logo CBCE Skill INDIA

Welcome to CBCE Skill INDIA. An ISO 9001:2015 Certified Autonomous Body | Best Quality Computer and Skills Training Provider Organization. Established Under Indian Trust Act 1882, Govt. of India. Identity No. - IV-190200628, and registered under NITI Aayog Govt. of India. Identity No. - WB/2023/0344555. Also registered under Ministry of Micro, Small & Medium Enterprises - MSME (Govt. of India). Registration Number - UDYAM-WB-06-0031863

উপকূলীয় ও পার্বত্য পরিবেশে বাসিন্দাদের অর্থনীতি এবং কে পরিবেশের সংরক্ষণ করে?


উপকূলীয় ও পার্বত্য পরিবেশে বাসিন্দাদের অর্থনীতি

উপকূলীয় ও পার্বত্য পরিবেশে বাসিন্দাদের অর্থনীতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে কিছু মূল ধারণা হলো:

উপকূলীয় পরিবেশে বাসিন্দাদের অর্থনীতি

  1. মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ: উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা হচ্ছে মাছ ধরা ও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ। এটি তাদের অর্থনীতির একটি প্রধান ভিত্তি।

  2. কৃষি: উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত মাটি ও পানির কারণে নির্দিষ্ট কিছু ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়, যেমন চিংড়ি চাষ, ধান, ও নারিকেল।

  3. পর্যটন: সমুদ্র সৈকত, ম্যানগ্রোভ বন, ও কোরাল রিফ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  4. শিল্প ও বাণিজ্য: নৌবন্দর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে।

পার্বত্য পরিবেশে বাসিন্দাদের অর্থনীতি

  1. কৃষি ও বাগান: পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দারা ঝুম চাষ, ফলের বাগান, ও সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। চা, কফি, ও মসলা চাষও গুরুত্বপূর্ণ।

  2. বনজ সম্পদ: পার্বত্য অঞ্চলে বনজ সম্পদ আহরণ করে, যেমন কাঠ, বাঁশ, ও বনজ ফল। এগুলো স্থানীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  3. হস্তশিল্প ও পর্যটন: পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দারা হস্তশিল্প তৈরি করে বিক্রি করে। এছাড়া পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।

  4. পশুপালন: গবাদি পশু পালন, বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে ভেড়া ও ছাগল পালন, অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পরিবেশ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সংস্থা

  1. সরকারি সংস্থা: বিভিন্ন দেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, ও সমুদ্র ও উপকূলীয় সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় ও পার্বত্য পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে।

  2. স্থানীয় সম্প্রদায়: স্থানীয় জনগণ এবং তাদের সংগঠনগুলো পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের অংশগ্রহণ ও উদ্যোগ সংরক্ষণ কার্যক্রমে সফলতা এনে দেয়।

  3. বেসরকারি সংস্থা (NGOs): পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে এমন বিভিন্ন এনজিও, যেমন WWF, IUCN, এবং স্থানীয় এনজিওগুলো উপকূলীয় ও পার্বত্য পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

  4. আন্তর্জাতিক সংস্থা: বিশ্বব্যাংক, UNDP, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পে অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে।

  5. গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়: পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণা ও শিক্ষা প্রচারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই সংস্থাগুলো এবং স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উপকূলীয় ও পার্বত্য পরিবেশের সংরক্ষণ কার্যকরভাবে সম্ভব।

 

 

-ধন্যবাদ


Give us your feedback!

Your email address will not be published. Required fields are marked *
0 Comments Write Comment