logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

25th December দিনটিকে কেন ‍‍‘বড়দিন‍‍’ বলা হয়?


   খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীদের অন্যতম বড় উৎসব 'ক্রিসমাস' বা 'বড়দিন'। বড়দিন হলো যিশুর জন্মদিন। রোমানদের তথ্য অনুসারে, বেথলেহেম শহরে এই দিনেই মেরির কোলে জন্ম হয় যিশুর। সেই থেকেই দিনটিকে 'বড়দিন' হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।

25th December এই দিনটিকে কেন বড়দিন দিন বলা হয়, তা কি জানেন? 

   গ্রিক বর্ণমালা এবং একাডেমির বাংলা অভিধানে 'বড়দিন'-এর অর্থ পাওয়া যায়। এছাড়াও দিনটির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে কোথাও কোথাও এর ভৌগলিক ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।

   সেই তথ্য অনুসারে, যিশুখ্রিস্টের জন্মমাস বলেই পুরো মাসকে 'খ্রিস্টমাস' বলা হয়। সেখান থেকেই এসেছে খ্রিস্টের মাস। 1038সালের রচিত একটি বই থেকে জানা যায়, মধ্যযুগীয় সময়ের ইংরেজি Christemasse বা Cristes Messশব্দ থেকে এসেছে 'খ্রিস্টমাস'। এই "Cristes" শব্দটি এসেছে গ্রিক Christos এবং "Mess" শব্দটি লাতিন missa থেকে। গ্রিক ভাষায় "X" কথাটির অর্থ হলো Christ। তাই খ্রিস্টের সংক্ষিপ্ত শব্দ হিসেবে এই 'X-Mas' কথাটি বলা হয়।

এই দিনটিকে 'বড়দিন' আখ্যা দেওয়ার পেছনে ভৌগলিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।

    উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত দিবসেও দেখা হয়। অর্থাৎ 23ডিসেম্বর থেকে দিন বড় হতে থাকে, অন্যদিকে রাত হতে থাকে ছোট। তাই 25ডিসেম্বরকে 'বড়দিন' বলে আখ্যা দেন দার্শনিকরা। দার্শনিকদের মতে, মর্যাদার দিক থেকে এটি একটি 'বড়দিন'। তাই এই নামকরণে যুক্তিও রয়েছে।

   The Origins of Christmas” বই থেকে জানা যায়, 25ডিসেম্বরকে 'বড়দিন' হিসাবে পালন করার প্রথা শুরু করেন রোমানরা। রোমান রাজা অরেলিয়ান এই দিনে মহাসমারোহে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন শুরু করেন। বিশ্বজুড়ে তাই 25ডিসেম্বরকেই 'বড়দিন' হিসেবে পালিত হয়।

   বিশ্বের বিভিন্ন দেশে 'বড়দিন' একই দিনে পালন হলেও রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি দেশে এই উৎসব হয় 7th জানুয়ারি। জুলিয়ান বা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসাব মেনেই এসব দেশে উৎসবটি পালিত হয়। শুধু তাই হয়, আর্মেনিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারীরা 6th জানুয়ারি 'বড়দিন' পালন করেন। 'বড়দিন' পালন নিয়ে তাই অনেক মতবেদ রয়েছে। স্থান-কাল-পাত্রভেদে নানা মতভেদের থাকলেও 25ডিসেম্বরেই উৎসবটি মহাসমারোহে পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। এই দিনেই আনন্দ, উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন সবাই।

   খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। বিশ্বজুড়ে আলোকসজ্জায় নানা আয়োজনে উৎসবটি পালিত হচ্ছে। সান্তাক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি সেজে উঠেছে সব গীর্জায়। প্রার্থনা শেষে দিনের শুরুতেই 'মেরি ক্রিসমাস' বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীরা। 'বড়দিন'এর শুভেচ্ছো বিনিময়ে মেরি ক্রিসমাস বলার পাশাপাশি 'এক্স-মাস'ও বলা হয়। যদি কেউ ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলেও বসেন, তবে অন্যরা ভুল ধরিয়ে বলেন, ‘হ্যাপি নয়, মেরি ক্রিসমাস।’ এই সম্বোধনটা কেন করা হয় তা জানেন? ইংল্যান্ডে ব্যাপকভাবেই ক্রিসমাসের আগে ‘হ্যাপি’ই বসানো হয়। ব্রিটেনের রানি নিজেও বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলেন। রানির মতে, ‘মেরি’টা যথেষ্ট পরিমাণে ভদ্র শব্দ নয়।

   1534 সালে বিশপ জন ফিশার চিঠি লিখেছিলেন ক্রোমওয়েলকে। সেই চিঠিতে জন ফিশার ‘মেরি ক্রিসমাস’ লিখেই সম্বোধন করেছেন।বলা যায়, সাধারণ মানুষের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ভাষা হচ্ছে 'মেরি ক্রিসমাস'। অন্যদিকে রক্ষণশীলদের ক্রিসমাস শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষা হচ্ছে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’। বিশ্বজুড়ে এমন চিত্র খুব কম দেখা গেলেও ইংল্যান্ডের রীতিতে এই প্রথাই চলছে। উনিশ শতকের গোড়া থেকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ‘মেরি ক্রিসমাস’ই শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্রিসমাস-কার্ডেও এই কথাটিই ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। যা এখন বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীদের কাছে প্রধান শুভেচ্ছাবার্তা হয়ে উঠেছে।

-ধন্যবাদ

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment