logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

Digital Marketing in Bengali (ডিজিটাল মার্কেটিং)


◾Digital marketing
বর্তমান যুগটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ ৷ এখানে ঘরে বসে শপিং থেকে শুরু করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল।

◾ডিজিটাল এবং মার্কেটিং :-
ডিজিটাল এবং মার্কেটিং হচ্ছে দুটি ভিন্ন শব্দ ৷ ডিজিটাল শব্দের অর্থ হলো ইন্টারনেটের সাথে জড়িত অর্থাৎ এমন এক ধরনের টেকনোলজি যেটা কিনা কম্পিউটার বা যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক টেকনোলজিকে বোঝায় এবং যেটা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর সাথে বিশেষভাবে জড়িত থাকে৷ অপরদিকে মার্কেটিং শব্দের অর্থ হল যেকোন বিসনেস (Business)৷ কোন ব্যবসার যেকোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকের কাছে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে তা প্রচার করাই হচ্ছে মার্কেটিং৷

ডিজিটাল মার্কেটিং সংজ্ঞা:-
এক কথায় বলতে হলে অনলাইনে পণ্য বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপনের প্রমোশন বা প্রচার করে সেই পণ্যটি বিক্রয়ের জন্য অপর মানুষটিকে উৎসাহিত করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে৷ 


ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মূলত আমরা বুঝে থাকি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে নিজস্ব যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার সাধন৷ আধুনিকতার যুগে আমরা ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে ঘরে-বাইরে এমনকি দূর-দূরান্তের যেকোন সময়ে যেকোনো মানুষের সাথে কথা বলতে পারি৷ এমনকি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদেরকে দেখতে পারি৷ সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা আধুনিকতার সমাজে দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি বিভিন্ন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করি৷ বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এখানে অ্যাক্টিভ থাকেন৷ এইসব সামাজিক জনপ্রিয় সোশ্যাল ওয়েবসাইটগুলোকে কেন্দ্র করেই নিজস্ব যে কোন ব্যবসার প্রচার করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং৷   

◾ ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধাপ বা প্রকারভেদ:- 
দুটি প্রকারে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যেতে পারে একটি অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং অপরটি হল অফলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং৷
অফলাইন মার্কেটিং :- অফলাইন মার্কেটিং ইন্টারনেট ছাড়াও করা যেতে পারে৷

  • SMS :- নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার এ বিভিন্ন ধরনের প্রচারমূলক বিজ্ঞপ্তি আসবে৷ এটি একটি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কৌশল পদ্ধতি৷ এই বিজ্ঞাপনটি প্রচার অফলাইনে করা সম্ভব৷
  • ফোন কল:- ফোন কলের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে নিজের ব্যবসার কথা বলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়৷
  • বৈদ্যুতিন বিলবোর্ড :- বর্তমানে অনেক সংস্থা বৈদ্যুতিন হোডিং রেখে প্রচার করে৷ এটি এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং৷ ইত্যাদি

অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং করার কৌশল :-
যে কোন কোম্পানি বা business owners রা বিভিন্ন উপায় বা প্রক্রিয়াকে প্রয়োগ করে নিজের প্রডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইন ইন্টারনেট এর দ্বারা মার্কেটিং করতে সক্ষম৷ এই উপায় গুলি হল যথাক্রমে - 

১) সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM):- 
একটু লক্ষ করলে দেখা যায়, আমরা গুগল সার্চ (Google Search) এর মাধ্যমে যখন কিছু সার্চ করে থাকি, তখন প্রথম ৩ - ৫ টি সমাধান বা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের মধ্যে আমরা বিজ্ঞাপন দেখতে পাই৷ সাধারণভাবেই বিজ্ঞাপনগুলি দেওয়া থাকে এবং তার আগে (Ad) বলে লেখা থাকে৷ ঠিক এই ভাবেই বিভিন্ন কোম্পানী বা business omners রা Google Adword এর মাধ্যমে গুগোল সার্চ ইঞ্জিন বা অন্য অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে এমন ভাবেই বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজস্ব প্রডাক্ট (product) বা সার্ভিস (Service) এর মার্কেটিং, প্রচার গ্রাহক খোঁজার এই প্রক্রিয়াকেই Search Engine Marketing বলা হয় ৷

২) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) :-
এটি হলো এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটস যেখানে Facebook, Twitter, Instagram, YouTube এর  মতো ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলি আপনাকে তাদের সাইটে বিজ্ঞাপন চালানোর অনুমতি দেয়। এই অ্যাপগুলি মাধ্যমে কোন ব্যবসায়ী তাদের যেকোনো brand, product বা Service প্রোমোট করতে পারে৷ এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে (Consumer) গ্রাহক বা ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷ কারন স্কুলে পড়া স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে Retired হয়ে যাওয়া বয়স্ক বৃদ্ধ লোকটিও সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকেন৷ প্রায় সমগ্র পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে৷

৩) ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং (Digital Display Marketing) :- 
ব্যানার, স্লাইড শো, ছবি বা ভিডিও আকারে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাকেই ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং বলে৷ এটি অন্যগুলোর চেয়ে তুলনামূলক কিছুটা ব্যয়বহুল৷ কিন্তু এই বিজ্ঞাপনগুলির ব্যয় এর হার কিছুটা বেশি হলেও গ্রাহক এ বিজ্ঞাপন গুলির প্রতি একটু বেশিই আকৃষ্ট হয় অন্যান্য বিজ্ঞাপনের তুলনায়৷ LED Display এর সাহায্যে বর্তমানে অনেক Digital marketing করেছে৷ তবে এটি স্পষ্ট যে বর্তমান দুনিয়ায় ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার সবচেয়ে কার্যকরী বা উত্তম একটি পন্থা হলো ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং৷ এই মার্কেটিং ৭০% কার্যকরী৷

৪) মোবাইল মার্কেটিং (Mobile Marketing) :-
বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোনের সংখ্যা ৬৬% ও বেশি৷ স্মার্ট ফোনের ব্যবহারের হার দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ মোবাইলের দ্বারা যেকোনো পণ্যের প্রচার করে খুব কম সময়ে সফলতা পেতে পারেন৷ বলা হয়ে থাকে Digital marketing এর বিশাল একটি অংশ এই স্মার্টফোনকেই কেন্দ্র করে৷ 
মোবাইল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো -

  1. SMS Marketing 
  2. MMS Marketing

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৯৭% টেক্সট মেসেজ ওপেন করে থাকে প্রতি ৩ মিনিট ফোন ব্যবহারকারীরা৷ এবং প্রতি সেকেন্ডে ৫২০৮৩ টি টেক্সট মেসেজ আদান-প্রদান হয়।


৫) ইমেল কালেকশন (Email Collection):- প্রচুর পরিমাণে ইমেইল সংরক্ষণ করা ইমেইল মার্কেটিং এর অন্যতম কাজ৷ কারণ এর মাধ্যমেই আপনি পণ্য বা ব্যবসা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য গ্রাহকের কাছে পাঠা পাঠাবেন এবং তা ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করতেন ক্রেতাদের৷ যত ইমেইল সংগ্রহ হবে তত বিক্রির সম্ভাবনা থাকে৷ তবে মাথায় রাখতে হবে সঠিক অডিয়েন্সের কাছে ইমেইল পাঠাতে হবে৷

৬) ইমেইল ডেলিভারি (Email Delivery) :- 
ইমেইল মার্কেটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হল ইমেইল ডেলিভারি করা ৷ SMTP (Simple mail transfer protocol) সার্ভার প্রয়োজন ইমেইল ডেলিভারি করার জন্য৷ তাছাড়াও আমরা সাধারন মেইল পাঠানোর জন্য Verizon, Comcast, AOL, Gmail, Yahoo, Go Daddy, Earthlink ইত্যাদি সাইট গুলি ব্যবহার করি। কিন্তু এই সাইট গুলিতে একদিনে খুব একটা বেশি মেইল পাঠানো যায় না তাই SMTP সার্ভারই ব্যবহার কারা বুদ্ধিমানের কাজ হবে৷ কারন SMPT ই পারে একজন ভালো সফল মানের ইমেইলে মার্কেটার বানাতে৷

প্রেপার Email Marketing যে হতে পারে খুব অল্প খরচে তা একমাত্র Digital Marketing ই সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ৷

৭) অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং (Affiliate Marketing) :-
এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং৷ এটি একটি কমিশন ভিত্তিক৷ অর্থাৎ অন্যের প্রডাক্ট প্রচার করাকেই মূলত Affiliate marketing বলা হয়। যেমন আমার দোকানের মাল আপনি প্রচার প্রচারনা করে বিক্রি করার বিনিময়ে আপনাকে কিছু কমিশন দেওয়া হল৷ তাছাড়া আরও বিভিন্ন প্রকার Affiliate Marketing program রয়েছে উদাহরণ স্বরূপ - amazon affiliate marketing program, Clickbank affiliate marketing Program ইতাদি৷ এগুলি কোম্পানির সাথে আপনি যুক্ত হয়ে কোম্পানির যে কোন একটি নির্দিষ্ট জিনিস (ফোন) প্রমোট করতে চাইলে, এর জন্য তারা তাদের প্রোডাক্টের নির্দিষ্ট একটি লিঙ্ক তৈরি করে আপনাকে দেবে৷ এবং আপনি ওই প্রোডাক্ট এর বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার কন্টেন্ট বানিয়ে যেমন ইউটিউব ভিডিও বা ব্লগে লিখে তাদের লিঙ্কটিতে শেয়ার করতে পারেন৷ আপনার দেওয়া লিঙ্কে গিয়ে কোন মানুষ ক্লিক করে কোন জিনিস কিনে অ্যামাজন থেকে, তাহলে কেনা জিনিসটির মূল্য অনুযায়ী আপনাকে একটি কমিশন দেওয়া হয়৷ অবশ্য এইজন্য কাস্টমার বা ক্রেতাকে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হয় না৷ এই ভাবেই Affiliate marketing করা হয়৷ এবং Affiliate marketing কে অনেক Paid পদ্ধাতিতে করে থাকে৷ 

সিপিএ মার্কেটিংও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে পড়ে যেখানে ভালো পরিমানের আয় করা যায় ৷


৮) Memes marketing :-
ফেসবুক অধিক জনপ্রিয় একটি কন্টেন্ট হলো মিমস৷ অনেক সময় মিমসও ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হয়ে ওঠে৷ কোন প্রোডাক্টের বিক্রি বাড়ানোর জন্য বা কোনো ব্র্যান্ডকে প্রচার বা প্রমোট করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট oriented মিমস জনপ্রিয় করে তোলে৷
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়- Bewakoof. Com বলে ভারতে একটি অনলাইন ব্রান্ড আছে যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় মিমস মার্কেটিং করেই অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল৷ তাছাড়া কলকাতায় একটি ফেসবুক পেজ The Kolkata Buzz কিছুক্ষেত্রে এরকম মার্কেটিং করে চলেছে৷


৯) Negative marketing :-

আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, যে  কোনো মানুষ নেগেটিভ জিনিসের প্রতি একটু বেশি আকর্ষিত হয়৷ উদাহরন দিয়ে বলতে গেলে - একজন একটি "ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স" তৈরি করে তাঁর নাম 'Banglateinfo digital marketing Course' দেন। এবং তার মূল্য কিছু টাকা ধার্য্য করা হয়৷
ইন্টারনেটে কোন জিনিস কেনার আগে মানুষ তার রিভিউ চেক করে। ধরুন,এখন আপনি কোন কীওয়ার্ড সার্চ করলেন Banglateinfo marketing course review, Banglateinfo digital marketing course expose এই রকমের। এখন কেউ যদি ওই Banglateinfo  digital marketing কে নিয়ে ভিডিও বানায় এবং সেই ভিডিওর thumbnail এর উপর যদি লিখে Banglateinfo digital marketing course কিভাবে আপনার টাকার লুটছে জানুন বা এটি ফেক কেন৷ এই দেখে আপনি ভিডিওটিতে ক্লিক করে পুরো ভিডিওটি দেখলেন এবং পরে জানতে পারলেন এই bangla teinfo digital marketing Course টি খুব ভালো কিনে ফেলুন৷ এই পুরো ব্যাপারটি হচ্ছে নেগেটিভ মার্কেটিং৷ এভাবেই আপনার নেগেটিভ সেন্সকে প্রয়োগ করে মার্কেটিং করা হয়৷ সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যখন কিছুর খারাপ দিক খুঁজতে যাবেন সেটিকে ব্যবহার করে নিজের মার্কেটিং করাই হচ্ছে নেগেটিভ মার্কেটিং৷


১০) search engine optimization (SEO):-
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হচ্ছে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় হাতিয়ার৷ এটি SEO নামেও পরিচিত৷ এটি হলো যেখানে আমরা সার্চ করি এবং কিছু রেজাল্ট পায়৷ যেমন- গুগল সার্চ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখা পড়তে পারি৷ ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও দেখতে পারি৷ তা ছাড়াও আরো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে৷ যেমন- Bing, yahoo, Baidu, Duckduckgo ইত্যাদি৷
গুগলে এখন যদি আমরা সার্চ করি 'ডিজিটাল মার্কেটিং কি ' গুগল কিন্তু আপনাকে সবচেয়ে ভালো লেখা গুলি পরপর উপরে দেখাবে৷ সবচেয়ে ভাল আর্টিকেলটা গুগল সবার উপরে রখবে৷ এবার প্রশ্ন হল গুগল কি করে বুঝবে এটি সবচেয়ে ভালো আকারের আর্টিকেল ? আর অন্য গুলিতে তেমন ভাল কিছু লেখা নেই ! আর ঠিকএখানেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর প্রয়োজন৷ 
আমরা যারা digital marketingএর সংস্পর্শে রয়েছি, তারা বিভিন্ন উপায়ে আমাদের তৈরি করা  কন্টেন্টকে গুগল সার্চ রেজাল্টে আসার কাজ করে থাকি৷ যেমন- Title optimization, image optimization, proper listing এই ধরনের বিভিন্ন উপায়ে আমরা গুগলিকে জানাই আমাদের কন্টেন্ট গুলির ব্যাপারে ভালোভাবে যাতে গুগল বুঝতে পারে।
সবার কন্টেন্ট একই হয় না। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন কেউ খাবারের রেসিপি, কেউবা পড়াশোনা বিষয়ক তথ্য বা কেউ ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয় অনলাইনে প্রমোট করে থাকেন৷ অর্থাৎ সবাইকে তাদের জিনিস গুলো গুগল সার্চের উপযোগী করতে অর্থাৎ সার্চ করলেই যেন সবার আগে আমার জিনিসটির সম্পর্কে চলে আসে৷ যাতে সবার কাছে আমার জিনিসটি আগে পৌছায়। 
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় search engine optimization যারা করে তাদেরকে SEO expert বলা হয়৷ এবং নিয়ম মেনে কেউ কাজটিকে করলে তাকে white Hat SEO বলে৷ আবার নিয়ম না মেনে করলে তাকে বলা হয় Black Hat SEO .


◾ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করব ও এর প্রয়জনীয়তা :- ডিজিটাল মার্কেটিং যেকোনো ব্যবসাকে বৃদ্ধি এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর এক দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
এটি অন্যান্য পুরনো মার্কেটিং এর ধারণার থেকে  সম্পূর্ণ আলাদা রকমের মার্কেটিং৷ এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর খরচ অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় বেশ কম৷ কারণ অল্প সংখ্যক লোক বর্তমান এই ধারণার ওপর কাজ করছে৷ বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে গতানুগতিক বা ট্রাডিশনাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপারটি বহুলাংশে কমে গেছে৷ কারণ বর্তমান যুগটি ইন্টারনেটের ওপর বেশিরভাগ নির্ভরশীল৷ আর আপনি যদি ব্যবসার উন্নতি চান তাহলে একটা সময় আপনাকে ব্যবসার উন্নতির জন্য ব্যবসাকে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক করতেই হবে৷ 


১) International Customer Targeting :-
এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমার ধরতে পারবেন খুব সহজেই কারণ এটি কোন গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় তাই ব্যবসাকে ইন্টারন্যাশনাল করার সুযোগ রয়েছে আপনার হাতে৷


২) কাস্টমারকে ট্র্যাক করা যায় :-
ডিজিটাল মার্কেটিং এর দ্বারা খুব সহজে কাস্টমারকে ইমেইল, ফোন নাম্বার ইত্যাদি দ্বারা ডাটা দিয়ে তাকে ট্যাক সম্ভব৷


৩) অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য :-
আপনার ব্যবসা বা প্রোডাক্ট যদি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে তাহলে আপনি কাস্টমারের কাছে অনেক বেশি ফল লাভ করবেন৷ পরবর্তীতে সে জিনিস নেবার আগে আপনার কথাই আগে ভাববে৷ এবং জিনিসটি ভালো দিলে সে ফ্রিতে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের কাছে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভাল গুনাগুন বলবে এবং ফ্রিতেই প্রমোট করবে৷


৪) Growing stage:- যে কোনো জিনিসই  growing stage থেকে শুরু করতে পারলে তা Saturated  stageএ অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়৷ এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকলে এর ডিম্যান্ড ও অনেক বেশি বেড়ে যাই৷ ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে growing stageএ অন্তর্ভুক্ত৷

 

◾ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা :-
ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান যুগে অনেক বেশি কার্যকরী৷ এর সুবিধা অনেক রয়েছে৷ যেমন-

১) কনভার্সন রেট বেশি :-ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় একটি ফ্যাক্টর হল interest based target এটি কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড় অস্ত্র৷ যদি আপনি কাস্টমারকে তাদের পছন্দ সম্পর্কিত জিনিসের ওপর অ্যাড দেখান তাহলে আপনার প্রোডাক্ট কেনার চান্সে অনেক বেড়ে যায়৷ ফলে conversion rate বাড়বে৷ আপনাকে যাদের ইন্টারেস্ট নেই তাদের অ্যাড দেখানোর টাকাও বেঁচে যাবে৷

 

২) মোবাইল :- বর্তমান দুনিয়ায় সবার হাতে স্মার্টফোন বা মোবাইল৷ মোবাইল এর মাধ্যমে তারা আপনার প্রোডাক্ট যাচাই করে জিনিস কিনতে পারে৷ তাছাড়া আপনার প্রোডাক্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তার রিভিউ চেক করার সুযোগ রয়েছে৷ যা বিশ্বাসের একটি বড় কারন।

৩) মার্কেট পারফরম্যান্স :- এটা দ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন পরবর্তী মার্কেট কেমন হবে৷ কারণ ডাটা এখন আপনার হাতেই৷ তাছাড়া মার্কেট অ্যানালাইসিস করার সুযোগ রয়েছে যেটা কিনা পুরনো মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে থাকে না বললেই চলে।

৪) দ্রুত তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যায় :- গতানুগতিক মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক বেশি৷ ডিজিটাল মার্কেটিং কে কেন্দ্র করে আপনি খুব দ্রুত কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যেতে পারেন এবং খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন৷

৫) চটকদার, প্রলুব্ধ করে অ্যাড দেওয়া যায় :- ডিজিটাল মার্কেটিং কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উপায়ে যেমন চটকদার, প্রলুব্ধ করে এমন ধরনের অ্যাড দেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ কাস্টমারকে এটি অনেক বেশি আকর্ষণ করে৷

৬) অনলাইনে বিজ্ঞাপন অফলাইনের চেয়ে অনেক বেশী কার্যকরী৷ কারণ আমি যদি কোন পত্রিকার মাধ্যমে আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন এই বিজ্ঞাপনটি ঠিক কতলোক দেখছে৷ কিন্তু এই বিজ্ঞাপনটির যদি আপনি অনলাইনে মাধ্যমে দেন তাহলে আপনি খুব সহজেই লক্ষ্য করতে পারবেন এই বিজ্ঞাপনটি কতজনের কাছে পৌঁছেছে৷ তাই অফলাইন মার্কেটিংয়ের অনলাইন মার্কেটিং অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি সুবিধাজনক৷

৭) ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন অল্প খরচে ক্রেতাদের কাছে প্রদর্শন করতে পারে খুব সহজে৷

৮) Attribution modeling এর মাধ্যমে আমরা কোন প্রোডাক্ট ট্রেন্ডিং এবং কোন অঞ্চলে কোন প্রোডাক্ট মানুষের মাধ্যমে সার্চ করা হয় তা জানতে পারি৷ যার ফলে সঠিক জায়গায় সঠিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা অনেকটাই সহজ হয়ে ওঠে৷

৯) Ad Campaign:- অনলাইন মার্কেটিং এর সব থেকে বড় সুবিধা হল আপনি আপনার প্রয়োজন মত যখন খুশি তখন আপনার অ্যাডভার্টাইমেন্ট তৈরি করে সেখানে পরিবর্তনও করতে পারেন৷

১০) ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবথেকে বড় সুবিধা হল বড় বড় কর্পোরেশন কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতার সুযোগ পাওয়া৷

◾ ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব :- 
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রত্যেকের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জায়গা নিয়ে রেখেছে৷ কারন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই ইন্টারনেটের সাথে এমনভাবে আষ্টেপিষ্টে সংযুক্ত রয়েছে বা কোন না কোন ভাবে ইন্টারনেটকে আপন করে নিয়েছে, যেমন সে হোক না কোনো ইউটিউবে ভিডিও  কিংবা ভিডিও গেম এমনকি মানুষ বিনোদনের জন্যও অথবা কাজের সূত্রেও অধিকাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে৷ অধিকাংশ লোক বর্তমানে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংস্পর্শে থাকার কারণে পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো তাদের ক্রেতাদের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং এর দৌলতে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পেরেছে৷ 

একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, একজন মানুষ দু থেকে তিন ঘণ্টা কমপক্ষে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে ৷ এছাড়া দেখা গিয়েছে মানুষ বাজারে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করার চেয়ে অনলাইনে শপিং করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে৷ পৃথিবীতে ব্যবহারকারীদের এতটা ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহ দেখে ছোট থেকে ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কোম্পানি বর্তমানে এখন ইন্টারনেটের বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্বটা ঠিক কতখানি তা বুঝতে পেরেছে৷ ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বটা বুঝতে পেরে সবাই এখন ক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য বিভিন্ন প্রকার কৌশল এর মাধ্যমে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দ্বারা ক্রেতাদের তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে সচেতন করে থাকেন ইত্যাদি ৷ সর্ব শেষে একটাই কথা বলা যেতে পারে বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম৷
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা :-
বর্তমানে একাধিক ডিজিটাল চ্যানেল এর ব্যবহার করা হয়৷ অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আলাদা আলাদা কাজের জন্য একাধিক ডিভাইস এবং চ্যালেন ব্যবহার করে থাকেন৷ এজন্য তাদের বিভিন্ন ধরনের protocol, specifications ও interface এর দরকার হয়৷ আর এজন্যই ডিজিটাল মার্কেটাদের সঠিক কাস্টমার পেতে অনেক সময় অনেক সমস্যা হয়৷

১. ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা :- ডিজিটাল চ্যানেলগুলি অন্যান্য ট্রেডিশনাল মিডিয়া গুলোর তুলনায় অনেক বেশি সস্তাI এটি যে কেউ নানান মাধ্যম ব্যবহার করে খুব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে৷ যেকোন ব্যবসার জন্য লাভজনক একটি উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং৷ আর এই কারণে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এখন খুব কঠিন হয়ে উঠেছে৷

◾ কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় বা শেখার পদ্ধতি :-
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে আগে খুব ভালোভাবে শিখতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কিভাবে কি করলে আপনি লাভ পাবেন৷ কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং সব ক্ষেত্রে একই ভূমিকা গ্রহণ করে না৷ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে অবলম্বন করে থাকে সব ক্ষেত্রে৷ যেমন- যদি আপনি ইমেইল মার্কেটিং করেন তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন না৷ এবং যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান তাহলে আবার সেটাকে আপনার আলাদা ভাবে শিখতে হবে৷ ভাই আপনার সুবিধা ও ইন্টারেস্ট অনুযায়ী কাজ করুন৷ এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য নিচে কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেয়া হলো৷
মার্কেটিং এর জরুরী কিছু টুল :- 

1. বাফার (Buffer) : - সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলি একইসাথে ম্যানেজ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল হচ্ছে বাফার৷
2. ক্যানভা (Canva) :- এর সাহায্য সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, ব্লগ পোস্ট,  ইনফোগ্রাফিক সহজে তৈরি করা যায়৷ এই ক্যানভার মধ্যে ভালো ভালো টেম্পলেট আছে৷
3. গুগল এনালাইটিক্স ( Google analytics):-
এটি একটি web analytics tool এখানে আপনি বিভিন্ন ওয়েব পারফর্ম্যান্স সম্পর্কে জানতে পারবেন৷ 
4. গুগল অপটিমাইজ :-  এর দ্বারা AB টস্টিংক করে ভিসিটরের এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে জানা যায়৷
5. গুগল ট্রেন্ড :- বর্তমানে কী  ট্রেন্ডিং টপিক আছে তা সম্পর্কে জানা যায় এর মাধ্যমে৷
6. Google adwords :- এটির দ্বারা বিজ্ঞাপণ দেখা যায় ও তার ফলাফল বিষয়ক তথ্য জানা যায়৷
7. Bing Ads :- এটি Google AdWordsএর মতোই অ্যাড সার্ভিস যেটা মাইক্রোসফট বিং আপনাকে দিয়ে থাকে৷
৪. Facebook ad service :- এটি হলো ফেসবুকে আড চালানোর অ্যাড সার্ভিস৷ এটির দ্বারা যেকোন অ্যাড দেখানো যায় টাকার পরিবর্তে৷
9. Google keyword planner :-  কোনো প্রোডাক্ট কত পরিমাণ লোক সার্চ করেছে সে বিষয়ে জানা যায়৷
10. Google SERP Chrome extension:-
গুগলে ওয়েবসাইট ranking চেক করা হয় এর মাধ্যমে৷
11. মাইক্রোসফট ক্লারিটি :- এ মাধ্যমে যেকোন সাইটের ইউসার এক্সপেরিয়েন্স যাচাই করা যায়৷
12. পেনগুইন টুল :- আপনার ওয়েবসাইটের ওপর কোনোরূপ ভালো খারাপ প্রভাব পড়ছে কিনা তা সম্পর্কে জানা যায় এটি একটি Google algorithm .
          এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের টুল রয়েছে যেগুলোর ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়৷

উপসংহার :- বর্তমান দুনিয়ায় বাজারব্যবস্থা যেভাবে ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে সেদিন আর বেশি দূরে নেই যখন মানুষ আর দোকানে না গিয়ে ঘরে বসেই অললাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনবে ৷ কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে ৷ মানুষ আর সময় নষ্ট না করে নিজের পছন্দের জিনিসটি অনলাইনে সার্চের মাধ্যমে রিভিউ গুনাগুন পড়ে বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে জিনিসটা অর্ডার করেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে৷ পরিশেষে একটাই কথা বলা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে রাখাটা এখন সবচেয়ে দামীI আপনি যদি একটু ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন আপনি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত একেবারেই ৷

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment