logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি!


■ একক্ষবিশিষ্ট আইনসভা  

যে আইনসভায় একটিমাত্র কক্ষ থাকে, সাধারনণভাবে তাকেই একক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বলা হয়। এই  আইনসভায় আইন প্রণয়নের যাবতীয় কাজ একটিমাত্র কক্ষের দ্বারা হয়।

            বর্তমান যুগে একক্ষবিশিষ্ট আইনসভার জনপ্রিয়তা হারিয়ে যেতে বসেছে। এককথায় বলা যায়, এই ধরনের আইনসভার চল আর নেই।

   

■ একক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি 

>সপক্ষে যুক্তি 

১) একতার প্রতীকঃ একক্ষবিশিষ্ট আইনসভাকে একতার প্রতীক বলে মনে করা হয়। আইনসভায় আইন প্রণয়ন একটি গুরুপ্তপূর্ণ কাজ- সেখানে সুচিন্তিত ও ঐক্যবদ্ধ মতামতের যথাযথ প্রতিফলন হওয়া বাঞ্চনীয়।

২) জনমতের যথার্থ প্রতিফলনঃ অনেকে মনে করেন, একক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় জনমেতের যথার্থ প্রতিফলন ঘটে। জনগণের সম্মতি হল আইন, জনগণ কখনও একই বিষয়ের ওপর একই সময়ে দু-রকমের মতামত দিতে পারে না। কাজেই জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী আইনসভার কক্ষও দু-রকমের হতে পারে না ।         

৩)সুষ্ঠ ও সহজ পদ্ধতিতে আইন প্রণয়নঃ এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় সুষ্ঠ ও সহজ পদ্ধতিতে আইন প্রণয়ন সম্ভব হয়।   কোনোরকমের জটিলতা এখানে দেখা যায়না। বস্তুত আইনসভায় দুটি কক্ষে দুটি দলের প্রাধান্য থাকলে আইন প্রণয়নের বিষয় নিয়ে জটিল মতবিরোধের ফলে যে অচলাবস্থা দেখা যায় তার সম্ভবনা এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় থাকে না। 

৪) দায়বদ্ধতাঃ এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রবক্তারা মনে করেন, আইনসভায় দুটি কক্ষ থাকলে সম্পাদিত কার্যাবলির বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উঠলে এককভাবে কোনো একটি কক্ষকে দায়ী করা যায় না। এরুপ ক্ষেত্রে দায় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দুটি কক্ষের মধ্যে লক্ষ করা যায়। এর ফলে অহেতু জটিলতার সৃষ্টি হয়। এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় এই ধরনের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। যেহেতু আইনসভার একটিমাত্র কক্ষই আইন প্রণয়নের ব্যপারে যাবতী দায়িত্ব পালন করে, তাই এখানে দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে নিশ্চিত করা যায়। 

৫) স্বল্প ব্যয়ঃ আইনসভায় দুটি কক্ষ থাকলে তা যেমন স্বভাবতই ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একটিমাত্র কক্ষ থাকায় তা হয়না। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় দুটি কক্ষের সদস্যদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার জন্য যে পরিমাণ অর্থের অপচয় ঘটে তা  এখানে দেখা যায় না। 

৬) দ্রুত আইন প্রণয়নের সহায়কঃ এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা দ্রুত আইন প্রণয়নের পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক বলে মনে করা হয়। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত আইন প্রণয়ন একমাত্র এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভাতেই সম্ভব।   

 

>বিপক্ষে যুক্তি 

১) সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন অসম্ভবঃ আইনসভায় একটিমাত্র কক্ষ থাকলে কখনোই সুচিন্তিত আইন প্রণয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করা হয়। যথেষ্ট বিচারবিশ্লেষণের পর আইন প্রণয়ন এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় দেখা যায় না। এর ফলে তড়িঘড়ি সাময়িক আবেগ ও উত্তেজনার বশে অথবা জনমতের চাপে অবিবেচনাপ্রসূত আশঙ্কা থেকে যায়। 

২) যুক্ত্রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পক্ষে প্রতিকূলঃ এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় যুক্তরাষ্টীয় ব্যবস্থার পক্ষে অনুকূল নয়। কারণ আইনসভায় একটিমাত্র কক্ষ থাকলে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্বার্থের সামগ্রিক প্রতিনিধিত্ব সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। 

৩) স্বৈরচারী প্রবণতার আশঙ্কাঃ একটিমাত্র কক্ষ নিয়ে আইনসভা গঠিত হলে স্বৈরচারী আশঙ্কা দেখা দিতে পারে, কারণ সেক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রণকারী থাকে না। এই কারণে লর্ড ব্রাইস মনে করেন, আইনসভার প্রবণতা প্রতিরোধের জন্য সমক্ষমতাসম্পন্ন দুটি কক্ষের অস্তিত্ব থাকা দরকার। 

৪) জনমতের যথাযথ প্রতিফলনের অভাবঃ এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় সমস্ত সদস্যদের নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। নির্দিষ্ট কার্যকালের মেয়াদ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনসভার সদস্যরা অধিষ্ঠিত থাকেন। কিন্তু ইতিমধ্যে জনমতের কোনো পরিবর্তন ঘটতে পারে। এই পরির্তনশীল জনমতের প্রতিফলন এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় ঘটার উপায় নেই।  

৫) রাজনৈতিক শিক্ষা বিস্তারের সুযোগের অভাবঃ আইনসভায় দুটি কক্ষ থাকলে আইন প্রণয়নের সময় বিভিন্ন দল ও মতামতের প্রতিনিধিদের যে ধরণের তর্কবিতর্ক ও আলোচনার সুযোগ থাকে, এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় তা দেখা যায় না। ফলে আইনসভায় বিল নিয়ে তর্কবিতর্ক, বাদানুবাদ আলোচনা প্রভৃতি গণমাধ্যম গুলিতে (দূরদর্শন, সংবাদপত্র ইত্যাদি) প্রচারিত হতে পারে না। এর ফলে জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক শিক্ষা বিস্তারের সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়।  

৬) সমাজে সংখ্যালঘু শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণের অভাবঃ এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নির্বাচন প্রত্যক্ষভিত্তিক হওয়ার ফলে সমাজের সব সংখ্যালঘু শ্রেণির উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব সেখানে দেখা যায় না। এর ফলে সংখ্যালঘু শ্রেণির স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়। 

 

উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায়, এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা আজকের বহুত্ববাদী গনতান্ত্রিক যুগের পক্ষে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই বিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশগুলিতে এই ব্যবস্থার জনপ্রিয় হয়নি।

  

 

 

 

 

      

 

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment