logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

আউটসোর্সিং কী? কিভাবে আউটসোর্সিং শিখবেন? কোন কাজ আউটসোর্সিং-এ করা যেতে পারে?


আউটসোর্সিংঃ

  • অনলাইনে আয় করার আউটসোর্সিং নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে অনেক কৌতূহল রয়েছে। আমরা অনেকেই মনে করি অনলাইনে আয় করার জন্য আউটসোর্সিং করা দরকার! আর বেশিরভাগ মানুষ আউটসোর্সিংকে শুধুমাত্র ইন্টারনেট থেকে আয় হিসেবেই বোঝেন। কিছু লোক আছে যারা মনে করে যে তাদের মূল কাজের বাইরে অনলাইনে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করাকে আউটসোর্সিং বলে। অর্থাৎ মূল আয়ের উৎসের বাইরে আরেকটি আয় ধরা হয় আউটসোর্সিং হিসেবে! আউটসোর্সিংকে সরাসরি সংজ্ঞায়িত না করে, আমি একটি উদাহরণের মাধ্যমে আউটসোর্সিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। উদাহরণগুলো পড়ার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আউটসোর্সিং কি।
  • এক কথায়, আউটসোর্সিং মানে হচ্ছে একজনের উৎসের বাইরে অন্য উৎস থেকে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করা। অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কাজকে আউটসোর্সিং বলে। আর যারা আউটসোর্সিং এর এই কাজটি করেন তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
  • কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুধুমাত্র ইন্টারনেট এবং ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমেই করা হয়, কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নয়। অনলাইন ছাড়াও অফলাইনের মাধ্যমে কোম্পানিতে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ না দিয়ে, যোগাযোগের মাধ্যমে কোম্পানির কোনো কাজ করাও আউটসোর্সিংয়ের আওতায় আসে।

আউটসোর্সিং এর সুবিধাঃ

  • আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে, ক্রেতারা খুব প্রতিযোগিতামূলক হারে এবং কখনও কখনও স্বল্প মজুরিতে কাজ করতে পারে যা নিয়মিত কর্মচারীদের মাধ্যমে করা হলে অনেক বেশি ব্যয় হত।
  • ক্রেতারা টাইম জোন-এর সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারেন। বিশ্বের এক প্রান্তে যখন রাত অন্য প্রান্তে তখন দিন ফলে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করালে বায়ারগণ যখন ঘুমে বিভোর তখন অন্য প্রান্তে তার কাজটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে। এতে সময়ের সদ্বব্যবহার করা যায়। ক্রেতারা হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
  • ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসে কাজ করতে পারেন। ফলস্বরূপ, অনেকে ফুল-টাইম চাকরির পাশাপাশি অবসরে খণ্ডকালীন চাকরি হিসাবে আউটসোর্সিংয়ে নিযুক্ত হতে পারে।
  • বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে কাজ আনা যেতে পারে বলে প্রচলিত শ্রমিকের কোন প্রয়োজন নেই।
  • ক্রেতা খণ্ডকালীন কাজ করার জন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারেন।
  • আউটসোর্সিং-এর ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে কোনো অফিস নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ফলে বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা যেমন
  • কর্মীদের বসার সুবিধা, উন্নতমানের কম্পিউটার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রয়োজন নেই। এতে খরচ বাঁচে।
  • ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আর্থিকভাবে নিজেদের উন্নতি করতে পারে। এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ আয়ের সুযোগ রয়েছে।
  • আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
  • তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ চালিত হওয়ার কারণে কাজের গুণমান উন্নত হয়। পরবর্তী চাকরি পাওয়ার আশায় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্ব দক্ষতা দিয়ে প্রতিটি কাজকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করে।

কোন কাজ আউটসোর্স-এ করা যেতে পারে:

আউটসোর্সিংয়ের জন্য বিভিন্ন কোর্স রয়েছে। আপনি যেকোন কোর্স সম্পন্ন করার পর আউটসোর্সিং শুরু করতে পারেন। কোর্সগুলো হল:

  1. SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান)।
  2. ওয়েব ডিজাইন।
  3. অটোক্যাড।
  4. গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  5. ডিজিটাল মার্কেট।
  6. অ্যানিমেশন ডিজাইন।
  7. ডেটা টাইপিং ইত্যাদি। এছাড়াও আপনার লেখার অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

কিভাবে আউটসোর্সিং শিখবেন:

আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবেন তা প্রায় সবারই একটি কমন প্রশ্ন। উত্তর হল, আউটসোর্সিং শেখার তিনটি উপায় রয়েছে। আপনি তিনটি পদ্ধতির যেকোনো একটি অবলম্বন করে কাজ আউটসোর্স করা শিখতে পারেন। তিনটি উপায় হল:

  1. যেকোন প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং কোর্স সম্পন্ন করা।
  2. YouTube ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে শেখা।
  3. ব্যাক্তিগতভাবে কারও কাছে আউটসোর্সিং কাজ শেখা।

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment