logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

Mobile Marketing (মোবাইল মার্কেটিং)


   বর্তমানে মোবাইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি প্রয়োজনীয় দিক৷ বর্তমানে মোবাইল ছাড়া মানুষ কিছুই বুঝেনা৷ এর সব থেকে বড়ো কারন হল আমরা আমাদের সমস্ত কাজ যেমন- Shopping, Ticket Booking, Medicine, Fees Payment ইত্যাদি মোবাইলের মাধ্যমে করি৷ এমনকি eBay ও অ্যামাজনের মতো ইত্যাদি কোম্পানিগুলো অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে মোবাইল ডিজিটাল স্পেসে তাদের ব্যবসায় প্রসারিত করছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মোবাইল হচ্ছে প্রতিটি মানুষের চোখের মনি৷ মানুষ একদিন খাবার না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু মোবাইল ছাড়া থাকা বড়ই কঠিন৷ তাই বড় বড় কোম্পানি অথবা ছোট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উভয়ই কিন্তু তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জন্য মোবাইল কে বেছে নিয়েছেন কারণ আজ বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি ব্যক্তির কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে৷

   মোবাইল মার্কেটিং অনলাইন বিজনেস কে অন্য একটি লেভেল এ নিয়ে গেছে৷ কেননা এটি ব্যবসার নকশা ও ধরন পুরোপুরি বদলে দিয়েছে৷ মোবাইল মার্কেটিং এর দ্বারা মার্কেটিং করে কাস্টমারদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় এবং এর সাথে আপনি market trends গুলিতে আরো বেশি করে Exposure পাবেন যা আপনাকে আপনার বিজনেস বা প্রতিষ্ঠানটিকে  বাড়াতে সাহায্য করবে৷

   তাই আপনারা যদি আপনার কোম্পানিকে বাড়াতে চান নিজের একটা পরিচিতি গড়তে চান তাহলে মোবাইল মার্কেটিং আপনার জন্য একদম সঠিক একটি জায়গা৷ চলুন তাহলে মোবাইল কে কেন্দ্র করে কিভাবে অনলাইন মার্কেটিং করবেন এর গুরুত্ব সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়ক তথ্য জেনে নেওয়া যাক৷ 

 

মোবাইল মার্কেটিং কি?

   মোবাইল মার্কেটিং হচ্ছে Advertising Activity যা ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনের মতো মোবাইল ডিভাইসের দ্বারা পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করা হয়৷ আধুনিক মোবাইল প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য গুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সাধারণত কোন মানুষের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে পণ্য বা সেবা প্রচারের উদ্দেশ্যে৷ মোবাইল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে ক্রমাগত নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকা কোনো ব্যবহারকারীর কাছে পণ্য বা পরিষেবার Personalized Promotion তৈরি করা যেতে পারে ৷

   সহজ অর্থে, মোবাইল মার্কেটিং হচ্ছে সাধারণত একটি মাল্টি চ্যানেল৷ ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যেখানে মূলত মোবাইল ডিভাইস যেমন - স্মার্টফোন,  হ্যান্ডহেল্ড ইত্যাদির মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়৷
কয়েক বছর আগে অব্দি অনলাইন মার্কেটাররা মার্কেটিংয়ের জন্য নির্ভর করত Website, Blog, Web Application-এর উপর৷ কারণ তখন Desktop Computer-এর মাধ্যমে Internet Access করতেন অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী৷ এখন সময় পাল্টেছে কিছুই আর আগের মত নেই৷ বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে যার জন্য মার্কেটাররা এখন খুব বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মোবাইল মার্কেটিং এর প্রতি৷

 

কিভাবে মোবাইল মার্কেটিং কাজ করে?

   মোবাইল মার্কেটিং এ SMS (টেক্সট মেসেজিং), MMS (মাল্টি মিডিয়া মেসেজিং) এর সাহায্যে প্রেরিত বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহার করা হয়৷ অর্থাৎ, আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো একটি সংস্থার তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশন বা ইন গেম মার্কেটিং এর মাধ্যমে ও মোবাইল ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে অথবা QR কোড গুলি স্ক্যান করার জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রেরিত প্রচার গুলোর মাধ্যমে মোবাইল মার্কেটিং করতে পারেন৷

   এছাড়াও Proximity System এর মাধ্যমে ভৌগলিক অবস্থান ভিত্তি করে বিভিন্ন সার্ভিস সম্পর্কে মোবাইল ব্যবহারকারীকে অবগত করার উপায়ে মার্কেটিং করা যেতে পারে৷ উদাহরণ স্বরূপ- ধরুন, আপনি এমন একটি জায়গায় বেড়াতে গেছেন সেখানকার কোন কিছুই আপনার চেনা বা জানা নেই এবং আপনি সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন৷ সেই অবস্থায় আপনি কিন্তু Proximity System এর মাধ্যমে কাছাকাছি Restaurent বা দোকান সম্পর্কে জানতে পারবেন৷

   মোবাইল Advertising ব্যবহারকারীদের ভৌগোলিক স্থান নয় বরং টার্গেট করা হয় অনলাইন কার্যকলাপের ওপর৷ Mobile Marketing-এর ক্ষেত্রে Screen Size কিন্তু একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে৷ যেমন- স্মার্টফোনের চেয়ে iPad Screen-এ কোনো Ads বা বিজ্ঞাপন দেখলে দর্শক অন্যরকম ভাবে রিয়াক্ট করে৷

   মোবাইল মার্কেটিং এ মোবাইল, স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট, বা অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলি থাকে৷ এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলির ফর্ম্যাটগুলো কাস্টমাইজেশন এবং Style গুলো আলাদা হয়৷ কারণ, অনেকগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে তাদের নিজস্ব ইউনিক এবং যথাযথ উপযুক্ত মোবাইল বিজ্ঞাপনগুলি সরবরাহ করে থাকে৷ অনলাইন শপিং অথবা কোন পণ্যের বিজ্ঞপ্তির জন্য মোবাইল advertisement হতে পারে দারুণ একটি উপযোগী মাধ্যম৷

   এছাড়াও কাস্টমারদের পছন্দ-অপছন্দ মোবাইল ইউজারদের স্বভাব পুরোপুরি জানতে ব্যবহৃত মোবাইল প্লাটফর্ম অনুযায়ী কৌশল ডিজাইন ও মোবাইল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কৌশল বা উপায়গুলি আয়ত্ত করার জন্য প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন৷

 


চলুন এবার জেনে নেই মোবাইল মার্কেটিং করার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে৷

মোবাইল মার্কেটিং করার কৌশল :-

   মোবাইল মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিংকে বোঝায়৷ অর্থাৎ এর মধ্যে অনেক strategies আছে৷ তবে সব strategy সবক্ষেত্রে ভালো কাজ করে না বললেই চলে৷  একেক ধরনের স্ট্র্যাটেজি এক এক ব্যবসার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে৷ তাই স্ট্যাটেজি বাছার জন্য সবসময় মনে রাখা প্রয়োজন কোন শিল্প, কি ধরনের অডিয়েন্স কে টার্গেট করা হচ্ছে এবং বাজেটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে৷

   বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩ বিলিয়নেরও অনেক বেশি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে প্রতিমাসে৷ এমন অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র SMS প্রচার হিসেবে মোবাইল মার্কেটিং কে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন৷  SMS ক্যাম্পেইনটি প্রাচীনতম মোবাইল মার্কেটিং হলেও এটি একমাত্র মোবাইল মার্কেটিং এর উপায় নয়৷ সম্প্রতি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করার আরও বিভিন্ন ধরনের রয়েছে৷ সেগুলো সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-

১) SMS মার্কেটিং :- SMS মার্কেটিং হচ্ছে কাস্টমারদের সংক্ষিপ্ত টেক্সট ম্যাসেজ পাঠানোর মাধ্যম৷ মার্কেটাররা কাস্টমারের মোবাইলের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করার উদ্দেশ্যে এসএমএস পাঠিয়ে থাকেন৷ যেমন- কখনো কখনো কোন প্রোডাক্ট এর ডিসকাউন্ট এর কথা উল্লেখ করে বা বিভিন্ন স্কলারশিপ সম্পর্কে মেসেজ পাঠানো হয় ৷
           সহজ অর্থে, এসএমএসের মাধ্যমে advertisers রা user রা মোবাইল ডিভাইসে নিজস্ব পণ্য-সামগ্রীর Ads পাঠাতে পারে৷ যাতে interested users সে জিনিস গুলি সম্পর্কে জেনে কিনতে পারে৷ 
৯০ দশকের সময়ে প্রথম মোবাইল ফোন প্রকাশিত হয়৷ তাই প্রথম দিকে শুধুমাত্র টেক্সট মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করার কাজ হতো৷ আস্তে আস্তে যুগ পাল্টেছে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানান ধরনের প্রযুক্তি৷ তাই মোবাইলে এখন আর এস এম এস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পাঠানোতেই সীমাবদ্ধ নেই ৷
        তবে যাই হোক, এখনো কিন্তু এসএমএস মার্কেটিং অধিক জনপ্রিয়৷ এর কারণ কাস্টমারের কাছে দ্রুত বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়৷ কেননা মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে এসএমএস আসা মাত্র সমস্ত বার্তাগুলো তৎক্ষণাৎ দেখেন৷ তাই বর্তমানে এর ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

২) MMS মার্কেটিং :- বর্তমানে এসএমএস মার্কেটিং এর পরিবর্তে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এমএমএস মার্কেটিংকে বেছে নিয়েছে৷ কারণ এমএমএস এর মাধ্যমে কাস্টমারকে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্ট গুলিকে ভিডিও, অডিও, এবং ছবির মাধ্যমে দেখাতে পারে যাতে গ্রাহকরা সেগুলোর প্রতি আকৃষ্ট বেশি করে হয়৷ যা এসএমএস এ দেখানো কখনোই সম্ভব নয়৷
               তবে এমএমএস মার্কেটিং এর কিছু  মার্কেটিং এর কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়৷ যেমন- এটি এসএমএস মার্কেটিং এর তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল। 
তাছাড়া কিছু মোবাইল ফোনে এমএমএস বার্তা  গুলো গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না৷ আজকাল অনেকের কাছে এমনও মোবাইল রয়েছে যেগুলি কেবলমাত্র এসএমএস -ই গ্রহণ করতে পারে৷

৩) মোবাইল পুশ নোটিফিকেশন :- এটি মোবাইল ডিভাইসে কোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পাঠানো একটি বার্তা৷ যারা আপনার অ্যাপটি ইনস্টল করেছে তাদেরকে পুশ বিজ্ঞপ্তি গুলো পাঠাতে পারেন৷ এটি টেক্সট মেসেজ এর মতই তবে এগুলি একটি অ্যাপ থেকে আসে৷ পুশ বিজ্ঞপ্তিগুলি প্রথমে টেক্সট এর আকারেই ছিল এবং এতে কখনো কখনো ইমোজিও থাকতো৷ কিন্তু বর্তমানে এসবের পাশাপাশি ছবি, ভিডিও এবং শব্দ মিলিত হয়েছে৷ কোন পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, personalized offer reminder, সংবাদ, কোন এপ্লিকেশন এর কার্যকারিতা ও ব্যবহার কারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করা হয়ে থাকে মোবাইল পুশ নোটিফিকেশন৷

৪) মোবাইল অ্যাড স্ট্রাটেজি :- ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মত অন্যান্য বেশকিছু প্ল্যাটফর্ম গুলি বর্তমানে মোবাইল বিজ্ঞাপন ফর্ম্যাটগুলির শর্তাবলী পূরণ করছে৷ তাই মোবাইল মার্কেটিং করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা হল সোশ্যাল মিডিয়া৷ ইনস্টাগ্রাম হল মার্কেটিং করার একটি জনপ্রিয় স্থান৷ এবং অপরদিকে বিশ্বব্যাপী ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় সকলেই তাদের মোবাইল ডিভাইস থেকে এটি অ্যাক্সেস করেছে৷ তাই মোবাইল মার্কেটিং করতে চাইলে আপনি চোখ বন্ধ করে টার্গেট করতে পারেন ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামকে৷

৫) অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটিং :- অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোর এবং আইফোনের অ্যাপ স্টোর প্রবর্তনের পরে বিভিন্ন অ্যাপস এখন তাদের অ্যাপ্লিকেশন বিকাশের প্রবণতায় দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কোনও গ্রাহকের সাথে সংযোগ স্থাপনের একটি সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটিং৷
 কিছু এমন অ্যাপ্লিকেশন আছে যা বিনা মূল্যে ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারেন। তবে কিছু অ্যাপের জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হয়৷

৬) মোবাইল গেমস মার্কেটিং :- এটি হল সেই সমস্ত মোবাইল বিজ্ঞাপন যেগুলি মোবাইল গেমস এর মধ্যে appear হয় ৷ এগুলিতে pop-ups, full-page, image ads বা video ads বিজ্ঞাপনগুলি প্রচার করা হয়৷ এবং Screen Loading এর সময়ে এগুলি দেখানো হয়ে থাকে৷

৭) QR Codes বা বারকোড :- এগুলি এমন কোড যা মোবাইল ব্যবহারকারীরা এগুলির সাহায্যে Specific web page এ পৌঁছায় এবং advertiser রা এই QR codes এর মধ্যে Ads include করে যাতে মোবাইল ব্যবহারকারীরা ওই QR codes টি Scan করলে প্রথমেই advertiser এর ads টি দেখতে পাই৷

৮) Mobile Search Ads:-  Google search Ads হল যা mobile screen এর আকার তৈরি করা হয়৷

৯) Mobile Image Ads :- image based ads গুলিকে যখন মোবাইলের জন্য ডিজাইন করা হয় যাতে screen size এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মোবাইল ডিভাইসে show হতে পারে৷ আর এই প্রক্রিয়াকেই mobile image ads বলা হয়৷

১০) মোবাইল ইন্টারনেট মার্কেটিং :- এটি এমন একটি কৌশল যা কিনা ফোনের ব্যবহারের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) সাথে যুক্ত৷ একে সাধারণত ক্লাসিক ওয়েব পপ আউট বিজ্ঞাপন বলে৷ মোবাইল ইন্টার্নেট মারকেটিং এককথায় মোবাইল মার্কেটিং নামে পরিচিত৷ মোবাইল ইন্টার্নেট মারকেটিং ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন ও সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি৷ বর্তমানে ইন্টারনেটে প্রবেশ করার জন্য মোবাইল ফোনেই সবাই বেশি ব্যবহার করে থাকে৷ তাছাড়াও মোবাইল ইন্টারনেট মার্কেটিং এর দ্বারা কিন্তু খুব সহজেই এবং দ্রুত গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় এবং ভোক্তাদের কাছে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়া যায়৷

১১) Google Mobile Ad Extensions:- 
google এর সহায়তায় যদি আপনি mobile search ads বানান সেক্ষেত্রে কিন্তু গুগল এরই অন্য একটি mobile ad extension আছে যেটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন৷ যা কাজটিকে আরো সহজ করে তুলতে সাহায্য করবে৷

১২) Location Based মার্কেটিং :- Specifie মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এটি সাধারণত৷ কেননা সব ads শুধুমাত্র তখনি Show করে যখন user targeted location এ অবস্থান করে ৷ আর Ad গুলি সেই সমস্ত কোম্পানি কে দেখায় যারা location এর মধ্যে রয়েছে৷

১৩) প্রক্সিমিটি মার্কেটিং :- এই কৌশলটি ব্লুটুথ এবং জিপিএসের একীকরণের অনুমতি দেয়, এর সাধারণত অর্থ হল এটি ব্যবহারকারীর প্রতিষ্ঠার নৈকট্য পরিচালনা করে৷ এবং নিশ্চিত আনুগত্য পাওয়ার জন্য তাদের কিছু প্রচার এবং ছাড় অফার করে থাকে৷

 

মোবাইল বিপণন Best Practices কী?

    মোবাইল মার্কেটিং করে সফলতা পেতে হলে কিছু দিক আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ এখানে আমি বেশ কিছু কার্যকরী মোবাইল মার্কেটিং এর টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব৷ চলুন সেগুলি জেনে নেই -

১) আপনাকে Clear And Concise হতে হবে :- আমরা সবাই জানি মোবাইল ডিভাইসের Screen বেশ অনেকটাই ছোট হয়৷ তাই আমাদের প্রতিটা শব্দ সতর্কতার সঙ্গে চিন্তা করে লিখতে হবে৷ সুতরাং, আমাদের Ads গুলি খুব Clear and Concise আকারে লিখতে হবে যাতে ব্যবহারকারীরা খুব সহজে পড়তে পারে৷

২) Local Search অনুসারে Ads গুলি Optimize করতে হবে :- আমি আগেই বলেছি প্রতি ৩ Search এ ১ Search লোকাল আছে৷ তাই আমাদের Local Searches গুলি খুব যত্ন করা প্রয়োজন৷ যাতে কিনা আরোও users Locally ভাবে আসেন৷

৩) আপনার অডিয়েন্স দের ইম্পর্টেন্স দিন :- আমাদের গ্রাহকদের সনাক্ত করতে হবে৷ পছন্দ-অপছন্দগুলো জানতে হবে৷ কোন visitor ঠিক কোন domain নের কথা উল্লেখ করছে সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ যেমন- যদি গেমার থাকে তবে তাকে ইন গেম অ্যাডস প্রমোট করা উচিত৷  আর যদি টেকনোলজি জ্ঞান থাকে তাহলে তাকে প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন সরবরাহ করতে হবে৷

৪) Different Strategies নিয়ে Experiment করতে হবে :-  আপনি কোন স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করে দেখে বলতে পারেন কোনটি আপনার পক্ষে কার্যকর৷ অর্থাৎ Experiment করে আপনি জানাতে পারবেন৷

৫) আপনার রেজাল্ট পর্যালোচনা :- Experimenting নিরীক্ষা ভালো ব্যাপার৷ তবে আপনি যদি নিজস্ব এক্সপেরিমেন্ট ফলাফলগুলি track না করেন তবে এটির জন্য আপনার ক্ষতি হতে পারে৷ তাই আপনি যদি বিশ্বাস করেন তবে আপনার রেজাল্ট গুলি পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজনীয় হিসেবে এটি পরিবর্তন করুন৷

৬) অপ্রীতিকর ধারণা দেবেন না :- ব্যক্তিগত সেল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য .ব্যক্তিগত মিডিয়া প্রচারণা চালানোর সময়, একজনকে অবশ্যই সাধারণ জনগণের কাছে বিরক্তিকর বা অপছন্দনীয় ধারণা বা চিত্রগুলির সাথে এতটা হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য সামাজিক, ধর্মীয়, যৌন বা অর্থনৈতিক প্রবণতার জন্য সম্মান প্রদর্শন করা অতি আবশ্যক।

৭) লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:- প্রথম যা করতে হবে তা হল আপনি কতদূর যেতে চান সেই লক্ষ্যগুলি ডিজিটাল কৌশল অর্জনের অনুমতি দেয় কি না জানুন। এবং তারপর স্পষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবসম্মত এবং নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন৷

 

মোবাইল মার্কেটিং Privacy And Security :- 

   আমরা কখনোই কিছু Privacy এবং Security কে উপেক্ষা করতে পারিনা৷ কেননা আমাদের ব্যবহারকারীর Contact Number এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য ভালোভাবে যত্নসহকারে রাখতে হবে৷ অর্থাৎ মার্কেটারদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যেন ইউজারদের কোনরকম ডিটেলস কখনো কোন ভুল হাতে না পরে৷ এর জন্য আপনি একটি স্টেপ অবলম্বন করতে পারেন৷ যথা-

  1. যেকোনো পরিস্থিতিতেই কখনো কাস্টমারদের মূল্যবান তথ্য কারো সাথে শেয়ার করে নিবেন না৷
  2. মার্কেটারদের অবশ্যই ইউজার কারীদের বার্তা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া থাকতে হবে৷ ব্যবহারকারীদের তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এই প্রক্রিয়াটি Enable বা Disable করার অপশন থাকা প্রয়োজন৷ তাহলে তাদের আপনার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাস বাড়বে৷

মোবাইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

   গবেষণায় দেখা গেছে কমপক্ষে ৭৯% লোক প্রতিনিয়তই তাদের ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। প্রতি ঘন্টায় সবারই তাদের ফোন দেখার অভ্যাসের কারণে মার্কেটাররা মোবাইল মার্কেটিং বেশি কার্যকর বলে মনে করেছেন। এছাড়াও, একটি অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে যে মার্কেটাররা এর মাধ্যমে তাদের গ্রাহকের কাছে যেকোনো সময়ে পৌঁছাতে পারে।

   বর্তমান সব জায়গায় মোবাইলের ব্যবহার দিনে দিনে বেড়েই যাচ্ছে। শপিং থেকে শুরু করে চিকিৎসা সব কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এখন মোবাইলের মাধ্যমে ইন্সটাগ্রাম ও ফেসবুক থেকে সবাই কেনাকাটা করছে এতে আগের তুলনায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েব পেজ তৈরি এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ফলে ক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সুবিধা হচ্ছে।

    সকলেই তাদের মোবাইল সবসময় নিজের কাছে রাখে এবং তারা সব জায়গায় মোবাইল ব্যবহার করে। কিছু ক্রেতা যখন কিছু কেনাকাটা করার জন্য তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পণ্য গবেষণা করেন। তারা যখন কোনো দোকানে প্রবেশ করেন তখনও তা থেমে থাকে না। তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং পণ্যের দামের তুলনা করতে তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। মোবাইল বিজ্ঞাপন এবং এসএমএস মার্কেটিং খুচরা বিক্রেতাদের জন্য একটি ভাল উপায় হিসেবে গণ্য হয়েছে৷ এরকম আরো বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলোর জন্য মোবাইল মার্কেটিং বর্তমান যুগে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

মোবাইল মার্কেটিং এর সুবিধা :- 

মোবাইল মার্কেটিং এর অনেকগুলি সুবিধা রয়েছে৷ তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল-

  • এই অ্যাপ্লিকেশন মাধ্যমে অনেক সুবিধার মধ্যে, একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হচ্ছে এটি প্রচারকারী এবং ভবিষ্যতের ক্লায়েন্টের মধ্যে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ মিলনকে কার্যকর করে তোলে৷
  • মোবাইল মার্কেটিং ইভেন্টের সময় বিপণন কার্যক্রম এবং গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করে৷
  • উন্নতি এবং পরিমাপ করতেও সাহায্য করে।
  • এটি যা বিনিয়োগ করা হয়েছে তার উপর একটি রিটার্ন তৈরি করে, যা ঐতিহ্যগত বিপণনের চেয়ে অনেক বেশি। ইত্যাদি

 

মোবাইল মার্কেটিং এর অসুবিধা :-

 মোবাইল মার্কেটিং এর সুবিধা সাথে সাথে বেশ কিছু অসুবিধাও লক্ষ্য করা যায়৷ তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা হল -

   এটি ব্যবহারের সময়, প্রতিটি সুবিধাভোগী বা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং সামাজিক ক্রিয়া বহিরাগত বা দুর্বল হতে পারে যদি বিপণনের বিষয়বস্তু খারাপভাবে প্রক্রিয়া করা হয়।

   সবশেষে, একটাই কথা বলতে পারি ব্যবসার ক্ষেত্রে মোবাইল মার্কেটিং হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগী একটি মাধ্যম৷ সঠিক কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মোবাইল মার্কেটিং করতে পারেন৷ এবং এই মোবাইল মার্কেটিং ব্যবহার এমন করে ব্যবসার উন্নতি বাড়তে পারে এবং একটি কোম্পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারে ইত্যাদি৷ তাই দেরি না করে মোবাইল মার্কেটির শুরু করে দিন এটি অত্যন্ত লাভজনক৷

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment