বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে আংশিকভাবে যুক্ত। আজ আমরা ব্যাংকিং, শিক্ষা, প্রযুক্তি, যোগাযোগ, এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে থাকি। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে ইন্টারনেট ছাড়া জীবন কল্পনা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
ইন্টারনেট বর্তমান সময়ে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে, তবে তার পাশাপাশি আমাদের জন্য অনেক নতুন সমস্যার জন্ম দিয়েছে।
তাই আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি ইন্টারনেটের ইতিহাস থেকে ইন্টারনেটের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে যাচ্ছি।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ইন্টারনেট কি, ইন্টারনেটের ব্যবহার, এবং ইন্টারনেটের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি।
Internet হলো সমগ্র বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে একটি কম্পিউটারকে বিশ্বের যেকোনো স্থানের অন্য একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করা যায়।
অর্থাৎ ইন্টারনেট ( Internet) হলো অনেকগুলি পরস্পর সংযুক্ত কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের যেকোনো কম্পিউটারকে রাউটার এবং সার্ভার এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে।]
তথ্য বিনিময়ের জন্য TCP বা IP প্রটোকলের মাধ্যমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে যে সংযোগ স্থাপন করা হয় তাকেই ইন্টারনেট বলে।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের প্রটোকল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট শহরের পাশাপাশি যেকোনো গ্রামেও পাওয়া যায়।
ইন্টারনেট হলো একটি ইংরেজী শব্দ যা অন্য একটি ইংরেজী শব্দ “Internetworked” থেকে নেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষায় ‘Internet’ এর অর্থ হল ইন্টারনেট। ইন্টারনেট হলো লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক, তাই ইন্টারনেটকে সাধারণ বাসায় ভাষায় “মহাজাল” বলা হয়।
ইন্টারনেট আমাদের কাছে খুব বেশি দিনের পুরোনো নয় আজ থেকে প্রায় 60 বছর আগে 1960 সালে ইন্টারনেটের জন্ম হয়।
আপনি যদি ইতিহাস পড়ে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন যে, 1960 সালে রাশিয়া এবং পশ্চিমী দেশগুলির মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল।
সেই সময় খুব দ্রুত গতিতে গোপন তথ্য আদান প্রদানের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। একটা কথা প্রচলিত আছে যে, যখনই কোনো কিছুর প্রয়োজন দেখা দেয় তখনই কিছু একটার জন্ম হয় । ঠিক সেই রকমই এই গোপন তথ্য আদান-প্রদানের প্রয়োজনের জন্যই ইন্টারনেটের জন্ম হয়।
এই প্রয়োজন মেটানোর জন্যই এই দেশগুলি প্রযুক্তির ব্যবহার করে একটি নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করে, যাকে আমরা বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট বলে থাকি। ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেছে? সেটা যদি আপনার প্রশ্ন আসে, তাহলে আমি প্রথমেই বলে রাখি যে এই ইন্টারনেট আবিষ্কারের পুরো কৃতিত্ব কাউকে দেওয়া যাবে না। কারণ ইন্টারনেট আবিষ্কারের পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। এই কারণেই কোন একজন ব্যক্তিকে ইন্টারনেট আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া যায় না।
ইন্টারনেট আবিষ্কারের পেছনে অনেক এর কৃতিত্ব রয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধ চলাকালীন লিওনার্ড ক্লেইনরক (Leonard Kleinrock) প্রথম পরিকল্পনা করেছিলে যে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে একটি নতুন প্রযুক্তি দ্বারা সাজিয়ে তুলবে। তার এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, অনেকগুলি কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে তথ্য আদান- প্রদান করার কথা হয়েছিল, যার দ্বারা মার্কিন সেনাবাহিনী খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য পেতো।
তার এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তিগত ইনস্টিটিউট MIT এর বিজ্ঞানী J.C.R. Licklider এবং রবার্ট টেলর (Robert Taylor) তাকে সাহায্য করেছিল। 1962 সালে তারা কম্পিউটারের একটি “গ্যালাকটিক নেটওয়ার্ক”(Galactic Network) তৌরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এটার উপরে কাজ চলা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
“Galactic Network” হলো এমন একটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক যা ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে এবং বিশ্বের যে কোনো স্থানে Programs Access করতে দিয়ে থাকে।
1965 সালে, অন্য একজন M.I.T. একটি কম্পিউটার থেকে অন্য একটি কম্পিউটারে তথ্য পাঠানোর একটি উপায় তৈরি করেছিলেন যার নাম “Packet Switching” (প্যাকেট সুইচিং)।
Packet Switching আরো ভালোভাবে তথ্য স্থানান্তরের জন্য বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করে, ব্লক বা প্যাকেটে বিভক্ত করে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক জুড়ে ডাটা বা তথ্য প্রেরণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের Advance Research Projects Agency (ARPA) প্রথম এই প্রযুক্তিটি চালু করেছিল বলে, এর নামকরণ করা হয় ARPANET.
29 শে অক্টোবর 1969 সালে, “LOGIN” টাইপ করে ARPAnet এর মাধ্যমে প্রথম বার্তা বা তথ্য পাঠানো হয়েছিল যা কিছু অংশে সফলও হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে একটি তথ্যের শুধুমাত্র দুটি অক্ষর, যা হলো “LO” স্থানান্তরিত হয়েছিল।
1969 সালে শুধু মাত্র চারটি কম্পিউটার ARPAnet এর সাথে সংযুক্ত ছিল, কিন্তু 1970 এর দশকে এই নেটওয়ার্কটি খুব দ্রুত বাড়তে থাকে।
1971 সালে, University of Hawaii ALOHAnet নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয় । এবং পরবর্তীকালে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন এবং নরওয়েতে এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ধীরে ধীরে সময়ের সাথে হাজার হাজার কম্পিউটার এই নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয় এবং একটি বিশ্বব্যাপী জাল সৃষ্টি করে।
আপনি কি জানেন যে, 1971 সালে রে টমলিনসন (Ray Tomlinson) প্রথম Email (ইমেইল) পাঠিয়েছিলেন। এই ই-মেইল বর্তমান সময়ে কতটা ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে তা তো আপনি জানেনই।
1970 এর দশকের শেষের দিকে Vinton Gray Cerf নামক একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিশ্বের মিনি নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটার কে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি উপায় তৈরি করে, এটার নাম রেখেছিলেন “ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল” বা TCP.
পরবর্তীকালে তারা এটি সাথে আরও একটি প্রটোকল যোগ করে যা যা “ইন্টারনেট প্রোটোকল” IP নামে পরিচিত।
বর্তমান সময়ে আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি সেখানে শুধুমাত্র TCP বা IP প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
1974 সালে বিজ্ঞানী Vint Cerf এবং Robert E. Kahn “The Fathers Of The Internet” নামক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এই গবেষণাপত্র প্রকাশের কারণে বিজ্ঞানী Vint Cerf কে “ইন্টারনেটের জনক” বা “Father of Internet” বলা হয়।
ভারতে 14ই আগস্ট 1995 সালে ইন্টারনেট চালু হয়েছিল কিন্তু এটি 15ই আগস্ট 1995-এ “বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেড” অর্থাৎ VSNL দ্বারা সর্বজনীনভাবে চালু হয়েছিল।
সেই সময় মানুষ সাধারণত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করত এবং সেই সময় ইন্টারনেটের speed ছিল মাত্র 8-10 kbps. তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন যে বর্তমান সময়ের তুলনায় সেই সময় ইন্টারনেট কতটা ধীর গতিতে চলতো।
ভারতে যেই সময় ইন্টারনেট চালু হয় তখন ভারতে মাত্র 20টা থেকে 30টা কম্পিউটারের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবস্থা সংযুক্ত ছিল এবং সেই সময় ইন্টারনেট সংযোগের খরচ অনেক বেশি হতো। 9-10 kbps গতির ইন্টারনেট সংযোগের মাসিক খরচ ছিল প্রায় 500 টাকা থেকে 600 টাকা, সেই সময়ের তুলনায় এই টাকাটা অনেক বেশি।
সেই সময় ভারতে ইন্টারনেট সংযোগের খরচ অনেক বেশি ওতো বললই ইন্টারনেট ভালোভাবে প্রচলিত হতে পারেনি তবে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট সংযোগের খরচ খুব কম হয় এবং এর গতি অনেক বেশি প্রায় 2 থেকে 10 mbps হাওয়ায় প্রতিটা মানুষের কাছে এখন ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। বর্তমান সময়ে পড়াশোনা থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রযুক্তি চিকিৎসা সরকারি কাজকর্ম -এ ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
1991 সালের 6 আগস্ট ইন্টারনেটে প্রথম ওয়েব পেজটি লাইভ হয়েছিল। এই ওয়েব পেজটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) প্রকল্পের জন্য উৎসর্গীকৃত এবং টিম বার্নাস লি (Tim Barners Lee) দ্বারা এই ওয়েব পেজটি তৈরি করা হয়েছিল। এই ওয়েব পেজটি কে পরিচালনা করা হয়েছিল ইউরোপীয় অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার টি-শার্টের একটি নেক্সট কম্পিউটার থেকে।
ইন্টারনেটের প্রথম ওয়েবসাইটের web address হলো – http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html .
আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি তা প্রধানত তিন ধরনের কোম্পানির মাধ্যমে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়। কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে এটাকে ভালভাবে বোঝার জন্য এই তিনটি কোম্পানিকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। Company 1, Company 2, Company 3.
Company 1 এর কাজ হল সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে সমগ্র বিশ্বে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ছড়িয়ে দেওয়া। এর ফলে এই অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বিশ্বের সকল সার্ভারকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে।
Company 2 হল সেই সমস্ত কোম্পানি যাদের মাধ্যমে ইন্টারনেট সাধারণ মানুষের কাছে এসে পৌঁছতে পারে যেমন মনে করুন এয়ারটেল, ভোডাফোন, জিও প্রভৃতি।
Company 3 হলো কিছু স্থানীয় ছোট ছোট কম্পানী যেগুলো আমাদের ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে।
এই ক্ষেত্রে, Company 3 প্রধানত কোম্পানি 2 এর কাছ থেকে ডাটা কিনে এবং কম্পানি 2 কোম্পানি 1 এর কাছ থেকে ডাটা কিনে। আর আমরা অর্থাৎ সাধারণ মানুষরা কম্পানি 2 অথবা কোম্পানি 3 এর কাছ থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি সেটা ছাড়াও আরো অনেক রকমের ইন্টারনেট রয়েছে। ইন্টারনেট এর প্রকারভেদ গুলি সম্পর্কে আমরা সবাই সঠিকভাবে জানিনা। তাই নিচে ইন্টারনেট এর প্রকারভেদ গুলো দেখানো হলো।
ভারতী যত ধরনের ইন্টারনেট প্রচলিত রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইন্টারনেট হলো মোবাইল ইন্টারনেট। এই ক্ষেত্রে Jio, Airtel, BSNL এর মত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি বলি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমাদের কাছে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। এসকল কোম্পানিগুলি আমাদের কাছে খুব সস্তায় 2g, 3g, ও 4g প্ল্যান নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে আমরা খুব অল্প খরচে ইন্টারনেট পরিষেবা নিতে পারি। ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মোবাইল ইন্টারনেট সবচেয়ে সস্তা মাধ্যম।
DSL এর পুরো অর্থ হল Digital Subscriber Line . এই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে সাধারণত দুটি তামার তার যুক্ত টেলিফোন লাইন ইন্টারনেট সরবরাহ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে DSL হলো একটি তারযুক্ত ইন্টারনেট সংযোগ যা কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ব্রডব্যান্ড হল একটি উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট মাধ্যম। ব্রডব্যান্ড এক ধরনের DSL ইন্টারনেট কিন্তু এর ব্যান্ডউইথ DSL থেকে অনেক বেশি হয়, যার কারণে এই ধরনের ইন্টারনেটের Speed বা গতি অনেক বেশি হয়।
এই ধরনের ইন্টারনেট তারের সাহায্যে আমাদের ঘরে পৌঁছে যায় এবং তারপর আমরা এটিকে ব্যবহার করার জন্য একটি মডেম, রাউটার, এবং ল্যান তারের সাহায্য নেই।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় তাকে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বলা হয় । এই ধরনের ইন্টারনেট খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না। কারণ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডাটা দ্রুত স্থানান্তর করা সম্ভব হয় না , তবে কিছু এলাকায় যখন ব্রডব্যান্ড সংযোগ পাওয়া যায় না সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।
এগুলি ছিল ইন্টারনেটের কিছু প্রকারভেদ যা ভারতে সর্বাধিক জনপ্রিয়। তবে এই সমস্ত প্রকারভেদ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মোবাইল ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড। আপনি যদি কম খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাহলে মোবাইল ইন্টারনেট আপনার ক্ষেত্রে সেরা বিকল্প হবে, এবং যদি আপনি দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাহলে ব্রডব্যান্ড হবে আপনার সেরা বিকল্প।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন মানুষ কম রয়েছে। আজ প্রত্যেকটা মানুষ ইন্টারনেট থেকে কিছু না কিছু উপকারিতা নিয়েই থাকে। তবে ইন্টারনেট আবিষ্কারের প্রাথমিক দিনগুলিতে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুধুমাত্র বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গবেষণা পত্র এবং অন্যান্য তথ্য একে-অপরের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই সীমিত ছিল।
কিন্তু ধীরে ধীরে ইন্টারনেটের বিকাশ ঘটে এবং এতে যুক্ত হয় নতুন নতুন বিজ্ঞানিক প্রযুক্তি। Internet এর বর্তমান রূপ সম্পর্কে আমার কিছু বলার প্রয়োজন নেই, আপনি নিজেই দেখতে পাচ্ছেন বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের জীবনধারার একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যা যা করি, প্রায় সব কিছুর মধ্যেই কোনো-না-কোনোভাবে ইন্টারনেটের একটি সংযোগ বা ভূমিকা রয়েছে। তাইতো বন্ধুরা?
ইন্টারনেট আবিষ্কারের প্রথমদিকে ইন্টারনেট শুধুমাত্র তথ্য আদান- প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আর তথ্য আদান-প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিক্ষা, ব্যবসা, বাণিজ্য, গবেষণা প্রভৃতি কাজে ইন্টারনেট একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে।
বর্তমান সময়ে মানুষ ইন্টারনেট বিভিন্ন কারণে করে থাকে, যেমন মনে করুন:
ইন্টারনেটের ব্যবহারগুলি পড়ার পরে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের গুরুত্ব কতখানি। কারণ বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান হয়ে উঠেছে, এর পিছনে প্রধান কারণ হলো ইন্টারনেট থেকে আমরা দৈনন্দিন জীবনে কিছু না কিছু সুবিধা ভোগ করে থাকি। যা আমি নিচে আলোচনা করছি:
এক কথায় বলতে গেলে আমরা মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে ইন্টারনেটের সুবিধা গুলি সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট হলো তথ্যের সাগর। আপনি যতটাই গভীরে যেতে চাইবেন, ততটাই গভীরে যেতে পারবেন, এর কোনো শেষ নেই। এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি জ্ঞানের সীমাহীন ভান্ডার পাবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারের যেসকল অসুবিধা গুলি সাধারণত হয়ে থাকে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
উপরের দুটি পয়েন্টে আমরা ইন্টারনেটের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সকল সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে যা একটি আর্টিকেল এর মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তবে, মূলত এই কয়েকটি বিষয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ঘটে থাকে।