ভূ-গর্ভস্থ জলের মান নির্ধারণ
ভূ-গর্ভস্থ জলের মান নির্ধারণে বিভিন্ন গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। নিচে কিছু সাধারণ পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হলো:
নমুনা সংগ্রহ:
বিভিন্ন স্থানে ভূ-গর্ভস্থ জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট গভীরতা এবং স্থানে বোরিং বা টিউবওয়েল ব্যবহার করা হয়।
ল্যাবরেটরি বিশ্লেষণ:
জলের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয় এবং সেখানে বিভিন্ন রাসায়নিক, শারীরিক ও জীবাণু বিশ্লেষণ করা হয়। এতে pH, ইলেকট্রিকাল কন্ডাক্টিভিটি (EC), মোট দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ (TDS), আয়রন, আর্সেনিক, নাইট্রেট, ফ্লোরাইড ইত্যাদি পরিমাপ করা হয়।
জলের স্তরের পরিমাপ:
ভূ-গর্ভস্থ জলের স্তরের পরিমাপ করার জন্য জলস্তর মিটার ব্যবহার করা হয়। এটি বিভিন্ন মৌসুমে পর্যবেক্ষণ করে পানির স্তরের পরিবর্তন নির্ধারণ করা হয়।
মডেলিং এবং সিমুলেশন:
বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং মডেল ব্যবহার করে ভূ-গর্ভস্থ জলের প্রবাহ, পুনর্ভরণ এবং দূষণ পরিস্থিতি সিমুলেট করা হয়। এতে ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক অবস্থার পূর্বাভাস নির্ধারণ করা যায়।
জিওফিজিক্যাল পদ্ধতি:
`ভূ-গর্ভস্থ জলের মান নির্ধারণে জিওফিজিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন ইলেকট্রিকাল রেজিস্টিভিটি টমোগ্রাফি (ERT) এবং সিসমিক রিফ্রাকশন। এতে ভূগর্ভস্থ স্তরের গঠন এবং জলাভূমির অবস্থান নির্ধারণ করা যায়।
জলাধার মানচিত্র:
ভূ-গর্ভস্থ জলস্তরের মানচিত্র তৈরি করা হয়, যা ভূমিকম্প এবং জলাধার সম্পর্কিত গবেষণায় সহায়ক হতে পারে। এতে ভূ-গর্ভস্থ জলসম্পদের অবস্থান, পরিমাণ এবং গুণমান নির্ধারণ করা যায়।
গবেষণা পত্র ও রিপোর্ট:
বিভিন্ন গবেষণা পত্র ও রিপোর্টের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গবেষণা এবং বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়। এতে পূর্ববর্তী গবেষণার তথ্য এবং বর্তমান গবেষণার ফলাফল তুলনা করা যায়।
সোশ্যাল এবং ইকোনমিক গবেষণা:
স্থানীয় জনগণ এবং তাদের পানি ব্যবহারের অভ্যাস নিয়ে গবেষণা করা হয়। এতে ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার এবং এর মানের প্রভাব নির্ধারণ করা যায়।
এই গবেষণা পদ্ধতিগুলি ভূ-গর্ভস্থ জলের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর মাধ্যমে পানির সঠিক ব্যবহার এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
-ধন্যবাদ