logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

মুঘল যুগে নারীদের অবস্থা


মুঘল যুগে নারীদের অবস্থা

সামাজিক শ্রেণী, ধর্মীয় পটভূমি এবং আঞ্চলিক প্রভাবের মতো কারণের উপর ভিত্তি করে মুঘল যুগে মহিলাদের অবস্থা জটিল এবং বৈচিত্র্যময় ছিল। যদিও কিছু মহিলা আপেক্ষিক বিশেষাধিকার এবং প্রভাব উপভোগ করেছিলেন, অন্যরা বিধিনিষেধ এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। এখানে মুঘল সাম্রাজ্যের মহিলাদের অবস্থার কিছু দিক রয়েছে:

1. রাজকীয় মহিলা:

   মুঘল রাজপরিবারের মহিলারা প্রায়ই প্রভাবশালী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সম্রাজ্ঞী, রাজকন্যা এবং রাণীরা কখনও কখনও রাজনৈতিক বিষয়ে, সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং পরোপকারে জড়িত ছিল। যাইহোক, তাদের ক্ষমতা এবং সংস্থা এখনও সেই সময়ের বৃহত্তর পিতৃতান্ত্রিক নিয়মের অধীন ছিল।

2. হারেম ব্যবস্থা:
   মুঘল সম্রাটরা একটি হারেম ব্যবস্থা বজায় রেখেছিলেন যেখানে রাজকীয় মহিলারা, স্ত্রী, উপপত্নী এবং মহিলা আত্মীয়রা নির্জনে বসবাস করতেন। হারেমটি মর্যাদার প্রতীক ছিল, তবে এটি অনেক রাজকীয় মহিলাদের জনসাধারণের দৃশ্যমানতা এবং রাজনৈতিক ভূমিকাকেও সীমিত করেছিল।

3. সম্ভ্রান্ত এবং অভিজাত মহিলা:
   আভিজাত্য ও অভিজাত শ্রেণীর নারীদের শিক্ষার সুযোগ ছিল, যার মধ্যে শিল্প ও সাহিত্যের প্রশিক্ষণ ছিল। অভিজাত পরিবারের কিছু মহিলা শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক হন এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে অবদান রাখেন। যাইহোক, তাদের কার্যক্রম প্রায়ই সামাজিক নিয়ম দ্বারা পরিসীমাবদ্ধ ছিল।

4. পুরদাহ সিস্টেম:
    মুঘল সমাজ, তৎকালীন অন্যান্য অনেক ইসলামী সমাজের মতো, পরদাহ প্রথা পালন করত, যা সম্পর্কহীন পুরুষদের থেকে নারীদের বিচ্ছিন্নতার সাথে জড়িত ছিল। এই প্রথাটি শহুরে অভিজাত এবং রাজকীয় পরিবারগুলির মধ্যে বেশি প্রচলিত ছিল, যা তাদের নিকটবর্তী পরিবারের বাইরে মহিলাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়াকে সীমিত করেছিল।

5. অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ভূমিকা:
    বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর মহিলারা সক্রিয়ভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত ছিল। মহিলারা বস্ত্র উৎপাদনে নিয়োজিত ছিলেন এবং কেউ কেউ সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী ছিলেন।

৬. সতীদাহ ও বৈধব্য:
    সতীদাহ প্রথা, যেখানে বিধবারা তাদের স্বামীর মৃত্যুতে আত্মহনন করত, মুঘলদের মধ্যে প্রচলিত ছিল না। যাইহোক, বিধবা হওয়ার অর্থ প্রায়ই সামাজিক মর্যাদার ক্ষতি এবং অনেক সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য পুনর্বিবাহের উপর বিধিনিষেধ।

7. দাসত্ব এবং উপপত্নী:
    মুঘল সাম্রাজ্যের কিছু মহিলাকে দাস বা উপপত্নী হিসাবে রাখা হয়েছিল। যদিও এই প্রথাটি মুঘলদের জন্য একচেটিয়া ছিল না, এটি সামাজিক কাঠামোর অংশ ছিল এবং এই ধরনের মহিলাদের মর্যাদা সাধারণত স্বাধীন মহিলাদের তুলনায় কম ছিল।

8. ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশীলন:
    নারীর মর্যাদা ইসলামিক এবং দেশীয় উভয় সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। ইসলামী আইন নারীদের কিছু অধিকার প্রদান করলেও স্থানীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যও লিঙ্গের ভূমিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

9. সাহিত্যিক এবং শৈল্পিক অবদান:
    কিছু মুঘল মহিলা সাহিত্য ও শিল্পকলায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, সম্রাজ্ঞী নূরজাহান তার রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য পরিচিত ছিলেন।

সংক্ষেপে বলা যায়, মুঘল যুগে নারীদের অবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময় এবং বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবিত। যদিও কিছু মহিলা বিশেষাধিকারের অবস্থান উপভোগ করেছেন এবং সমাজের বিভিন্ন দিকগুলিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, অন্যরা সীমাবদ্ধতা এবং সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছেন। পুরদাহ প্রথা এবং লিঙ্গ-নির্দিষ্ট ভূমিকা সহ সেই সময়ের সামাজিক রীতিনীতি এবং অনুশীলনগুলি মুঘল সাম্রাজ্যের মহিলাদের অভিজ্ঞতাকে রূপ দিয়েছিল।

Popular Post:

Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment