ হচ্ছে, আপনি একটি ওয়েব পেজ বানাবেন যেখানে প্রোডাক্টের ছবি থাকবে এবং নিচে Buy Now, Order Now এরকম কিছু লেখা থাকবে৷ 
এবার কেউ যদি এই লেখাতে ক্লিক করে তাহলে সরাসরি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবে৷ এবং কেউ প্রোডাক্টটি কিনলে সেক্ষেত্রে আপনি কিছু কমিশন পেয়ে যাবেন৷
লেন্ডিং পেজ এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের স্পেমিং স্কোর বৃদ্ধি পায় না ফলে সাইট সুরক্ষিত থাকে৷

             শেষে একটাই কথা বলার, সময়ের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এখন প্রত্যেকেই প্রায় অনলাইন আয়কে বেছে নিয়েছে৷ ফেসবুক একটি সামাজিক মাধ্যম হিসেবে পরিচিত হলেও ফেসবুক কিন্তু হতে পারে বর্তমানের অন্যতম একটি ক্ষেত্র৷ ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বাড়বে৷ ঘরে বসে যারা অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে চান তারা অবশ্যই ফেসবুকের কয়েকটি উপায় কে কেন্দ্র করে শুরু করতে পারেন আপনার আর্থিক উপার্জন৷ এটি অনেক লাভজনক পন্থা।

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment