যে বিষয়গুলিতে নেটওয়ারকিং সহায়তা করে অর্থাৎ নেটওয়ার্ক স্থাপনের সুবিধা গুলি হল-
(1) সম্পদের মিলিত ব্যবহার (Hardware resource sharing) -
একই নেটওয়ার্কএর সঙ্গে যুক্ত থাকলে যে কোনো ব্যবহারকারি বিভিন্ন ধরনের ইনপুট আউটপুট ও স্টোরেজ ডিভাইস যেমন - স্ক্যনার, ক্যমেরা,প্রিন্টার,ফ্যাক্স মেশিন হার্ডডিস্ক ইত্যদি যন্র গুলি শেয়ার (share) করতে পারে । শেয়ার্ড রিসোর্স, যা নেটওয়ার্ক রিসোর্স নামেও পরিচিত, কম্পিউটার ডেটা, তথ্য, বা হার্ডওয়্যার ডিভাইসগুলিকে নির্দেশ করে যা একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN) বা এন্টারপ্রাইজ ইন্ট্রানেটের মাধ্যমে দূরবর্তী কম্পিউটার থেকে সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়।
শুধুমাত্র কম্পিউটার হার্ডওয়্যারই নয়, নেটওয়ার্কের সঙ্গে যে কোনো একটি কম্পিউটারে কোনো প্রয়োজনীইয় সফটওইয়্যার রাখলে প্রয়োজন অনুসারে নেটওয়ার্কের অন্য যে কোনো কম্পিউটারে সেটি ব্যবহার করা যায় । এছাড়া File, Program বা বিভিন্ন প্রকার তথ্যকে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে থেকে অন্য কম্পিউটারে বন্টন করা যায়।
(2) তথ্যর সুরক্ষা (Information Proctetion) -
নেটওয়ারকিং ব্যবস্থায় প্রতিটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে একটি স্বতন্দ্র নাম ও পাসওয়ার্ড (Password) বরাদ্দ করা হয় । ব্যবহারকারী যদি ওই নেটওয়ার্কের রিসোর্স ব্যবহার করতে চায় তা হলে অবস্যই তাকে ঐ বরাদ্দকৃত নাম ও পাসওয়ার্ড নির্ভুলভাবে ব্যবহার করতে হবে । ফলে নেটওয়ার্ক ব্যবহার এর জন্য অনুমোতিদ নয় এমন কেউ ইচ্ছে করলেই সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি পাবে না
তথ্য সুরক্ষা তথ্য সুরক্ষিত করতে নিরাপত্তা সমাধান এবং অন্যান্য প্রযুক্তি, সেইসাথে প্রক্রিয়া এবং নীতি প্রয়োগ করে। দুর্ঘটনাজনিত ভুল, আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির বিরুদ্ধে আপনার তথ্য রক্ষা করুন—আপনার ক্লাউড পরিষেবা, ইমেল, এন্ডপয়েন্ট এবং অন-প্রিমিসেস ফাইল শেয়ার জুড়ে। লিভারেজ সাধারণ ক্লাসিফায়ার 10 বছর ধরে সম্মানিত। এবং একটি আধুনিক আর্কিটেকচারের সাহায্যে আপনার শেষ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে মূল্য দিতে এবং অপ্টিমাইজ করার জন্য দ্রুত সময় অর্জন করুন যা স্থাপন এবং বজায় রাখা সহজ।
(3) তথ্য সংরক্ষন (Information Preservation) -
নেটওয়ারকিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি কেন্দ্রিয় স্টোরেজ মিডিয়া বা সার্ভার নেটওয়ার্ক ক্লায়েন্ট যাবতীয় তথ্য সংরক্ষন করতে পারে । তথ্য সংরক্ষনের এই প্রক্রিয়াকে ডেটা ব্যাকআপ বলা হয় । কেন্দ্রীয় স্টোরেজ মিডিয়া বা সার্ভারে তথ্য সংরক্ষনের ফলে গুরুত্বপুর্ন তথ্যর হঠাৎ বিনষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক কম ।
(4) তথ্যর আদান-প্রদান (Data Transmission) -
তথ্য আদান-প্রদানের জন্যিই মুলত নেটওয়ারকিং ব্যবস্থার প্রচলন । একদিকে আমরা যেমন কয়েক মুহর্তের মধ্যে ই-মে-এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে তথ্য (চিঠি) পাঠাতে পারি বা সেখান থেকে তথ্য গ্রহন করতে পারি অপরদিকে তেমনই একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে বসে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের একাধিক অফিসের সঙ্গে নেট-মিটিং বা ভিডিও কনফারেন্স করতে । বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্তা যে কোনো প্রয়জনীয় তথ্যকে তৎক্ষনাৎ ব্যবহারকারির সামনে উপস্থিত করতে পারে ।
(5) বার্তা বা মেসেজ আদান-প্রদান (Exchange Message) -
একটি অফিসের মধ্যে একস্থান থেকে অন্নস্থানে কাগজে কোনো তথ্য, ডকুমেন্ট বা বার্তা আদান-প্রদান একদিকে যেমন সময় সাপেক্ষে অন্যদিকে ব্যবহুলও । নেটওয়ার্কভুক্ত ক্লায়েন্ট একে অপরের সাথে ইলেকট্রনিক মেল বা ই-মেল এর সাহায্য খুব সহজেই ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারে । এরফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং ডকুমেন্টের নিরাপত্তাও বজায় থাকে।
২.২ নেটওয়ার্কের প্রয়োগ (Aplicantion of Network) :