logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

How to Make Money from Blogging? (কিভাবে ব্লগিং থেকে আয় করা যায়)


কোন ব্যক্তি যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকে ব্লগিং শুরু করতে পারে৷ বর্তমানে ইন্টারনেটের খুব জনপ্রিয় এবং প্রচলিত একটি শব্দ হচ্ছে ব্লগ বা ব্লগিং৷ বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার এবং রোজকার জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করার একটি শ্রেষ্ঠ অন্যতম কেন্দ্র হল এই ব্লগিং৷ ব্লগ কথাটি একেক জনের কাছে একেক ধরনের কেউ ভাবে ব্লগ হচ্ছে টাকা উপার্জনের একটি মাধ্যম আবার কেউবা ভাবে ব্লগিং হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের একটি মাধ্যম৷ তবে এ কথাটি ঠিক যে কোন শ্রেণীর পেশার মানুষ এই ব্লগিং করে এর মাধ্যমে টাকা বা অর্থ উপার্জন করতে পারে। বর্তমানে ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় বলে এর চাহিদাও কিন্তু ক্রমশই দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

আপনি যদি ব্লগ থেকে আয় করতে চান, তাহলে আপনাকে কিন্তু এই ব্লগিং সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে৷ ব্লগিং সম্পর্কে পুরো ধারণা পেতে হলে আপনাকে জানতে হবে ব্লগ মানে কি, ব্লগ কিভাবে বানাতে বা তৈরি করতে হয় এবং ঠিক কিভাবে ব্লগগুলি থেকে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ইত্যাদি বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারলেই আপনি হয়ে উঠবেন একজন ভালো মাপের ব্লগার ৷

বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, জাপান এবং আমেরিকার অনেক মানুষ কিন্তু ক্যারিয়ার হিসেবে কেবলমাত্র ব্লগিং কে বেছে নিয়েছে৷ শুধু তাই নয় এই ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি কিন্তু নিজের ব্লগিং অফিসেও চালাচ্ছেন৷ তাহলে চলুন দেরি না করে এর সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই৷ ….

ব্লগিং এর অর্থ কি :- এটি একটি ইংরেজী শব্দ৷ যার অভিধানিক অর্থ হল ভার্চুয়াল ডাইরি অথবা ব্লগ হচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা৷ ব্লগ শব্দটি ওয়েব্লগের (weblog) সংক্ষিপ্ত রূপ৷ ব্লগ এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো- অনলাইন ডায়েরী৷ যে ডায়েরী কোনো ইউজারের সমস্যা দূর করার জন্য লেখা হয়ে থাকে৷

ব্লগিং এর ইতিহাস ও তার জনপ্রিয়তা :-

 ব্লগিং সম্পর্কে জানতে সবার প্রথমে তার অতীত ইতিহাস জানা খুবই প্রয়োজন৷ ইংরেজি শব্দ weblog থেকে Blog শব্দটির উদ্ভাবন হয়৷ জন বার্গার নামে এক মার্কিন নাগরিক ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম "weblog" শব্দটি ব্যবহার করেন৷ এবং পরবর্তীকালে পিটার মেরহোলজ ১৯৯৯ সালে মার্চ বা এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তার নিজস্ব একটি ব্লগ "পিটার্ম ডট কম" এ কৌতুক অর্থাৎ মজার ছলেই "weblog" শব্দটিকে ভেঙে "blog" বলে সম্বোধন করেন৷ তারপর থেকেই সারা বিশ্বব্যাপী জুড়ে "blog" শব্দটির জনপ্রিয়তা অর্জন করে৷ বর্তমানে "weblog" কে "blog" বলেই সবাই চেনে৷

       এর বেশ কিছুদিন পূর্বেই পাইরা ল্যাবসের ইভান উইলিয়ামস "blog" শব্দকে বিশেষ্য এবং ক্রিয়া উভয় হিসাবে ব্যবহার করেন৷ "টু ব্লগ" যার অর্থ হচ্ছে একজনের ওয়েব্লগ সম্পাদন করা বা কারো ওয়েব্লগে পোস্ট করা৷ তাছাড়াও তিনি ব্লগার শব্দটি আবির্ভাব করেছিলেন যেটি বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ব্রুস এবলসন নামক এক ব্যক্তি "ওপেন ডায়েরি" নামে একটি ব্লগ খুলেন যেটি রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলে৷ এখানে অনেক লেখক তার এই ব্লগের সাথে যুক্ত হয় এবং তারপরেই "ওপেন ডায়েরি" হয়ে ওঠে সর্বপ্রথম ভার্চুয়াল ব্লগ কমিউনিটি৷ এখানে যে কোন ব্যক্তি স্বাধীন ভাবে তার বক্তব্য প্রকাশ করতে পারত৷ তাছাড়া এটাই ছিল প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য ব্লগ লেখক এর অন্তর্ভুক্তিতে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারত৷

              এরপর থেকেই অনলাইন দুনিয়ায় ব্লগ শব্দটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে৷ ১৯৯৯ সালে ব্র্যাড ফিটজ প্যাট্রিক নামে একজন ব্যক্তি " জর্নাল লাইভ" শুরু করেন৷ একই সঙ্গে জুলাই মাসে "এন্ড্রু স্মেলস" খবরের কাগজের পাতায় "পিটার্ম ডটকম" বিকল্প হিসেবে চালু করেন৷ ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে ইভান উইলিয়ামস এবং মেগ হুরিহান যারা "পাইরা ল্যাবস" এ কাজ করতেন। একসঙ্গে তারা Blogger.com নামে একটি নিজস্ব ব্লগ সাইট চালু করেন৷ যা পরবর্তীতে গুগল কিনে নেয় ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ সর্বপ্রথম ইভান উইলিয়ামস ব্লগার শব্দটি আবিষ্কৃত করেন বলে তাকে ব্লগার এর জনক বলা হয়৷ এবং তারপর ১৯৯৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে "ডায়েরিল্যান্ড" চালু হয় যেখানে ব্যক্তিগত কমিউনিটির ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল অনেক বেশি করে৷

            সুতরাং ব্লগিং ১৯৯৯ সালে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল৷ বর্তমানেও কিন্তু এর জনপ্রিয়তা একটুও ঘাটে নি বরং দিনে দিনে ব্লগিং-এর জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে৷ এবং আস্তে আস্তে এতে সম্মিলিত হতে থাকে নানান ধরনের প্রযুক্তি৷ বেশিরভাগ ব্লগ কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে কিংবা খবর জানায়৷ তাছাড়াও রয়েছে ব্যক্তিগত ব্লগ৷ ব্লগের সবথেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে পাঠকদের উন্মুক্ত মন্তব্য করার সুবিধা৷

               সব থেকে মজার একটি বিষয় হল ২০০৭ সালে ডিসেম্বরে এক সার্ভেতে দেখা গেছে ব্লগ খোঁজার ইঞ্জিন প্রায় ১১কোটি ১২ লাখেরও বেশি সন্ধান পেয়েছিল৷ এবং বর্তমানের যুগে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৬০০ মিলিয়নের বেশি ব্লগ রয়েছে৷ এবং সর্বমোট প্রায় ৩১ মিলিয়নের ও বেশি ব্লগার রয়েছে৷ যেখানে প্রতিদিন ৬ মিলিয়নের ও বেশি পোস্ট পাবলিশ হয়৷

      যদি বলা হয় বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ তাহলে সবার আগেই রয়েছে কিন্তু ব্লগের স্থান৷ ২০২২ সালের এই আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রযুক্তির সুবাদে মানুষ এখন খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারছে৷ আজকের এই বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য নতুন নতুন ব্লগ৷ 

ব্লগ কী ও কেন বা এই ব্লগ কথাটির মানে কী?

                কম বেশি আমরা প্রত্যেকেই এই ব্লগ বা ব্লগিং কথাটি একবার হলেও শুনেছি৷ কিন্তু এক্ষেত্রে ব্লগ বলতে বোঝায় এমন একটি টেকনোলজি যেটা কিনা অনলাইনে অনেক আয় করে দিতে পারে৷ আবার অনেকের জন্য ব্লগ হচ্ছে ইন্টারনেটে কিছু জানার বা শেখার একটি মাধ্যম৷ সহজ ভাষায় বলতে গেলে ব্লগ হচ্ছে আপনার একটা শখের ডায়েরির মতন৷ এমন একটি ডায়েরি যেখানে আপনি আপনার মনের মত করে যা খুশি লিখতে পারবেন৷ যেমন উদাহরণ হিসেবে - stories, tutorials, SMS, শায়েরী, কবিতা, পত্রিকা, আর্টিকেল বিভিন্ন জিনিসের সম্পর্কে লিখতে পারেন৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যা লিখছেন তা যাতে সঠিক এবং পরিষ্কার স্বরূপ হয়। কারণ এই ডায়েরির মত লেখা ব্লগটি আজ নয়তো কাল অনেকেই পড়বে আর আপনার লেখা ব্লগ যদি কারো পছন্দই না হয় তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই ব্লগিং এ সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না৷

                তবে যাই হোক, ব্লগ বলতেই আমরা সাধারণত যা বুঝে থাকি তা হল লেখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পৃষ্ঠা, এই বিষয়ের অন্য ওয়েবসাইটের লিংক ইত্যাদির সমাহার। প্রায় বেশিরভাগ ব্লগই হচ্ছে লেখা ভিত্তিক৷ আবার কিছু ব্লগ রয়েছে যেমন - শিল্প (আর্ট ব্লগ), ছবি (ফটো ব্লগ), ভিডিও (ভিডিও ব্লগিং), সঙ্গীত (এমপিথ্রি ব্লগ), অডিও (পডকাস্টিং) ইত্যাদির ওপর গড়ে ওঠে৷ তাছাড়াও আর একটি অন্য ধরনের ব্লগিং হচ্ছে মাইক্রোব্লগিং৷ মাইক্রো ব্লগিং এর পোস্ট এর আকার অন্যান্য ব্লগিংয়ের তুলনায় কিন্তু বেশ ছোটো থাকে৷

 

ব্লগিং কাকে বলে :-

                ব্লগিং হলো একটি ব্লগ লেখার প্রক্রিয়া৷ এটি অনলাইন জার্নাল বা অনলাইন ডায়েরী অথবা দিনপুঞ্জি যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে যেমন- আপনার ভাব, নিত্যদিনের কাজ, ইনফর্মেশন ইত্যাদি আপনার চিন্তাভাবনা পাঠকদের সাথে ভাগ করে নেন তাকে ব্লগ বলে৷

                  অর্থাৎ অনলাইন ব্যক্তিগত ওয়েব্লগ পাওয়ার একটি উপায় হিসেবেই প্রথম ব্লগিং শুরু হয়৷ একটি ব্লগের রক্ষণাবেক্ষণ করা বা তাতে নতুন লিখিত বিষয় যোগ করাকেই এককথায় ব্লগিং বলা হয়।

                 আজকাল এটি একটি প্রযুক্তি গুরুদের মধ্যে অন্যতম লাভজনক পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ধরুন, আমি একজন ব্লগার৷ অতএব কেউ আমাকে এখন যদি প্রশ্ন করে তুমি কি করো? তাহলে আমি বলব 'আমি ব্লগিং করি৷'

 

ব্লগার কি?

ব্লগিং লেখা কারীকে ব্লগার বলা হয়৷ আমি যেহেতু এই ব্লগটি লিখেছি তাই আমি একজন ব্লগার৷

তাহলে এখন বলতেই পারি ব্লগের লেখকই ব্লগার৷ কিন্তু সত্যিই কি তাই! কারণ ব্লগের লেখক অনেক সময় ভাড়া করা হয়, সে দিক থেকে দেখলে কেবলমাত্র তিনি একজন ব্লগ লেখক বা লেখিকা৷ 

তাহলে এখন প্রশ্ন প্রকৃতপক্ষে ব্লগার কে?

যিনি অন্যদের সাহায্য করার জন্য নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে এবং সেটিতে আর্টিকেল লেখা, কাস্টমাইজ করা, ডিজাইন করা, টপিক নির্বাচন করা, ইত্যাদি কাজ করেন তিনি হলেন ব্লগার৷

এছাড়াও সাম্প্রতিককালে ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই ব্লগিং৷  সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে এক বা একাধিক ব্লগাররা এই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট করে থাকেন৷

 অনেকে আবার ওয়েবসাইট ও ব্লগ একই ভাবে৷ দুটি বস্তুর যে ভিন্ন পার্থক্য রয়েছে তা বোঝেন না৷ ওয়েবসাইট থেকে ব্লগের সবচেয়ে প্রধান পার্থক্য হল ওয়েবসাইট আপডেট করা হয় অনিয়মিতভাবে আর অন্যদিকে ব্লগ আপডেট করা হয় নিয়মিত।

বাংলা ভাষার ব্লগ:- সামহোয়্যার ইন ব্লগ হল বাংলা ভাষার প্রথম ব্লগ৷ ২০০৫ সালের জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছিল বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস কেবলমাত্র বিষয়বস্তু ধরনের ব্লগিংই নয় নানান ধরনের ব্লগ রয়েছে৷ বিষয়বস্তু বিতরণ বা লেখার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করেই ব্লগের প্রকারভেদ করা হয়৷

ব্লগের প্রকারভেদ:-

ব্লগ সাধারণত দুটি প্রকারের হয়৷

১) ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল ব্লগ৷

২) সামাজিক ব্লগ বা পাবলিক ব্লগ৷

১) ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল ব্লগ :- ব্যক্তিগত ব্লগে ব্যক্তিকেন্দ্রিক কন্টেন্ট প্রকাশিত হয়ে থাকে অনেকে শখের মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে ব্লগের দ্বারা প্রকাশ করেন৷

২) সামাজিক ব্লগ বা পাবলিক ব্লগ :- এই ধরনের ব্লগে একইসাথে অনেক ব্যক্তি একই মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়৷ তবে সামাজিক ব্লগে যে আর্টিকেল প্রকাশ করে তাকেই লেখনীর সমস্ত দায় ভার নিতে হয় ৷

 

ব্যক্তিগত এবং সামাজিক ব্লগ হচ্ছে এর প্রধান দুই প্রকারভেদ যা আমরা জেনেছি৷ তাছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং এর প্রকারভেদ রয়েছে চলুন তার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক৷ নিম্নে অন্যান্য ব্লগিং গুলি সম্পর্কে উল্লেখ্য করা হল৷

১) ব্যবসায়ী ব্লগ :- ব্যবসায়ী ব্লগে কোম্পানির বিভিন্ন তথ্যাদি প্রচার করা হয়ে থাকে৷ তাদের পণ্যের বিভিন্ন দিক, বিভিন্ন অফার, ব্যবসায়ী পলিসি সম্পর্কিত বিষয় প্রকাশ করা হয়৷

২) মাইক্রো ব্লগিং :- টেক্সট, চিত্রগুলি, লিঙ্কগুলি, সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ বা অন্যান্য মিডিয়া গুলির মত সাধারণ প্রযুক্তিগুলি অনুশীলন এই মাইক্রো ব্লগিং এর মধ্যে পরে৷ মাইক্রো ব্লগিং এর মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-ভাবনা গুলি অধিক মাত্রায় আলোচিত হয়ে থাকে৷ বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, ব্যাবসায়িক সভা বা অন্যান্য প্রকাশিত প্রয়োজনীয় জিনিস হতে পারে৷ এবং সেলিব্রেটি বা রাজনীতি বিদদের ইভেন্ট, বক্তিতা বা নতুন বইয়ের প্রকাশনা, ভ্রমণ ইত্যাদিও হতে পারে এবং এটি ফেসবুক, টুইটারের মতো বড় ওয়েবসাইটও হতে পারে৷

৩) মিডিয়া ব্লগিং :- যখন কোন ব্লগ শুধুমাত্র ভিডিও প্রকাশ করে তখন তাকে ভ্লগ (vlog) বলে। তেমনি বিভিন্ন লিঙ্ক ভাগ করে তাকে  লিঙ্কনস বলা হয়৷ যেমন- tumblelogs, type casting, ইত্যাদি ব্লগিংয়ের মতো আরো অনেক ব্লগ আছে৷

৪) ডিভাইস সম্পর্কিত ব্লগিং :- মোবাইল ডিভাইসের সাথে মিলিত ব্লগ গুলি পিডি এগুলোকে moblogs বলা হয়৷ যেসব ব্লগ ভিডিও বা অডিও বা ছবি সরাসরি প্রকাশ করে তাদের ভিডিও বা অডিও বা চিত্র ব্লগ বলা হয়৷

৫) খবর ব্লগ :- দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ঘটনা সমূহ নিয়ে ব্লগের মধ্যে লেখালেখি করাকে খবর ব্লগ বলে৷ সাম্প্রতিক সময়ে খবর ব্লগ কিন্তু অতি জনপ্রিয় কারণ এই বিষয়ক ব্লগ গুলিতে প্রচুর ভিজিটর আসে খবর পড়ার জন্য৷ এখানে প্রায় সব রকমের বিষয় সম্পর্কে কন্টেন্ট পাবলিশ হয়ে থাকে৷ উদাহরণস্বরূপ - ইত্তেফাক

৬) প্রশ্ন ব্লগ :- এই ধরনের ব্লগে প্রশ্ন করা হয়৷ এখানে সব ধরনের মানুষই প্রশ্ন করতে পারে এবং যার যতটুকু যোগ্যতা সে তার মত করে উত্তর দিতে পারেন৷ এই ধরনের প্রশ্ন ব্লগে মানুষ প্রায় সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে৷ এক কথাই এসব প্রশ্ন উত্তর ব্লগ গুলি সকল মানুষের জন্য অত্যন্ত হেল্পফুল।

৭) মেডিকেল ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্লগ :- এখানে রোগ ব্যাধির সতর্কবার্তা এবং সেই সব রোগের নিরাময়, স্বাস্থ্যজনিত, পুষ্টি জনিত ইত্যাদি বিষয়ক সম্বন্ধে লেখালেখি করা হয়৷ এই মেডিকেল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্লগ থেকে মানুষজন খুবই উপকৃত হন৷

        তাছাড়াও ব্লগিং এর আরো কিছু প্রকারভেদ রয়েছে৷ যেমন- পড়ালেখা বিষয়ক ব্লগ, গল্প কবিতা বিষয়ক ব্লগ, রূপচর্চা বিষয়ক ব্লগ, ফ্যাশন ব্লগ, লাইফ স্টাইল ব্লগ, ফুড ব্লগ, রিভিউ ব্লগ ইত্যাদি৷

ব্লগ তৈরি করার নিয়ম :-  আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানো হবে ব্লগ তৈরি করতে হয় কিভাবে? এবং একটি ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করে তার থেকে কিভাবে আয় করা সম্ভব৷

ব্লগ তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন :- ব্লগ যেহেতু লেখা ভিত্তিক তাই ব্লগ লিখে আয় করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম কিন্তু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে৷ ওয়েবসাইট আবার দুটি উপায়ে বানানো যায়৷ একটি হল ফ্রি ওয়েবসাইট অপরটি হল পেইড ওয়েবসাইট৷

১) ফ্রি ওয়েবসাইট বানাতে কি কি প্রয়োজন ?

                একটি ফ্রি ব্লগ বানাতে হলে কিন্তু আপনাকে কোনো রকম টাকা খরচ করতে হবে না৷ যদি আপনার Blogger.Com সম্বন্ধে বেসিক ধারনা থাকে তাহলেই আপনি কিন্তু ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারবেন দু মিনিটে একটি ফ্রি ব্লগ৷ এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি উচ্চমানের কোন ডোমেইন পাবেন না আপনাকে ব্যবহার করতে হবে সাব -ডোমেইন৷ উদাহরণস্বরূপ - www.mydomain.blogspot.com

ফ্রি সাইট তৈরি করার নিয়ম :-

প্রথমেই আপনার যা করনীয় তা হল Blogger.com এ গিয়ে -

(১) Create Your Blog বাটানে click করতে হবে৷

(২) আপনার ব্লগের একটি টাইটেল দিতে হবে৷

(৩) ব্লগের জন্য একটি Available Domain বাছাই করতে হবে৷ তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার ফ্রি ব্লগ সাইট ৷

এখন থিম অপশন এ গিয়ে একটি ডিজাইন সিলেট করে দিলেই আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে৷

২) পেইড ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন ?

এটি বানাতে হলে আপনাকে সেই ব্লগের জন্য একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং বানাতে হবে৷ এবার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে এই ডোমেইন ও হোস্টিং কি?

ডোমেইন হলো - ওয়েবসাইটের একটি ঠিকানা বা এড্রেস৷

হোস্টিং হলো - আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো যেমন- টেক্সট, ছবি এবং ভিডিও ইত্যাদি রাখার জন্য একটা স্পেস বা মেমোরি৷

তাই পেইড ব্লগ বানাতে হলে আপনাকে বিভিন্ন হোস্টিং কোম্পানি থেকে এইগুলি কিনে নিতে হবে আর এগুলোর জন্য আপনাকে ভাড়া দিতে হবে প্রতি বছর৷

কিভাবে ব্লগ সাইট বানাবো :- উপরে বলা হয়েছে প্রথমেই ব্লগ সাইট বানানোর নিয়ম দুটি একটি ফ্রি ব্লগ অপরটি টাকা দিয়ে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট বানাতে হবে৷ মূলকথা একটি ওয়েবসাইট থাকলেই আপনি ব্লগিং করতে পারবেন৷ তবে মনে রাখবেন পেইড ওয়েবসাইটে কিন্তু আপনি অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারবেন ফ্রি ওয়েবসাইট এর চেয়ে৷ যেমন-  আপনি যদি ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে ব্লগ বানিয়ে গুগল এডসেস্ন এর দ্বারা অর্থ উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে Blogger আপনার কাছ থেকে কিছু অর্থ রেখে দেবে৷ এছাড়া ফ্রি ব্লগে ডিজাইন বানানো বেশ কষ্টকর। বেশিরভাগ ভিজিটর সেখানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে আনতে হয়৷ তাই এই ধরনের ব্লগিং রেংক করানোও বেশ কষ্টদায়ক। তাই পেইড ওয়েবসাইটে ব্লগ বানানো বেশি কার্যকরী বলে আমরা মনে হয়৷ কেননা এখানে আপনি আপনার মালিক হতে পারবেন এবং ব্লগটি আরো বেশি প্রফেশনাল মনে হবে৷ তবে মনে রাখবেন বিশ্বস্ত কম্পানি থেকেই ডোমেইন হোস্টিং কিনবেন৷

 

ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ তৈরি করার পদ্ধতি :-

ডোমেইন হোস্টিং কিনে আপনাকে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হল ডোমেইনটিকে একটি হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করা৷ প্রথমবার কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনলে অটোমেটিক ডোমেইনের সাথে হোস্টিং এর নেম সার্ভার সংযুক্ত হয়ে যায়৷

এরপর যা করতে হবে তা হল ব্লগ বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে হবে ৷

কিভাবে ব্লগ বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করব :- ডোমেইন-হোস্টিং সেটআপ করার পর আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে হবে৷ হোস্টিং কেনার সাথে আপনাকে একটি cPanel দেওয়া হবে৷ সেই cPanel থেকে আপনি আপনার সার্ভারকে কন্ট্রোল করতে পারবেন৷ এককথায়, আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট সেখানে রাখতে পারবেন এবং এর দ্বারা আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন এবং ওয়েবসাইটের বেক-আপ করতে পারবেন ইত্যাদি৷

       ওয়েবসাইটের ডিজাইন সহ অন্যান্য দিক যেমন- আর্টিকেল পাবলিশ, পেইজ ক্রিয়েট, ইত্যাদি ম্যানেজ করতে ওয়ার্ডপ্রেসের প্রয়োজন পড়ে তাই cPanel থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা বাধ্যতামূলক ৷ এজন্য নিচে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস নামক একটি অপশন রয়েছে৷ সেখানে ক্লিক করে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিতে হবে৷

 

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে লগইন করবেন?

ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার পর cPanel আর তেমন দরকার পড়ে না৷ তখন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনার সম্পূর্ণ সাইট কন্ট্রোল করতে পারবেন৷ এজন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস লগইন করতে হবে৷ লগইন করতে আপনার সাইটের এড্রেসের পর wp- admin লিখে যেকোন ব্রাউজারের URL বক্সে সার্চ করতে হবে৷ যেমন- “www.abcd.com/wp-admin” এরপর ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার সময় আপনি যেই পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন তা দিয়ে লগইন কেরে নেন৷ এখানেই শেষ নয়, লগইন করা হলেও আপনার সাইট এখনো পুরোপুরি তৈরী নয়৷ কারণ সাইটের কোন কাঠামো বা ডিজাইন এখনো দেওয়া বাকি৷ তাই কাঠামো ঠিক করতে আপনার সাইডে একটি থিম (Theme)  ইন্সটল করতে হবে৷

Theme ইনস্টল করতে বামপাশের মেনু থেকে Appearance এ যান সেখান থেকে থিম অপশনে গিয়ে পছন্দমত একটি থিম বেছে সেটি ইন্সটল করে এক্টিবেট করে ফেলুন৷ তারপর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখুন ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি হয়ে গেছে৷ এখন আপনার ওয়েবসাইট পুরোপুরি তৈরি৷ এবার মেনু থেকে পোস্ট অপশন এ গিয়ে আপনি আপনার ইচ্ছে মত পোস্ট তৈরী করতে পারবেন ৷

ব্লগিং এর সুবিধা :-

ব্লগিং হচ্ছে একটি অভ্যাস যা আপনাকে শৃংখলাবদ্ধ করবে৷ এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে ৷

১) ব্লগিং করলে আপনি নিজেই নিজের বস হতে পারবেন৷ আপনাকে কারোর ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না৷

২) নিজের ইচ্ছে মত কাজ করতে পারবেন। ইচ্ছেমতো ছুটি নিতে পারবেন কারো থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না৷

৩) ব্লগিং করে ঘরে বসেই ভালো অংকের টাকা উপার্জন করা যেতে পারে৷

৪) আপনি যদি কোনো কাজ বা ব্যবসা করে যতক্ষণ আপনি কাজ করবেন ততসময় এর বেতন পাবেন এর মানে হলো কাজ না করলে কোন টাকা নেই৷ ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে এমনটি নয় আপনি এক - দু মাস কাজ না করেও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন৷

৫) এখানে বাড়তি কোনো খরচ আপনাকে করতে হবে না৷

৬) অনেক মহিলা আছেন যারা বাড়িতে বসে বিরক্ত বোধ করেন তাদের জন্য ব্লগিং হচ্ছে সবচেয়ে সেরা একটি উপায়৷ মহিলারা যদি ব্লগিং করে তবে তারা সময় গুলি বুদ্ধিমানের সাথে ব্যবহার করবে এবং ব্লগিং করে তারা বাড়িতে বসেই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

৭) ব্লগিং-এর সবথেকে বড় সুবিধা হলো আপনি এখানে সেলিব্রেটির মত সম্মান পাবেন৷

৮) ব্লগিং করতে আপনাকে কোন নির্দিষ্ট জায়গা দরকার হবেনা আপনি যেকোন জায়গা থেকে যেকোনো সময় ব্লগিং করতে পারেন ইত্যাদি৷

ব্লগিং এর অসুবিধা :- ব্লগিং করার সুবিধা অনেক থাকলেও ব্লগিং এর অসুবিধাও অনেক লক্ষ্য করা যায়৷ কিছু অসুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো -

১) ব্লগারের পারমালিঙ্ক :-

আপনি যদি কাস্টম ডোমেইন যোগ না করে ব্লগার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্লগ পোস্টের ইউ আর এল সার্চ ইঞ্জিনে কিছু হিসেবে প্রদর্শিত হবে যেমন - https:// example.blogspot.com/ 2021/06/example-post.html এমন পরিস্থিতিতে আপনার তৈরি করা পোস্ট গুগলে রাঙ্ক করলেও তারপরেও ব্যবহারকারীরা আপনার পারমালিঙ্ক দেখে বুঝতে পারেন যে, ব্লগটি উচ্চমানের হবে না ৷ এবং তারা আপনার পোস্টে ক্লিক অবদিও করে না সেই কারনে ব্লগের ট্রাফিকও প্রভাবিত হতে পারে৷

২) ব্লগার ডেভেলপার ফ্রেন্ডলি নয় :- ওয়ার্ডপ্রেসের মত প্লাগইন এবং টুলস আপনি ব্লগারে পাবেন না সেই কারণে আপনাকে অনেক ছোট ছোট জিনিস যোগ করতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে৷

৩) কোডিং সম্পর্কিত ধারণা :-    আপনার কোডিং সম্পর্কিত বিষয়ে যদি কোন জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি ব্লগারে বেশি একটা কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন না ৷

৪) ইনডেক্সিং সমস্যা :- এই সমস্যাটি আগে ব্লগার এর মধ্যে ছিল না বললেই চলে কিন্তু এখন এই সমস্যাটি অনেক ব্লগারদের মধ্যে লক্ষ করা যায় ৷

অনেক ব্লগার ব্লগ গুগলে ইনডেক্স করতে না পারায় তারা "ডিসকভারড বাট কারেন্টলি নট ইনডেক্সড ট্যাগ" দেখতে পারে৷ এটি গুগলের সমস্যা তাই এখানে আমাদের করার কিছুই থাকে না৷

৫) পোস্ট রাঙ্ক :- যদি আপনার করা পোস্টটি সুচি ভুক্ত না হয় তাহলে পোস্টটির রাঙ্ক হবে না৷ এই কারণে পোস্টটি লিখতে আপনার সমস্ত পরিশ্রম বৃথা যাবে ইত্যাদি ৷

 

কিভাবে ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করা যায় :-

                টাকা উপার্জন করতে প্রত্যেকটা ব্যক্তিকেই কত না কিছু করতে হয়৷ আপনাকে যদি বলা হয় আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজারেরও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাও আবার ঘরে বসে জীবনে যা যা স্বপ্ন রয়েছে গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদি তা পূরণ করা সম্ভব একটি মাত্র কাজের দ্বারা৷ সে কাজটি বাড়িতে বসে করতে পারেন নিজেই নিজের মালিক হতে পারবেন কারোর ওপর আপনাকে নির্ভরশীল হতে হবে না আর এই কাজটি হলো ব্লগিং অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম৷

 ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করার অসংখ্য উপায় রয়েছে৷ তা থেকে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে আপনি ভালো পরিমাণের আয় করতে পারেন৷ তা সর্ম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল৷

১) গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন :-

                দুই লাখেরও বেশি ব্লগার বর্তমানে তাদের ব্লগের গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করেন৷ এটি হচ্ছে একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ভিত্তিক একটি কোম্পানি৷ গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আপনার ব্লগে যদি আপনি এক লক্ষ ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে প্রতিমাসে ১০০০ ডলারেরও বেশি ইনকাম আপনি করতে পারবেন৷ এটি একটি কার্যকরী উপায়৷

২) ব্লগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় :-

                ব্লগ থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে একটি জনপ্রিয় উপায় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং৷ বিশেষ করে যারা ইংরেজি ব্লগার করে থাকেন৷ যারা বাংলা ব্লগিং করে থাকেন তাদের তেমন বেশি একটা আয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে হয় না৷ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া৷ আপনি যেহেতু অন্য কোন কোম্পানি প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিচ্ছেন সেহেতু সেই কোম্পানির তাদের লাভের একটি অংশ থেকে আপনাকে কিছু কমিশন দিবে আর ঠিক এই ভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন৷ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে একটি ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে অবশ্যই এখান থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব৷

৩) পেইড রিভিউ লিখে আয় :-

                অনলাইনে কিছু ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পেইড রিভিউ করানোর মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকেন আর আপনার ব্লগে যদি বেশি পরিমাণে ভিজিটর থেকে থাকে তাহলে আপনিও এই সুযোগটা নিতে পারেন৷

e-commerce ওয়েবসাইটস যদি আপনার সাথে যোগাযোগ করে তাহলে আপনি তাদের প্রোডাক্ট আপনার ব্লগে পেইড রিভিউ করে আয় করতে সক্ষম৷ বর্তমানে পেইড রিভিউ উপায়টা বেশ জনপ্রিয়৷

৪) বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয় :- আপনি একটি ব্লগ বানিয়ে সেটা এড নেটওয়ার্কের মনিটাইজেশন নিয়ে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন৷ এড, ক্লিক, ইম্প্রেশনের দ্বারা এড নেটওয়ার্কগুলো থেকে ভাল পরিমাণের টাকা উপার্জন করা যায়৷ বেশ কিছু জনপ্রিয় এড নেটওয়ার্ক রযেছে৷ যেমন- Google Adsense, Ezoic.Com, media.net

৫) ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি :-  আপনার যদি এটি পপুলার ব্লগ সাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রকারের ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করে তার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন ৷ যেমন- রেডি ওয়েবসাইট, ব্লগ থিম (ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস), ই-বুক, সফটওয়্যার ও গেমস, ডোমেইন-হোষ্টিং বিক্রয় ইত্যাদি৷

৬) অনলাইন কোর্স তৈরি করে আয় :-

 অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব৷ যেমন- এসইও, ইংলিশ লার্নিং , কম্পিউটার ব্যাসিক, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি৷

৭) লোকাল বিজ্ঞাপন :- আপনার ব্লগটি অনেক পপুলার স্থানে থাকলে তাহলে আপনি লোকাল অনেক কম্পানির এড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন ৷

 

পরিশেষে, আমরা একটা কথা বলতে পারি যে, বাড়িতে বসে অর্থ উপার্জন করার সবথেকে সঠিক যদি কিছু থেকে থাকে তা হল ব্লগিং করা৷ আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে আপনার সাফল্য আপনার কাছে৷

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment