প্রত্যয় বা সংকেত বা উপসর্গ বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অংশ, যা শব্দগুলির অর্থ পরিবর্তন করে এবং তাদেরকে বিশেষ করে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ের প্রকার অনুসারে তাকে কিছু ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যয়-এর শ্রেণীবিভাগঃ
কারক প্রত্যয়:
কারক প্রত্যয়ের মধ্যে অধিকাংশই থাকে কারক, যেমন কর্তৃ, কর্ম, করণ, অধিকরণ, অপাদান ও সম্বন্ধ ইত্যাদি। এই প্রত্যয়টি কারকের সাথে জড়িত থাকে। উদাহরণস্বরূপ: মায়ায় গোধূলি ছড়িয়ে দিয়েছে। এখানে "মায়ায়" হলো কারক প্রত্যয়।
অঙ্গ প্রত্যয়:
অঙ্গ প্রত্যয়টি শব্দটির অংশে যোগ হয় এবং সমাবেশ, সংযোজন, দেখা, সৃষ্টি, দর্শন, অবস্থা ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ: ওই গাছটি হাসপাতালে চলে আসতেছে। এখানে "চলে আসতেছে" হলো অঙ্গ প্রত্যয়।
লিঙ্গ প্রত্যয়:
লিঙ্গ প্রত্যয় সংজ্ঞা করতে ব্যবহৃত হয় এবং পুরুষ, স্ত্রী, নির্দিষ্ট লিঙ্গের প্রকৃতি জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ: সে আমাদের সঙ্গে আসতেছে। এখানে "সে" হলো লিঙ্গ প্রত্যয়।
ক্রিয়া প্রত্যয়:
ক্রিয়া প্রত্যয়টি কোনও ক্রিয়ার সাথে যোগ হয় এবং প্রযুক্তি, বিস্তার, আবৃদ্ধি, উত্সাহ, পূর্ণতা ইত্যাদির সূচনা করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ: তার বই পড়তেছে। এখানে "পড়তেছে" হলো ক্রিয়া প্রত্যয়।
বিশেষণ প্রত্যয়:
বিশেষণ প্রত্যয়টি কোনও বিশেষণের সাথে যোগ হয় এবং অভিবাচক, সীমানা, দিক, পোষা ইত্যাদি সূচনা করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ: "সে সুন্দর"। এখানে "সুন্দর" হলো বিশেষণ প্রত্যয়।
বাংলা ব্যাকরণে প্রত্যয় বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত হয়ে থাকে এবং তারা ভাষার নিয়মগুলি অনুসরণ করে ভাষা ব্যবহার করতে সাহায্য করে।