আমরা জানি কম্পিউটার একটি ইলেক্টনিক যন্ত্র। যা বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে পরিচালিত হয়। আমরা সকলেই এই বিষয়ে কম বেশি হলেও পরিচিত। কম্পিউটার এর মা বলা হয় মাদারবোর্ড কে।
কোন কম্পিউটারের মাদারবোর্ড যদি নষ্ট হয় তাহলে কম্পিউটারের সকল কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা জানি বৈদ্যুতিক শক্তির উপর নির্ভর করে যন্ত্র গুলোতে যে বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে ব্যবস্থা করে সেই ব্যবস্থাকে পরবর্তী তড়িৎ প্রবাহকে কম ভোল্টেজের সম তড়িৎ প্রবাহে পরিণত করে কম্পিউটার এর মাদারবোর্ডে পাঠায়।
মাদারবোর্ড সেই সকল বৈদ্যুতিক শক্তিকে গ্রহণ করে কম্পিউটার এর সকল অংশ গুলো এক সাথে যুক্ত করে একটি একক প্লাটফর্ম তৈরি করে। সেই প্লাটফর্ম কম্পিউটার এর পিসি, হার্ডডিক্স, হার্ড ড্রািইভ, ভিডিও কার্ড সাউন্ড কার্ড, অপটিক্যাল ড্রাইভ এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের পোর্ট এক্সপেনশন কার্ড এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে রাখে।
মাদারবোর্ড অর্থ হচ্ছে- কম্পিউটার এর CPU যন্ত্রের মধ্যে একটি সরু ও চ্যাপ্টা বোর্ডের মতো একটি অংশ। সেই অংশটিকে কম্পিউটার এর শির দ্বারা বলে চিহ্নিত করতে পারি। এটি ছাড়া কোন কম্পিউটার যন্ত্র কোন ভাবেই চলবে না। এক কথায় বলা যায় একেবারে অচল।
কম্পিউটারের ভাষায় মাদারবোর্ড Logic Board বা Maine কিংবা প্রধান বোর্ড নাম হিসেবে পরিচিত। কোন কম্পিউটার সিস্টেম একটি মাদারবোর্ড এর প্রধান কাজ করে। Computer systems এর উপাদান গুলোর মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে উপাদন গুলোকে নিয়ন্ত্রন করে তাদের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে।
আমরা মাদারবোর্ড এর সাহায্যে কম্পিউটারের ভিতরে বা বাহিরে থাকা সকল যন্ত্র গুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও পরিচালনা করে। একটি মাদারবোর্ড কম্পিউটার যন্ত্রের প্রধান প্রেন্টিড সার্কিট বোর্ড।
এগুলো হচ্ছে- কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ- Hard Drive, GPU, CPU এর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে বলেই আমরা কম্পিউটার এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের কাজ সহজেই করতে পারি।
মাদারবোর্ড অংশ গুলো সিপিইউ এর কম্পিউটার কেসের যে কোন একটি জায়গায় লাগানো থাকে এ সকল যন্ত্রাংশ গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জরুরী কন্ট্রোল ও চিপস থাকে। এগুলকে এক সাথে বলা হয় চিপসেট(chipset)।
কম্পিউটার মূলত Input ও Output Device অনুযায়ী ব্যবহৃত। বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রক্রিয়া করণ করা যে কোন Computer মুল কাজ। এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রসেসিং করার জন্য সকল কম্পিউটার যন্ত্রে থাকা অতি প্রয়োজনীয় process যন্ত্রাংশ গুলো যা এই মাদারবোর্ড এর মধ্যে অবস্থিত থাকে।
মাদারবোর্ড 1980 দশকের প্রথমে IDM Company ব্যবহার করা শুরু করেন। সেই সময় মাদারবোর্ড এর নাম ছিল প্ল্যানার(planner)। এই যন্ত্রাংশ এর সাহায্যে প্রধানত কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদান গুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করানো হতো। এটি সকল পেরিফেরালক ডিভাসে ও যুক্ত করতো।
উক্ত বিষয় গুলোর কারণে প্ল্যানের এর পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় মাদারবোর্ড। কম্পিউটার পরিচালনা করার বিশেষ যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মাদারবোর্ড হচ্ছে একটি জটিল কম্পিউটার এর যন্ত্রাংশ সমন্বয়ে তৈরি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। তবে এই সরু, চ্যাপ্টা মাদারবোর্ড তৈরি হয় সিলিকন ও প্লাস্টিকের তৈরি উপাদান দিয়ে।
মাদারবোর্ডের প্রিন্টিড সার্কিট বোর্ডের মধ্যে থাকা ফাইবার গ্লাসের স্তর ও তামার সংযোগকারী চিহ্ন, পাওয়ার এবং সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন করার জন্য তামার প্লেন। যাতে করে অতির্কিত বৈদ্যুতিক সংকেত মাদারবোর্ড এর সুক্ষ্ম সার্কিটের কোন ক্ষতি না করতে পারে। এছাড়া মাদারবোর্ড এই যন্ত্রের বিভিন্ন ধরণের জটিল কেবিলস, পোর্টস ও প্লটস।
আপনি উক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারছেন মাদারবোর্ড কি? মাদারবোর্ডর পরিচয় এবং মাদার বোর্ডের ইতিহাস। এখন আমরা আপনাকে জানাবো। মাদার বোর্ড এর বিভিন্ন অংশ গুলোর নাম।
আপনি যদি মাদারবোর্ডর অংশ গুলোর পরিচিতি জানতে চান তবে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।
র্যাম এর অর্থ হচ্ছে- Random Access Memory. এটিকে আমরা কম্পিউটারের মোমোরি হিসেবে জেনে আসছি। এই র্যাম এর প্রধান কাজ হলো স্টোরেজ ডিভাই এর কাজ গুলো প্রচুর পরিমাণের বাইটস বা বাইনারি সংখ্যা আকারে তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে।
কম্পিউটারে যখন কোন কাজ করা হয় তখন সেই কাজ গুলো র্যাম মেমোরিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে
জমা হয়। আমরা জানি উক্ত র্যাম জিনিসটি পিসি এর ভিতরে মাদারবোর্ড এ সংযক্ত করা থাকে।
পিসি পাখা ও হিটসিংক(PC fans and heatsinks )
আমরা যখন কম্পিউটার ব্যবহার করি তখন প্রচুর পরিমাণের তাপশক্তি তৈরি হয়। এই তাপ শক্তি কমানোর জন্য পিসি পাখা ও হিটসিংক কাজ করে থাকে। এই পিসি পাখাও কিন্তু মাদারবোর্ড এর একটি অংশ।
নর্থ ব্রিজ হচ্ছে এক ধরণের কন্ট্রোলার। এটি সিপিইউ কে ফ্রন্টসাইড বাস ও কেবলের মাধ্যমে মেমোরির সাথে কম্পিউটারকে যুক্ত রাখে।
সাউথ ব্রিজ হচ্ছে- এক প্রকারের কন্ট্রোলার এটি কম্পিউটার এর ইনপুট ও আউটপুট পদ্ধতি গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ক্যাসাসিয়াটর্স হচ্ছে- একটি মাদারবোর্ডের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরণের উপাদান গুলো কাজ করে যেমন- হার্ড ড্রাইভ, ভিডিও কার্ড ইত্যাদি নিয়মিত ভোল্টেজ এর বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে। এটি যেন সহজেই শর্ট সার্কিট না হয়।ক্যাসাসিয়াটর্স হচ্ছে- একটি মাদারবোর্ডের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরণের উপাদান গুলো কাজ করে যেমন- হার্ড ড্রাইভ, ভিডিও কার্ড ইত্যাদি নিয়মিত ভোল্টেজ এর বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে। এটি যেন সহজেই শর্ট সার্কিট না হয়।
উক্ত বিষয় গুলো ছাড়া আরো অনেক কিছুর রয়েছে। সেই বিষয় গুলো সংক্ষিপ্ত ভাবে নিচের অংশ থেকে দেখুন।
উক্ত বিষয় গুলো মূলত কম্পিউটার একএকটি অংশ। আপনি যদি উক্ত বিষয় গুলো ভালো ভাবে পড়েন তবে আপনিও মাদারবোর্ড এর পরিচয় পেয়েগেছেন।
মাদারবোর্ড এর কাজ গুলো হচ্ছে-
শেষ কথাঃ