logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

সাইবার ক্রাইম কী? সাইবার ক্রাইমের শাস্তি কী?


  • আপনি কি জানতে চান, সাইবার ক্রাইম কী? সাইবার ক্রাইমের শাস্তি কী? কিভাবে সাইবার অপরাধ হয়? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
  • আজকে এই প্রবন্ধে আমরা সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে যাচ্ছি। কিন্তু, সাইবার ক্রাইম কি তা জানার আগে আমাদের বুঝতে হবে সাইবার ক্রাইম আসলে কিভাবে হচ্ছে?
  • বর্তমান যুগে আমরা সবাই এই মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। এবং এই কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দক্ষতা শেখার জন্য, আমরা নিম্নলিখিত মূল্যবান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লগ ইন করি।
  • আমরা যখনই যে কোনো ওয়েবসাইটে লগইন করি তখনই আমাদের মূল্যবান তথ্য অর্থাৎ মোবাইল ফোন নম্বর, জিমেইল একাউন্টসহ অন্যান্য তথ্য ইন্টারনেট থেকে চুরি হয়ে যায় এবং সেই মোবাইল নম্বর বা জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ করে।
  • এই দশকে ইন্টারনেট ব্যবহার প্রতিনিয়ত চলে যাচ্ছে যার কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শুরু করেছে এবং যারা ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নয়, তারা প্রতিনিয়ত এই ফাঁদে পড়ছে।
  • তাই, আজকের নিবন্ধে আমরা সাইবার অপরাধ কী, কীভাবে সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।আপনি যদি ইন্টারনেটে ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ থেকে দূরে থাকতে চান তবে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য।

সাইবার ক্রাইমঃ

  • সাইবার ক্রাইম হল কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করে অন্য ব্যক্তির গোপন তথ্য যেমন ইমেইল আইডি, বিভিন্ন পাসওয়ার্ড, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি চুরি করা। এই তথ্য ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে সমস্ত অপরাধ সংঘটিত হয় তাকে সাইবার ক্রাইম বলে।
  • বিষয়টিকে আরও সহজভাবে বললে, আপনার গোপন তথ্য (মোবাইল নম্বর, জিমেইল অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এটিএম কার্ড নম্বর) ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করেন। যেমন:-

ATM Card:

  • আপনি যখন অনলাইনে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করার পরে ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা বিনিময় করেন, তখন আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যে কোনও ব্যক্তির কাছে যায় এবং আপনি সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। হতে পারে

Mobile number:

  • মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রচুর সাইবার ক্রাইম (সাইবার ক্রাইম) হচ্ছে, যারা এই অপরাধ করছে তারা বিশেষ করে বয়স্কদের টার্গেট করছে।

উপরে দুটি উদাহরণের মধ্যে, আপনি এটিএম(ATM) বা ডেবিট(Debit) কার্ড ব্যবহার করেন বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে শপিং করার জন্য এবং মোবাইল নাম্বার বিভিন্ন ব্যাংকের এখন খোলার জন্য। তাহলে ভাবুন, যদি কেউ আপনার এই মূল্যবান তথ্যগুলি চুরি করে নেয়। তাহলে ওই ব্যক্তি আপনারই মূল্যবান তথ্যগুলো ব্যবহার করে কোন ভুল কাজ করলে আপনি দায়ী হবে। তাহলে আশা করি, সাইবার অপরাধ (cyber crime) ব্যাপারটি আপনি বুঝতে পারলেন।

সাইবার ক্রাইম কত প্রকার ও কি কি:

সাইবার ক্রাইম তিনটি বিস্তৃত শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেগুলো হল:

  1. ব্যক্তিগত সাইবার ক্রাইম
  2. ডিজিটাল সাইবার ক্রাইম
  3. সরকারি তথ্যের সাইবার ক্রাইম।

উপরের বিভাগের উপর ভিত্তি করে, সাইবার অপরাধীরা অর্থ আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ব্যবহার করে। তারা হচ্ছে,

ব্যক্তিগত:

  • ব্যক্তিগত সাইবার অপরাধে, অপরাধীরা সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যেমন:- কোনো কুরুচিপূর্ণ উপায়ে ওই ব্যক্তির ছবি এডিট করে অশ্লীল ছবি তৈরি করা, ব্ল্যাকমেইল করা ইত্যাদি ব্যক্তিগত সাইবার অপরাধের আওতায় পড়ে।

সম্পত্তি সংক্রান্ত:

  • সম্পত্তি সংক্রান্ত সাইবার অপরাধ, আমরা প্রায়ই দেখি সাইবার অপরাধীরা কোথায়। ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য অবৈধভাবে চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে অপরাধী এই তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন নিরীহ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করে।এই ধরনের সাইবার অপরাধ বেশিরভাগই অনলাইনে দেখা যায়।

সরকারি তথ্য:

  • সরকারের তথ্যের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ তুলনামূলকভাবে বিরল, তবে এটি সবচেয়ে গুরুতর। সরকারের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোনো সাইবার অপরাধী যদি কোনো সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে তাহলে সেই দেশের অনেক গোপন তথ্য অপরাধীর কাছে ফাঁস হয়ে যাবে।
  • বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট, সামরিক ওয়েবসাইট ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অপরাধীর কাছে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একে সাইবার সন্ত্রাস বলা হয়।

সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধের শাস্তি কি:

  • অন্যান্য অপরাধের মতোই আজকের যুগে সাইবার ক্রাইমের শাস্তি খুবই কঠিন। ভারতে সাইবার অপরাধীদের দুই বছরের জেল বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment