logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

নেটওয়ার্কিং


২.০  ভুমিকা 

যখন একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কমপিউটারের মধ্য তথ্য আদান প্রদানের প্রয়জন হয় তখন দুই বা ততধিক কম্পিউটারকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হয় । 

এই ব্যবস্তা কে নেটওয়ারকিং  বলা হয় । নেটওয়ারকিং ব্যবস্তার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার ইনপুট ডিভাইস যেমন - স্কেনার, ওয়েব ক্যাম ইত্যাদি এবং আউটপুট ডিভাইস যেমন - প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি যুক্ত থাকতে পারে । 

নেটওয়ারকিং ব্যবস্থায় কম্পিউটারগুলি কেবল (cable) বা তারের সাহায্য অথবা বেতার ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত থেকে তথ্য (data) আদান - প্রদান করে ।

সংজ্ঞাঃ   দুই বা ততধিক কম্পিউটার যখন কেবল (cable) বা বেতার বেবস্থার মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তথ্য আদান প্রদান করে তখন কম্পিউটারগুলির সংযুক্তিকরনকে নেটওয়ারকিং (Networking ) বলে।

 

২.১ নেটওয়ারকিং-এর গুরুত্ব (Significance of Networking)

যে বিষয়গুলিতে নেটওয়ারকিং সহায়তা করে অর্থাৎ নেটওয়ার্ক স্থাপনের সুবিধা গুলি হল-

(i) সম্পদের মিলিত ব্যবহার (Hardware resource sharing)

একই নেটওয়ার্কএর সঙ্গে যুক্ত থাকলে যে কোনো ব্যবহারকারি বিভিন্ন ধরনের ইনপুট আউটপুট ও স্টোরেজ ডিভাইস যেমন - স্ক্যনার, ক্যমেরা,প্রিন্টার, হার্ডডিস্ক ইত্যদি যন্র গুলি শেয়ার (share) করতে পারে।

শুধুমাত্র কম্পিউটার হার্ডওয়্যারই নয়, নেটওয়ার্কের সঙ্গে যে কোনো একটি কম্পিউটারে কোনো প্রয়োজনীইয় সফটওইয়্যার রাখলে প্রয়োজন অনুসারে নেটওয়ার্কের অন্য যে কোনো কম্পিউটারে সেটি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া File, Program বা বিভিন্ন প্রকার তথ্যকে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে থেকে অন্য কম্পিউটারে বন্টন করা যায়।

(ii)  তথ্যর সুরক্ষা (Information Proctetion)

 নেটওয়ারকিং ব্যবস্থায় প্রতিটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে একটি স্বতন্দ্র নাম ও পাসওয়ার্ড (Password) বরাদ্দ করা হয়। ব্যবহারকারী যদি ওই নেটওয়ার্কের রিসোর্স ব্যবহার করতে চায় তা হলে অবস্যই তাকে ঐ বরাদ্দকৃত নাম ও পাসওয়ার্ড নির্ভুলভাবে ব্যবহার করতে হবে। ফলে নেটওয়ার্ক ব্যবহার এর জন্য অনুমোতিদ নয় এমন কেউ ইচ্ছে করলেই সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি পাবে না।

(iii) তথ্য সংরক্ষন (Information Preservation)

নেটওয়ারকিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি কেন্দ্রিয় স্টোরেজ মিডিয়া বা সার্ভার নেটওয়ার্ক ক্লায়েন্ট যাবতীয় তথ্য সংরক্ষন করতে পারে। তথ্য সংরক্ষনের এই প্রক্রিয়াকে ডেটা ব্যাকআপ বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্টোরেজ মিডিয়া বা সার্ভারে তথ্য সংরক্ষনের ফলে গুরুত্বপুর্ন তথ্যর হঠাৎ বিনষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক কম। 

(iv) তথ্যর আদান-প্রদান (Data Transmission) 

তথ্য আদান-প্রদানের জন্যিই মুলত নেটওয়ারকিং ব্যবস্থার প্রচলন । একদিকে আমরা যেমন কয়েক মুহর্তের মধ্যে ই-মে-এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে তথ্য (চিঠি) পাঠাতে পারি বা সেখান থেকে তথ্য গ্রহন করতে পারি অপরদিকে তেমনই একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে বসে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের একাধিক অফিসের সঙ্গে নেট-মিটিং বা ভিডিও কনফারেন্স করতে । বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্তা যে কোনো প্রয়জনীয় তথ্যকে তৎক্ষনাৎ ব্যবহারকারির সামনে উপস্থিত করতে পারে । 

(v) বার্তা বা মেসেজ আদান-প্রদান (Exchange Message) 

একটি অফিসের মধ্যে একস্থান থেকে অন্নস্থানে কাগজে কোনো তথ্য, ডকুমেন্ট বা বার্তা আদান-প্রদান একদিকে যেমন সময় সাপেক্ষে অন্যদিকে ব্যবহুলও । নেটওয়ার্কভুক্ত ক্লায়েন্ট একে অপরের সাথে ইলেকট্রনিক মেল বা ই-মেল এর সাহায্য খুব সহজেই ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারে । এরফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং ডকুমেন্টের নিরাপত্তাও বজায় থাকে ।

 

২.২ নেটওয়ার্কের প্রয়োগ (Aplicantion of Network) :

নেটওয়ার্কিং সবচেয়ে বেশি যে সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল -

i) ই-মেলের সাহায্য বেশি যে সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল -

(ii) একটি কপিউটার থেকে অন্য যে কোনো কম্পিউটারে ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি, গান ইত্যাদি পাঠানর জন্য ।

(iii) বর্তমানে ব্যাংক পরিষেবায় C.B.S (Core banking service) চালু হয়েছে । এটি নেটওয়ার্কিং-এর একটি গুরুত্বপুর্ন অবদান ।

(iv) নেটওয়ার্কিং-এর আরো একটি সফল প্রয়োগ হল ইন্টারনেট । এর সাহায্য সারা বিশ্বের যে কোনো তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারি।

(v)নেটওয়ারকিং ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বর্তমানে ওয়েব পেজ ডিজাইন- এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে তাদের উৎপাদিত পন্যের বিজ্ঞাপন করে ।

(vi)নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে চ্যাটিং (Chatting), নেটসর্ফিং এবং অতি সম্প্রতি (Twitter) লিখন ইত্যাদি খুব জনপ্রিয়

(vii) নেটওয়ার্কিং ব্যবস্তার মাধ্যমে ইন্টারনেটে দ্রব্য সামগ্রি কেনাবেচা (Internet Shopping), লগ্নি (Investment) করা এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক কাজ কর্ম করা হয় ।

এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন নতুন নতুন ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কিং সফল্ভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছ

 

২.৩ অ্যানালগ ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন (Analog and Digital Communication) :

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের মৌলিক উদ্দেশ্যই হল দুপ্রান্তে অবস্থিত দুটি ডিভাইস বা যন্ত্রের মধ্য তথ্য আদান-প্রদান করা । এই সিস্টেমের অংশগুলি হল ডেটার উৎস (Data source), প্রেরক (Sender) ট্রান্সমিশন মাধ্যম (Transmission media), গ্রাহক (Receiver) এবং গন্তব্য (Destination)। ডেটা বিভিন্ন ধরনের যেমন - অডিও, ভিডিও, টেক্সট গ্রাফিক্স ইত্যাদি হতে পারে । কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডেটা বৈদ্যুতিন সঙ্কেত বা ইলেক্ট্রিকাল সিগন্যালরুপে পেরিত হয় । সময়ের সাথে ভোল্টেজের ওঠানামা বা পরিবর্তনকে বৈদ্যুতিন সংকেত বা ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল বলে । ইলেক্ট্রিকাল সিগন্যালকে দুইভাগে ভাগ করা যায় । যেমন - অ্যানালগ সিগন্যাল ও ডিজিটাল সিগন্যাল ।

..A. অ্যানালগ সিগন্যাল  (Analog Singnal) :

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অ্যানালগ সিগন্যালই ব্যবহার করে থাকি । এটি মুলত ভয়েস কমিউনিকেশন এর জন্য ব্যবহিত হয় (যেমন -টেলিফোনে কথা বলা) । এটি প্রকৃত অর্থে ইলেক্ট্রম্যগনাটিক ওয়েভ (Electromagnetic wave) সমন্বয়ে গঠিত । ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভফরম সাধারণত তিনটি বৈশিষ্টগুলি হল -

(i) অ্যামপ্লিচ্যুড (Amplitude) : অ্যামপ্লিচ্যুড কোনো সিগনালের ক্ষমতা বা ওয়েভের বিস্তার পরিমাপ করে । ওয়েভের উচ্চতা যত বেশি হবে সংকেতের শক্তি তত বেশি হবে ।
(ii) ফ্রিকোয়েন্সি (Frequency) : প্রতি সেকেন্ডে যে কোনো সংকেত যতগুলি ওয়েভ তৈরি করে সেটিই হল তার কম্পাঙ্ক বা ফ্রিকোয়েন্সি ।
(iii) ফেস (Phase) : ওয়েভ ফেস ব্যবহার করতে হলে একাধিক নমুনা প্রয়োজন । কারন দুটো ওয়েভের একটিকে বলা হয়  রেফারেন্স ওয়েভ অন্যটি হল পরিক্ষাধীন ওয়েভ । ওয়েভ উৎপন্ন হবার পর রেফারেন্স ওয়েভের সাপেক্ষে পরিক্ষাধিন ওয়েভ সিগনালের আপেক্ষিক অবস্থানিই হচ্ছে ফেস ।

সুবিধা (Adventages) :
(i) ভিডিও ও অডিও ডেটা পেরণের জন্য অ্যানালগ সিগন্যাল খুবই উপযোগী ।
(ii) পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে অ্যানালগ সিগনালিং সিস্টেম পাওয়া যায় ।
(iii) বাইরের বা অন্যন্য সিগনালের শব্দ এই সিগন্যালকে বিশেষ প্রভাবিত করে না ।

২.৩.২     B. ডিজিটাল সিগন্যাল (Digital Signal) :
এক কম্পিউটারের সঙ্গে অন্য কম্পিউটারের যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল সংকেত বা সিগন্যাল । ডিজিটাল সিগন্যাল শুধুমাত্র বাইনারি দুটি অঙ্ক 1ও0 -এর সমন্বইয়ে গঠিত । সমস্ত 


ডিজিটাল সিগন্যালকে দুইভাগে ভাগ করা হয় । কারেন্ট স্টেট  এনকোডিং ও স্টেট ট্রানজিশন এনকোডিং । কারেন্ট স্টেট এনকোডিং এর ক্ষেত্রে প্রতিমুহুর্তে ভোল্টেজের প্রবাহ দেখা নির্ধারন করা হয় সেটি 1হবে না 0 হবে ।

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment