ডিজিটাল কম্পিউটার কাকে বলে:-
Computer কে বলা হয় বর্তমান শতাব্দির সবচেয়ে আলোচিত ও সম্ভাবনাময় যন্ত্র। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন ক্ষমতা ও গুন সম্পন্ন কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। কম্পিউটারের গঠন, কাজের ধরন, ও প্রক্রিয়া ইত্যাদির ভিত্তিতে কম্পিউটারকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: এনালগ কম্পিউটার, ডিজিটাল কম্পিউটার ও হাইব্রিড কম্পিউটার। তবে, আধুনিক কম্পিউটার বলতে মূলত ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝায়। আজকে আমরা আলোচনা করব ডিজিটাল কম্পিউটার কী, এর প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, এবং ব্যবহার নিয়ে।
Digital Computer হলো এমন একটি কম্পিউটার মেশিন যেটা যেকোনো ধরণের Information গুলোকে Process করতে সাহায্য করে থাকে।
এই ডিভাইস গুলো এতটাই দ্রুত কাজ করে থাকে যে সেকেন্ডের থেকেও কম সময়ের মধ্যে আউটপুট প্রদান করতে পারে।
ডিজিটাল কম্পিউটার গুলো যেকোনো ধরণের গণনা (Calculations) এবং Logical Operations গুলো করার ক্ষেত্রে Binary Number System এর ব্যবহার করে থাকে।
এই ধরণের কম্পিউটার Data গুলোকে Input হিসেবে গ্রহণ করার পর সেগুলোকে Binary Numbers এর মধ্যে পরিবর্তিত (Convert) করে ফেলে।
মানে প্রত্যেকটি ডাটা ডিজিট (Digit) হিসেবে, মানে 0 এবং 1 হিসেবে কনভার্ট করে সেগুলোকে প্রসেস করা হয়।
কারণ কম্পিউটার গুলো কেবল digits (0’s and 1’s) গুলোকেই বুঝতে পারে।
আর তাই, ইংরেজি ভাষাতে আমাদের দেওয়া Input বা Data গুলোকে এই কম্পিউটার Binary Language হিসেবে Convert করে থাকে।
আর এভাবেই, ডিজিটাল কম্পিউটার এবং আমাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
Digital device গুলোর উদাহরণ কিছু হলো, Personal computers (PC), Desktops, Laptops, Smartphones ইত্যাদি।
মূলত ৩ টি মূল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল কম্পিউটার কাজ করে থাকে।
Input
যখন user দ্বারা যেকোনো data বা information গুলোকে device এর মধ্যে প্রেরণ করা হয় তখন সেই প্রক্রিয়াকে input বলা হয়। কম্পিউটারে input প্রদান করার ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস গুলোকে ব্যবহার করে থাকি।
Processing
User দ্বারা প্রেরণ করা Input Data গুলোকে কম্পিউটার নিজের বাইনারি ভাষাতে কনভার্ট করে সেগুলোকে কিছু Defined Sequence এর মাধ্যমে Process করে।
Output
একবার Processing সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর, প্রদান করা Input Data হিসেবে User কে Output ডিসপ্লে করে দেওয়া হয়।
আকার, আকৃতি, মেমোরি ও কার্যক্ষমতার ওপর ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারগুলোকে প্রধানত চারটি বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। যেমন:-
কম্পিউটার পরিবারের সবচেয়ে ছোট ও ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার হল Micro Computre। Micro শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র। Micro Computer বলতে ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটারকে বোঝায়।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং মোবাইল ফোন ইত্যাদি মাইক্রো কম্পিউটার। অনেকে একে পার্সোনাল কম্পিউটার বলে থাকে। কারণ এগুলো এক ব্যক্তি ব্যবহার করে।
এই ধরনের কম্পিউটার একটি প্রধান মাইক্রো-প্রসেসর, প্রধান মেমোরি, সেকেন্ডারি মেমোরি, এবং Input - Output নিয়ে গঠিত। এগুলো কম জটিল এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা তাই এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া Micro Computer সুবিধাজনক কারণ এটি নমনীয়, ও সহজে বহনযোগ্য। যেমন IBM PC, APPLE POWER, HP PC, DELL PC.
Mainframe কম্পিউটার গুলোর আকার অনেক বড় এবং অনেক ভারী সংখ্যায় ডাটা (Data) গুলোকে Store এবং Process করার ক্ষেত্রে এদের ব্যবহার করা হয়।
বড়ো বড়ো Organization গুলোর দ্বারা এই ধরণের কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা হয় যেখানে অনেক জটিল Applications গুলো ব্যবহার করা হয়।
মূলত অনেক ভারী সংখ্যায় Data Processing এবং Calculations গুলোকে করার ক্ষেত্রে এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
সুপার কম্পিউটার গুলো হাজার হাজার প্রসেসরের সমন্বয়ে গঠিত যা একই সাথে অনেকগুলো প্রক্রিয়া চালানোর ক্ষমতা রাখে। এই
ধরনের প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে বিলিয়ন এবং ট্রিলিয়ন নির্দেশনা চালাতে পারে। সুপার কম্পিউটারগুলো বেশিরভাগই বৈজ্ঞানিক
গবেষণা এবং প্রকৌশল ক্ষেত্রগুলোতে স্থাপন করা হয় কারণ এসব স্থানে প্রচুর পরিমাণে ডেটাবেস রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু বর্তমানে মহাকাশ, পেট্রোলিয়াম এবং অটোমোবাইল শিল্পেও এটি অত্যাধিক ব্যবহার হচ্ছে।