logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং)


      ডিজিটাল মার্কেটিং এর একবিচ্ছেদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং৷ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে৷ ডিজিটাল মার্কেটিং করে পণ্য সামগ্রী প্রচার বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যদি সবথেকে কার্যকরী গুরুত্বপূর্ণ কোন প্ল্যাটফর্ম থাকে তা হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং৷ বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখলে বোঝা যায় যে, সারা বিশ্বের সংস্কৃতিতে এখন সামাজিক মিডিয়া প্রত্যেকটি মানব জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে৷

      বর্তমানে মার্কেটিং করার যতগুলি স্ট্র্যাটেজি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবলম্বন করে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং৷ কেননা কম-বেশি প্রত্যেকটা মানুষ সময়ের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে৷ বর্তমান মার্কেটপ্লেসে সোশ্যাল মিডিয়া চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আর এখনো যদি আপনার মনে হয় আপনি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ছাড়াই আপনার ব্যবসা চালাবেন তাহলে আপনার প্রোডাক্ট অন্যদের থেকে কিন্তু বহুগুণ পিছিয়ে থাকবে৷ যা ডিজিটাল যুগে আপনার কোম্পানি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য কখনোই লাভজনক হবে না। তাই আর দেরি না করে আপনার পা বাড়ান সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর দুনিয়ায়৷ চলুন তাহলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই৷

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে কী বোঝায় :-

      সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং জানার আগে আপনাদের মার্কেটিং কি সেটা যানা খুবই প্রয়োজন৷ মার্কেটিং বলতে বোঝায় টিভি, বিজ্ঞাপন, বোর্ডিং, টেমপ্লেট বিতরণ, বিলবোর্ড স্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে কোন কোম্পানির বা ব্যবসার যে কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রচার করা৷ আচ্ছা এবার চলে আসি আমরা আমাদের মূল বিষয়বস্তুতে৷ আমরা সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া বলতে বুঝে থাকি অনলাইনে যে সকল মাধ্যম গুলি রয়েছে সেগুলিকে৷ তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু সামাজিক মিডিয়া চ্যানেল গুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাইট যেমন- ফেসবুক,  টুইটার, গুগল প্লাস, ইউটিউব ইত্যাদি৷ মোদ্দাকথা হলো সমাজে এই মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি সামাজিকতার বিপ্লব ঘটিয়েছে৷ ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না৷ এটি প্রতিটি মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ও তথ্য বিনিময়ে সহায়তা করে৷

      আরেকটু সহজ ভাষায় বলতে হলে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি বা টেকনিক যেখানে বিভিন্ন ধরনের আলাদা আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে অ্যাক্টিভ বা সক্রিয় থাকা লোকদের লক্ষ্য বা টার্গেট করে যেকোনো প্রডাক্টের গুনমান সচেতনা জানানো বা প্রচার করা হয়৷ যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি৷

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করবেন :-

      আপনাদের মনে একবার হলেও প্রশ্ন আসবে সবই তো ঠিক আছে কিন্তু শুধু শুধু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করব৷ এ পরিপ্রেক্ষিতেই আমি বলতে চাই, আমরা কিন্তু সবাই এখন ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি৷ যে সময়টাতে আমরা কিন্তু নিজের অজান্তে সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি টেকনোলজির ওপর৷ আর এই টেকনোলজিকে কেন্দ্র করেই রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম৷

      আপনারা কি কখনো খেয়াল করে দেখেছেন আমরা দিনে ঠিক ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে কতটা সময় কাটিয়ে দিচ্ছি৷ শুধুমাত্র আপনি বা আমি নই আমাদের মতো আরো বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ আছেন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে৷ তাই যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে এই সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে৷ কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আপনার কাছে অজস্র মানুষ অথবা অনেক বেশি পরিমাণে অডিয়েন্স থাকবে আর খুব সহজেই আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রসার লাভ করতে পারবেন৷

      বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যার মূল লক্ষ্য হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং৷ পণ্য বা সার্ভিস গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট মার্কেটার নিয়োগ করছেন৷ তাছাড়াও আপনি চাকরি বা পড়াশোনা অথবা অন্য কোন কাজের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করে ভালো অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারেন৷

      বর্তমানে সোশ্যাল সাইট গুলোর ব্যবহার প্রতি নিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ অনলাইন মার্কেটিং এ পণ্য প্রচার বা বিজ্ঞাপনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই৷ তাই আর ভাববেন না আপনি যদি ভেবে থাকেন ব্যবসা করবেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করে দিন৷

 

কোথায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলি কি কি?

      যে মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহায়তা নিয়ে নিজস্ব ওয়েবসাইট, পণ্য বা সার্ভিস সমূহ প্রচার প্রচারণা করা হয় তাকে সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে৷ আর যে সকল সাইট এর সাহায্যে এই মার্কেটিং করা হয় তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যম সমূহ বলে৷ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবথেকে জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো৷ যথা-

১) ফেসবুক :- বর্তমান যুগে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। দেশ-বিদেশে প্রায় ছোট থেকে বড় বৃদ্ধ লোকেরাও ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত৷ ফেসবুক হল বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত৷ ফেসবুকের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে কোন প্রতিষ্ঠান পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে দেওয়াকেই সাধারণ ভাষায় ফেসবুক মার্কেটিং৷এটি নিজে বা ফেসবুক মার্কেটারের মাধ্যমেও সম্ভব৷ সহজ অর্থে ফেসবুকে যে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় তাকেই ফেসবুক মার্কেটিং বলে৷ যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপন টাকার পরিবর্তে ফেসবুকে দেওয়া হয়৷ এ ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার ফেসবুক নিউজফিডে বিভিন্ন পণ্যের স্পন্সরড পোস্ট আসে এবং ফেসবুকের ডানপাশে বিভিন্ন পণ্যের ছবি বা অফার আছে সেগুলিকে ফেসবুক বিজ্ঞাপন বলে৷

 

      ২০১৬ সালের জরিপ অনুস্বারে ফেসবুকের মাসিক একটিভ ব্যবহারকারির সংখ্যা  ছিল প্রায় ১.৮৬ বিলিয়ন। প্রতিদিন ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ১.১৫ বিলিয়ন এবং মোবাইলে ফেসবুক ইউজ করে এমন ইউজারের সংখ্যা ১.৭৪ ।  প্রতিদিন ফেসবুকে ছবি আপলোড এর সংখ্যা ৩০০ মিলিয়ন ছিল। ফেসবুকে প্রতি ভিজিটরের এভারেজ টাইম স্পেন্ড ২০ মিনিট।  প্রতি মিনিটে ৫,১০,০০০ কমেন্টস, ২,৯৩,০০০ স্ট্যাটাস এবং ১,৩৬,০০০ ছবি আপলোড হয়ে থাকে। ফেসবুকে ১৬ মিলিয়ন লোকাল বিজনেস পেজ তৈরি করা হয়েছে। ৪২ % ব্যবসায়ী মনে করেন ফেসবুক তাদের বিজনেসের প্রধান হাতিয়ার। ১৮-২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর মধ্য ৫০% ব্যবহারকারী ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক ব্যবহার করে বা বলা যায় ফেসবুকে এসেই তাদের ঘুম ভাঙ্গে। এক প্রতিবেদনে বলা হয় ফেসবুক ব্যবহার কারি প্রতি বছর ১৭% হারে বাড়ে এবং এটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

      একটু চিন্তা করুন ২০১৭ সালে ফেসবুকের একটিভ ব্যবহারকারী ১৮৬ কোটি  আর ২০২২ এ দাঁড়িয়ে  ২০০ কোটির ও বেশি ৷ এখন আপনি নিজেই ভাবুন আপনি কেন ফেসবুক মার্কেটিং করবেন না।

 

২) ইউটিউব :-

      বর্তমানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং এর মধ্যে এটি হচ্ছে অন্যতম৷ ইউটিউব হলো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবথেকে কার্যকরী একটি মাধ্যম৷ একটা কথা না বললেই নয়, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা যত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সাথে ইউটিউব মার্কেটিং এর কার্যকারিতাও ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ খুব সহজেই আপনি একটি ভিডিও ভাইরাল করার মাধ্যমে .আপনি আপনার কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়াতে পারেন৷ এটি একটি অবিশ্বাস্যভাবে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হওয়ার পাশাপাশি এর ব্যবহারকারীরাও এটিতে অনেক বেশি একটিভ বা সক্রিয় থাকার প্রবণতা রাখে কেননা, এতে বেশিরভাগ দীর্ঘ - ফর্মের সামগ্রী রয়েছে৷ এটি শিক্ষামূলক সামগ্রী ভাগ করার জন্য একটি আদর্শ প্লাটফর্ম তৈরি করে৷

      ২০১৭ সালে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১,৩০০,০০০,০০০ ৷ প্রতিদিন প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ ইউটিউবে ভিডিও দেখে৷ রোজ ৩০ মিলিয়ন ভিজিটর আসে৷ এত ট্রাফিক হওয়ার কারণেই ইউটিউব কিন্তু বর্তমান মুহূর্তে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি সবথেকে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

 

৩) ইনস্টাগ্রাম :-

      বর্তমানে আরো একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে পড়ে ইনস্টাগ্রাম৷ এখানে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ইনস্টাগ্রামে অ্যাক্টিভ ইউজার রয়েছে৷ এক রোজ ৪০০ মিলিয়ন ইউজার অ্যাক্টিভ থাকে৷ আর ১৫০ মিলিয়ন ইউজার প্রতিদিন তাদের স্টোরি শেয়ার করে থাকে৷ সুতরাং ২০% মানুষ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে৷ এর পরেও কি আপনি ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং করার সুযোগটি কাজে লাগাবেন না ৷ আপনি ২০% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন সম্পর্কে জানাতে পারবেন না যদি না আপনি ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং করেন৷

 

৪)  টিক টক :-

      ১বিলিয়ন এর বেশি মানুষ এখানে সক্রিয় থাকেন৷ আপনি যখন শর্ট-ফর্ম ভিডিওর কথা ভাবেন, আপনি সম্ভবত TikTok এর কথা ভাবেন।  প্ল্যাটফর্মটি 2020 সালে জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং ধীর হওয়ার কোন লক্ষণ দেখায় না।  এটি সম্প্রদায় নির্মাণের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি, বিপণনকারীরা এটিকে YouTube-এর পরে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে৷

 

৫) টুইটার :-

      বিশ্বব্যাপী ২১১ মিলিয়ন দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী শ্রোতা এখানে রযেছে৷

      ১৪০-অক্ষরের টুইটের প্রথম দিন থেকে, প্ল্যাটফর্মটি বিস্তৃত হয়েছে টুইটার স্পেসস নামে একটি অডিও টুল, টুইটার কমিউনিটি নামক একটি কমিউনিটি-বিল্ডিং টুল, এবং টুইটার মোমেন্টস আপনার অনুসরণকারীদের সাথে আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু শেয়ার করার জন্য।

 

 ৬) লিঙ্কডইন :-

      LinkedIn হল Facebook এর পেশাদার কাজিন।  এটি সম্ভবত একমাত্র প্ল্যাটফর্ম যেখানে এর দর্শকদের স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে: কর্মরত পেশাদাররা নেটওয়ার্ক খুঁজছেন এবং নতুন সুযোগ খুঁজছেন। এখানে প্রায় ৭৭৩ মিলিয়ন মানুষ একটিভ থাকেন৷ ব্যবসার উন্নয়নের জন্য এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ৷ 

      এটি B2B কোম্পানিগুলির জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম করে যা মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সনাক্ত করতে এবং একটি শিল্প-নির্দিষ্ট সম্প্রদায় তৈরি করতে চায়।

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার নিয়ম নীতি :-

      কিছু নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ অবশ্যই সফল হতে পারবেন৷

নিম্নে নীতি গুলি সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো-

১) Law of Focus :-

প্রোডাক্ট সম্পর্কে সব সময় ভাল কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন৷ এতে কাস্টমার খুব সহজেই engage হয়ে যায়৷

২) Law of Quality :-

টাকার থেকেও সর্বপ্রথম কাস্টমারের পণ্যের কোয়ালিটির উপরে একটু নজর রাখুন কারণ কাস্টমারকে ভালো প্রোডাক্ট দিতে পারলেই আপনার ব্যবসা অটোমেটিকলি বেড়ে ওঠতে শুরু করবে৷

৩) Law of Listening:-

আপনার টার্গেট কাস্টমারকে ট্র্যাক করতে থাকুন এবং কাস্টমাররা ঠিক কী ধরনের প্রোডাক্ট চাইছে সেই হিসেবে তাদের সামনে পণ্য প্রদর্শন করুন৷ এবং তাদের সঙ্গে প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো গুণাবলী আলোচনা করুন৷

৪) Law of patience :-

যে কোন কাজ কখনই রাতারাতি সফল হয় না তার জন্য আপনাকে ধৈর্য রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হবে৷ বন্ধ করা যাবে না৷ তাহলেই আপনি একদিন অবশ্যই সাফল্য অর্জন করবেন৷

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব :-

বিশ্বব্যাপি প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেন সোশ্যাল মিডিয়া৷ আর এটি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে৷ তাই নতুন করে পরিচয় করানোর কিছুই নেই অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমকে৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় বেশিরভাগ লোক সময় কাটান। কেউ বিনোদনের জন্য কেউ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান জন্য কেউবা কিছু শেখার জন্য,গেম ইত্যাদি কারনে৷ বর্তমান সময়ে ব্যবসার অন্যতম জায়গা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া৷ তাই এর গুরুত্ব মানব জীবনে অনেকখানি। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন৷ এবং আরও বিভিন্ন সামাজিক প্লাটফর্ম ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে মানুষ অনেকটা সময় অতিক্রম করে থাকেন৷ বিশাল জনগণের মধ্যে আপনার ব্যবসাকে একবার ভাইরাল করতে পারলেই সফল হওয়া খুব একটা কঠিন কাজ হবে না৷

        বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তাদের বিজ্ঞাপনের প্রচার করা অত্যন্ত লাভজনক৷ কারণ আপনার যদি খুব বেশি ক্রেতা না থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে আপনার ক্রেতা আকর্ষণ বাড়ানোর অন্যতম একটি মাধ্যম৷ তাই শেষ কথা না বললেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নতুন অথবা পুরাতন ব্যবসার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম৷

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা :- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার সুবিধা অনেক ৷ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে বড় বড় কোম্পানির মালিক বিজনেসম্যান নির্দিষ্ট পণ্য বা সার্ভিস সেল করে থাকে গ্রাহকের কাছে৷ এর বেশ কিছু সুবিধা গুলি হল -

১) ব্যান্ড সচেতনা বৃদ্ধি করে ৷

২) অনেক বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায়৷

৩) গ্রাহক সন্তুষ্ট হয়ে থাকে৷

৪) টার্গেটেড অডিয়েন্স পাওয়া যায়৷

৫) ওয়েবসাইটে Search engine ranking improve হয়৷

৬) সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজস্ব কোম্পানির ব্র্যান্ড বানানো সহজ হয়৷

৭) খরচ কম হয়৷

৮) নিজের আলাদা একটি পরিচিত হয়৷ ইত্যাদি

 

কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করার পূর্বে কী কী  লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন :-

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে ৷

১) বিষয়বস্তু পরিকল্পনা :-

 যে কোন পণ্য বেছে নেওয়ার পর তার বিষয়বস্তু পরিকল্পনা করা খুবই প্রয়োজন৷এখানে নির্দিষ্ট জিনিসটির বিষয়ে ক্রেতাদের সমস্ত তথ্য দিতে হবে এবং জিনিসটির বিবরণ, মূল্য,  টাকা ফেরত গ্যারান্টি, কী কাজে লাগবে, কেন গুরুত্বপূর্ণ এ সমস্ত কিছু সেট করুন৷

প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিষয়বস্তু গুলি এমনভাবে সাজাতে হবে যেন গ্রাহকরা দেখামাত্রই সেই জিনিসটি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে৷

২) পন্য টার্গেটিং :-

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য আপনি ঠিক কোন প্রোডাক্টটি মার্কেটিং করতে চান সেটি বেছে নিন৷ এবং কোন প্লাটফর্মে সবথেকে বেশি অডিয়েন্স পাবেন এই নিয়ে চিন্তা করতে থাকুন৷

৩) সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি :-

আপনি যদি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা নিজস্ব কোন ব্যবসার প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনি সর্বপ্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে সে সম্পর্কিত কয়েকটি পেজ তৈরি করে নেন৷ এবং সেই কোম্পানি বা বিজনেস সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করুন৷ যাতে কোনো ক্রেতা আপনার পেজটিতে আসার পর কোম্পানি এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারে৷

এছাড়াও আপনার তৈরি করা পেজটিতে প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিষয়ে নতুন নতুন কনটেন্ট এবং ইমেজ প্রতিদিন পোস্ট করুন যাতে কাস্টমার প্রোডাক্ট টি নিতে আগ্রহী হয়৷

৪) প্রতিযোগী গবেষণা ও মার্কেটপ্লেস রিসার্চ :- প্রতিযোগী গবেষণার সাথে সাথে মার্কেটপ্লেস ইনসাইটস রিসার্চ উপর আমাদের নজর রাখতে হবে৷ বর্তমানে কোন প্রোডাক্টটি সবথেকে বেশি চলছে এবং লক্ষ্য যুক্ত গ্রাহকের সামনে কি ধরনের প্রোডাক্ট রাখা দরকার ইত্যাদি বিষয় - মার্কেটিং করতে হলে এই সমস্ত কিছুর ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে৷ কারণ আপনি যদি মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য পণ্য বা সেবা প্রদান না করেন তাহলে আপনার ব্যবসা কখনোই বড় হবে না৷

৫) অ্যাডভার্টাইজমেন্ট :-

অ্যাডভার্টাইজমেন্ট হল সোশ্যাল মিডিয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷ আপনি যদি অন্যান্য কোন বিষয়ে মার্কেটিং করতে না পারেন তাহলে আপনার পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার একমাত্র রাস্তা হল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট৷

Facebook ads program, LinkedIn ads program, Google adwords হল সবথেকে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক৷ যেগুলি আপনাকে খুব সহজেই টার্গেট অডিয়েন্স প্রোভাইড করবে৷

৬) ইনফোগ্রাফিক্স ইমেজ ব্যবহার করা :-  ইনফোগ্রাফিক্স ইমেজ ব্যবহার করে কাস্টমার দের মধ্যে engagement বাড়ান৷

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভ্যালু কেমন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়?

আমরা সবাই জানি পৃথিবীর প্রত্যেকটা কাজেরই ভ্যালু রয়েছে আপনি যদি কোন কাজ নির্দিষ্ট নিয়মে করতে পারেন তাহলে আপনি যেকোনো কাজের ভ্যালু খুঁজে পাবেন৷ আপনি কি জানেন এমন অনেকেই রয়েছে যারা কেবলমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইন করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে থাকেন প্রতি মাসে৷ তাই কাজের ভ্যালু কেমন হবে সেটা আপনার কাজের দক্ষতা ও কোয়ালিটির উপরে নির্ভর করবে৷ ঠিক এভাবেই যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজিকে ভালোভাবে বুঝে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি এর মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন৷

আপনি যদি এ কাজে ডিমান্ড সম্পর্কে জানতে চান৷ তাহলে আমি বলব, এটি হচ্ছে ডিমান্ডেবল একটি কাজ৷ কারণ আমি আগেই বলেছি আমরা এখন ধীরে ধীরে অনলাইনে অর্থাৎ প্রযুক্তি ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি৷ তাই আপনি যদি অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে জীবনে কিছু করতে চান তাহলে আপনার সাফল্য আসবেই আসবে৷

তাই কাজের ডিমান্ড অথবা ভ্যালু নিয়ে কোনোরকম চিন্তা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজে নিজেকে যুক্ত করে নেন৷

         

        পরিশেষে, আশা করি উপরের আর্টিকেল এর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কেন করবেন কিভাবে করবেন এর সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন৷ শেষে একটাই কথা বলা যায় কিছু নিয়ম মেনে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনারা অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী একটি মাধ্যম যেখানে আপনি আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান সাফল্য অর্জন করতে পারবেন খুব সহজেই৷ এ ধরনের মার্কেটিং এ খুব অল্প সময়ে আপনি ক্রেতার কাছে পৌঁছে যেতে পারেন৷

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment